উঠে দাঁড়াতে গেলে যে প্রতিবাদ করতেই হবে
যে মেয়েটির রং কালো তার যে রূপের চর্চা ভীষন
শুনে যেতে হয় তাকে নানান উচ্চবাক্য
কিন্তু তাকে যে সমস্ত কথার সঠিক জবাব দিতেই হবে,প্রতিবাদ তাকে করতেই হবে
নির্যাতিত সেই সমস্ত নারীকে যে সহ্য করতে হয় সমাজের শত অপবাদ
তবুও তাদের লড়তে হবে,প্রতিবাদ তাদের করতেই হবে
যৌতুকের কারণে বিবাহ আটকে যাওয়া সেই সমস্ত নারীদের কান্না কেই বা শুনবে?
তাদের যে নিজেদের উঠে দাঁড়াতেই হবে,প্রতিবাদ তাদের করতেই হবে
প্রিয় মানুষটিকে পেতে গেলেও যে প্রতিবাদ করতেই হবে
সকলে তো সৃষ্টি করতে চাইবেই একরাশ দূরত্ব
তবুও যে দিতে হবে একে অপরকে সারাজীবনের প্রতিশ্রুতি
আর রাখতে হবে এক দৃঢ় বিশ্বাস যে,সকলের কাছে পাবেই আমাদের ভালোবাসা স্বীকৃতি
যেই মায়ের কোলে তুমি দেখেছিলে প্রথম পৃথিবীর মুখ
সেই নারীজাতিকে করলে অসম্মান তুমি কখনোই পাবেনা চিরকালের সুখ-
তোমাতে স্নিগ্ধ, কোমল দুটি নয়ন.
প্রকৃতির বিবর্তনে, প্রস্তুত বয়ন!!
নারী তোমাতে মুগ্ধ, এ বিশ্বজগৎ,
স্বরূপে অপরুপা... শয়নরত জগৎ..
শোষণের কল্পনায়- তুমি জয়ী,
পোষণের কৃপনে, তুমিই শ্রীময়ী!!
ছলাকলায় পারদর্শী, তুমি উদার..
বিশ্বকে, মিটিয়ে থাকো, যত আবদার।
নারী যেথা নিশ্চিহ্ন, শুকনো যত কল্পনা,
জেনে রেখো বিশ্ব, নারীর শক্তি স্বল্পনা!!
-
আর কী বলবো তোমায়?
আর কী দেব তোমায়?
ধুলো মাখা মুকুটে
ঘাম যদি ইতিহাসের পাতা হয়,
রক্ত মাখা সিংহাসনে
চন্দ্রদেবী তোমার মতন মেয়েরা
কেউ সীতা বা দ্রোপদী কেউ আবার বেহুলা হয় ।-
চাঁদের গায়ের কলঙ্কের দাগ তার দীপ্তিময় সৌন্দর্যের রূপে আচ্ছাদিত,
তবে নারীর রূপের সৌন্দর্য আজও কেন করতে পারেনি নারীর অন্তরে লাগা দাগগুলোকে প্রলিপ্ত?-
উনুনের আঁচে কিছু ইচ্ছে সেঁকছে ঘুঁটের মতো,
হলুদের কৌটোর গায়ে ঘোলাটে ডানা ছেঁড়া রক্ত;
তপ্ত হল্কা বাতাস যেন কীসের জ্বলন্ত ছবি আঁকে!
এঁটো থালায় খিদের সহ্য করার মস্ত উপাখ্যান,
মশলাদানি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অবজ্ঞার গুঁড়ো;
জমানো স্বপ্নেরা পিষে গেছে এলাচের দানার মতো,
তবু দারুচিনি লবঙ্গ ছুঁড়ে দি জোড়াতালির সংসার;
কাঁচা মাংসের মতো উলঙ্গ হয়ে পাঁচফোড়নে বেঁচে থাকা!!-
পাপ যত তাঁর নিয়ম ভাঙায়?
পাপ নেই তাঁকে ছুঁলে!
পুরুষ তুমি প্রেমিক হতে?
নারী না জন্মালে!-
হাসি মুখে ফুটল সকাল,
রক্তখাদকের মুখে ডুবল বিকাল।
অন্ধকারে চিতার আগুনে জ্বলছে
নারীর শরীর চিরকাল ।
- নির্ভয়-