শিব :- আর একটু থেকে যাও দুর্গা।
দুর্গা :- না, না ভোলেনাথ, সেটা হয়না।
শিব :- কেনো নয়।
দুর্গা :- এখনি মর্তে আমার অঞ্জলী হবে।
শিব :- কিন্তু ওখানে তো করোনা পুজো বন্ধ করে
দিয়েছে।
দুর্গা :- না, সরকার বলেছে পুরোহিত মিশে মোট
সাত জন থাকবে।
শিব :- ভক্তরা কি অঞ্জলী দিতে পারবে ?
দুর্গা :- তুমি বুঝছ না কেনো প্রাণনাথ ? আমার
ছেলে মেয়ে সব ওখানে চলে গেছে।
শিব :- ওরা তো সা অনেক বড় হয়ে গেছে।
দুর্গা :- তুমি কি জাননা লক্ষ্মী আর সরস্বতীর
ঝগড়া। লক্ষ্মী যাদের ধন বর দেবে
সরস্বতী মুখ ফিরিয়ে নেবে। আর
সরস্বতী বিদ্যা বর দিলে লক্ষ্মী ধন কেড়ে
নেবে। আমি তাই ওই অঞ্জলীর মাধ্যমে
ধন আর বিদ্যা দুটোই বর দি। আর
গণেশকে কার্তিক ভালো বসেনা। তাই
ঝগড়া হলে ভক্তরা শক্তির বর পাবেনা।
আর আমি ওই অঞ্জলীর মাধ্যমে শক্তি
দেব।
শিব :- তাহলে একটা অপায় বলো তুমি যেতে
আর আমিও সুখী হব।
দুর্গা :- তাহলে তুমিও আমার সাথে চল। আমার
তুমিও অঞ্জলী পাবে।
-
#অঞ্জলী
- খবরদার এক পাও এগোবি না ! একে তো নিচু জাত, তার উপর বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো, আবর্জনা খাওয়া মানুষজন তোরা। পুজো মণ্ডপে উঠে আসিস কোন সাহসে !
কথাগুলো একপ্রকার গর্জে উঠে বললেন বনেদি বাড়ির বড় গিন্নি মনিবালা মুখোপাধ্যায়। বললেন, তার সামনে দাঁড়ানো একটি চোদ্দ পনেরো বছরের মেয়ের উদ্দেশ্যে...
উত্তর আসলো শান্ত মিষ্টি গলায়,
- কিন্তু আমার যে মায়ের পুজো দেখতে খুব ভালো লাগে মনি জেঠি। মায়ের কাছে অঞ্জলী দেব বলে সকাল থেকে উপোস করে আছি। স্নান করে ধোয়া জামা কাপড় পরে এসেছি দেখো। আমায় ঢুকতে দেবে না কেন গো ?
- উপোস করা তোর এমনই কপাল রে মেয়ে, ও নিয়ে আর লোক হাসাস না ! আর ধোয়া কাপড় ? হা হা হা তোদের নিচু জাতের ধোয়া কি আর কাচা কি রে মূর্খ ?
- ওমন করে বলো না গো। আমি সত্যিই বলছি। নিচু জাতের কি মায়ের কাছে আসতে বারণ !?
- হ্যাঁ হ্যাঁ বারণ, আর কথা বাড়াস না তো, আমাদের অঞ্জলী দেওয়ার সময়ে আর বিরক্ত করিস না, যা দূর হ এখন থেকে...
**** বাকি ক্যাপশনে****-
তোমার অঞ্জলী এই ভাবে খ্যাত হোক -
" আমি সুখী যার সাথে,
সে চির সুখী হউক ! "-
তোমার নীরবতার মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে ইচ্ছা করে,
যেখানে থাকবে একমুঠো শান্তি আর একটু ভালোবাসা।
অঞ্জলী✍️-