তোমার নিঃসঙ্গতার কলমে রেখো,
আমার একরাশ প্রতীক্ষার দেওয়াল লিখন...-
দেওয়াল লিখন
রাস্তাদিয়ে বোবা ধূলো হেঁটে যায়, চারহাজারী চামড়া সঙ্গে নিয়ে,
রাজপথে স্তাবকতার ভিড় জমে;
কাঁধে ঝোলা নিয়ে একগাল দাঁড়ির ছেলেটা আটকে দ্যাখে-
ভেবে পায় না পরিহাসের হাসি, না কি অশিক্ষার রক্তচক্ষু
কোনটা যেন দেখাতে হয়?
ভুলে গিয়ে হেডফোন কানে গোঁজে।
ভিড় এড়াতে শর্টকাট গলিতে প্রহসনের চুনকাম,
'শ্রী' ফেরা আর কি- সময়ের প্রভাব,
অনেকটা ওই কালো রাস্তাটার মতো।
হেডফোনে গানের line বাজতে থাকে-
"সর্বনাশ, লিখবো তোদের সফেদ দেওয়ালে।"
একে একে কালি পড়ে দেওয়ালে- হাতের আঙুলে- মুখে,
আর, ভবিষ্যতে....-
#শেষবেলা ২
গড়িয়াহাটের ভিড়ে অনিমেষ ২ বছরের ফ্রেন্ডসজোন
সম্পর্ক্যের ইতি টানল, মনে মনে নিজেকে বোঝাল আর না,অনেক হয়েছে এই ভাবে আর যাই হোক কোন সম্পর্ক্য গড়ে না, রাসবিহারী গামী অটোতে বসে ভাবল আমাকে কঠোর হতেই হবে,ভুলতেই হবে চিরতরে..!!
সেই মত,
বাড়ি ফিরে নিজের ঘরের লাইট অফ করতেই.. অনিমেষের সব আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গেল.. চার 'দেওয়ালে' ওর দম বন্ধ হয়ে এল,নিজেকে বোঝাতেই পারছে না, যে সে ঠিক কাজ করেছে, এই দেওয়ালের ইট গুলো বদ্ধচিত্তে বলতে লাগল ফিরে যা এই
'Take as a granted' জীবনে।
-
দেওয়াল জুড়ে স্বপ্নেরা সব আঁকি-বুকি করে,
কখনো বা টাঙানো স্মৃতি বৃষ্টি হয়ে ঝরে;
অলস বেলার গল্পেরা সব পোস্টার হয়ে ঝোলে-
ফিকে হয়ে যাওয়া পুরোনো দেওয়াল বিজ্ঞাপনে ঢাকে।-
কখনো কি নিয়েছিস খবর!
কেন সে হলো নিখোঁজ রাতের শেষে?
লক্ষ করে দেখিস একটিবার, হৃদয় ভাঙ্গার গল্প,
তোর হৃদয়ের দেওয়ালে সে লিখে দিয়ে গেছে।-
জানি,অসুখ সেরে যাবে,
সেরে উঠবে শহরের প্রতিটা দেওয়ালে লেগে থাকা বিষাদগুলোও
আমাদের শহর তো জানে,
ছোঁয়াচে অসুখ ভালোবাসাকে বড় বেশি রকমের ছোঁয়াচে করে দিয়ে যাবে..-
পুরানো দেওয়াল বলে
শ্যাওলা ঢাকা স্বরে
রঙচঙ হীন এই আছি
বেশ বিরহ মাখা জ্বরে
আমারো তো গল্প ছিল
এক রঙিন নতুন ঘরে।
...অনামিকা মন্ডল ।-
ভিন্ন ধর্মের মানুষ আমরা,
আমাদের ভালোবাসাটা কেউ মানবে না।
চুপ কর তুই!
চারপাশের দেওয়ালটা পর্যন্ত আমাদের ভালোবাসাটা জানবে না।-