- মা, ঘুঙুরটা কার?
- আমার!
- কাল থেকে তুমিও যাবে নাচের স্কুলে।-
দীর্ঘ দুই কুড়ি পার হয়ে গেছে,বৃদ্ধাশ্রমে ওদের দেখা। সুভাষবাবু ৬৫ পেরিয়ে দুই ছেলের পেনশনের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব থামাতে আর বছর ৫৯ এর সরলা দেবী একমাত্র মেয়ের বোঝা হতে না চেয়ে।
কেউ জানেনা যে বর্তমানের এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ৪০বছর আগেই দুজন দুজনকে মন দিয়েছিলেন কিন্তু কেউ কাউকে বলতেই পারেননি। দুজনেরই বিয়ে হয়ে যায়,কিন্তু মনের টান যে বড়ই অদ্ভুত ছিল তাদের। তাইতো বৃদ্ধাশ্রমে দুজন দুজনকে দেখার পর,সুভাষবাবু আর ভাবতে দেরি করেননি,হারাতে চাননি সরলাদেবীকে।
ভালোবাসা যে কোনো কিছুর পরোয়া করে না। তাইতো সরলাদেবীর গায়ে উঠেছে আবার লাল বেনারসী,খোঁপায় সুভাষবাবুর পছন্দের জুঁই ফুল। আর সুভাষবাবুও তার প্রেমিকার পছন্দের খয়েরী রঙের পাঞ্জাবিতে সাজিয়েছেন নিজেকে।
তাদের এতদিনের ভালোবাসা পরিণতি পাবে আজ। নাই বা হল মুখে ভালোবাসি ভালোবাসি বলা,মনের মিল তো হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই।-
অণুর চাকরির জন্য ২লাক্ষ টাকার দরকার, অণুর সব গয়না বিক্রি করেও টাকার জোগাড় হলো না ৷ বিকেলে, শাশুড়ি মা বলে উঠল- তোমার বাবা সোনার গয়নাতেও খাদ মিশিয়েছে, তুমি তো একমাত্র মেয়ে, ছিঃ ছিঃ, ক্ষমতা ছিল না যখন মেয়ে জন্ম দিয়েছিল কেন?
অণু সে দিন খুব কেঁদেছিল, কিন্তু শাশুড়ি কে উপযুক্ত জবাবও দিয়েছিল, বলেছিলো- মা আপনার ছেলে সরকারী চাকরি করে বলে ২লাক্ষ টাকার পণ দিতে হয়েছিল,তারপর ঘরের সব জিনিস,গয়না, - আজ মনে হচ্ছে বাবা গয়নায় খাদ না মিশিয়ে,আমায় সেদিন খাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, আজ যদি আপনাদের দেওয়া পণের টাকাটা আমি চাই,তাহলে আপনি দিতে পারবেন,???
আমার বাবা আমায় সব দিয়েছে,তাই আমার বাবার ক্ষমতা ছিল মেয়ে জন্ম দেওয়ার,আপনি আপনার ছেলের জন্য অন্যের কাছের থেকে চেয়েছেন,তাই আপনার ছেলে জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত টাই ভুল ছিল........!
৷৷ আসলে খাদ টা গয়নার নয়, খাদ টা হলো মানুষের মনের সৌজন্য বোধের, প্রকৃত শিক্ষার... !
বড়ো ডিগ্রী থাকলেই শিক্ষিত হওয়া যায় কি... ? শিক্ষার পরিচয় পাওয়া যায় ব্যবহারে, স্বভাবে, সন্মানে, ভালোবাসায়...❤ ৷৷-
রক্ত আদান -প্রদানের কাজ
হয়েছে শেষ।
দূষিত রক্ত মিশে গেছে
বিশুদ্ধ রক্তে।
অলিন্দ-নিলয় হয়েছে
বদ্ধ কুটির।
মানুষটা হয়ে গেছে
পুরো নিঃশেষ।-
|| অশান্তির উপসংহার ||
সেদিন রাতে আর ব্লু টিক দেখিনি। গভীর রাতে মহাশ্মশানে নিলাভ আগুন দেখেছিলাম।-
|| অভিশপ্ত কাম-বাসনা ||
হাজার মনের ব্যথায় একাকিত্বে ভুক্তভোগী রিমঝিমের অনেকমাস যোগাযোগ না থাকা শৌনককে ম্যাসেজ, "অনেক রাগারাগি হয়েছে, রুম ঠিক করো, আর ভালো লাগছে না।"
রিপ্লাই এলো, "পরিযায়ী হোটেল। রুম নাম্বার-৪৩, বিকাল ৫টা।"
খবরের কাগজে এলো "পরিযায়ী হোটেলে গণধর্ষণ।"
রঙিন কাগজে রিমঝিমের সুইসাইড নোট- "শৌনক নির্দোষী। নাম্বারটি নতুনভাবে চালু হয়েছিল।"
পুলিশ- "ওতো কথার কথা"।-
প্রত্যেক বছর পুজোয় দেশে ফেরে অনয়। এই সময়টার জন্য ওর বাড়ির সবাই, বন্ধু-বান্ধব পাগলের মত অপেক্ষা করে। এবারও ঠিক পঞ্চমীতেই এসে হাজির। এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফিরেই দুচোখ খুঁজছে মিঠিকে, ওর ছোটবেলার বন্ধু। যাকে ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। ভাবতে ভাবতেই সে এসে হাজির।
পুজোয় হইহই করে কেটে গেল দিনগুলো, এবার ফিরে যাওয়ার পালা। অনয় এবারও তো কিছু বললো না! আকাশে উড়ে যাওয়া প্লেনের দিকে তাকিয়েই, প্রত্যেকবার ওর মনের কথা বলে মিঠি। অনয় জানতে পারে না। আরও দীর্ঘ এক বছরের অন্তহীন অপেক্ষা।-
অণুগল্পে : টেস্টটিউব বেবি
কমলিকা চেম্বার থেকে আসার পর থেকেই মন খারাপ,
উজান ঘরে ঢুকেই বলল ;
কি হলো অন্ধকার করে বসে আছো যে..
••• ( বাকিটা ক্যাপশনে রইলো) •••
[ ৫ই ফাগুন সন ১৪২৮ ]— % &-
𝐇𝐞-যা হয়েছে ভুলে যাও,কেন বসে আছো ঘন জঙ্গলে ?
𝐒𝐡𝐞 -এমনি বসে আছি আমি......
𝐇𝐞 -রক্তচোষা বাদুড় আছে এখানে ।খুব ভয়ংকর।
𝐒𝐡𝐞 -আবেগচোষা বাহাদুরের থেকেও?
-
ফোনে আর মাত্র ৬% চার্জ....
কিন্তু আমার এই মেসেজটার ওপর দুটো জীবন নির্ভর করছে!
স্টেশনের দিকে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে মেসেজটা টাইপ করলাম! আর ১%....
খুব ভালোবাসি....সেন্ড করার সাথেই স্ক্রিনটা কালো হয়ে গেলো!
ট্রেনের হুইসেল শুনলাম। মেসেজটা পৌঁছাতে দেরী হলো নাতো?-