তোমার চোখে চোখ রাখলেই ধেয়ে আসে
নেমে আসে আমার শরীরে রাতের সরীসৃপ,
আমি মুক্তি চাই সেই মাংসখাদক ছোঁবল থেকে
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট কষিয়ে ব্যথা মাপি।
তবু যন্ত্রণা ছিঁড়ে খায় আমার শিরা-উপশিরা,
আমি ছিঁড়ে খেতে চাই পিরামিডাকৃতি স্তন,
আঁচড় কাটি বাদামি চক্রবূহ্যের চারপাশে।
অরণ্য খুঁজতে গিয়ে থমকে দাঁড়াই নাভিকুঞ্জে,
আমি জানি, আগেও দেখেছি...
এর খানিকটা গভীরেই পাপ-পূণ্যের উপনদী আঁকা...
কে যেন আমার দৈত্যরাজ্যের কড়া নেড়ে বলছে,
এক ডুবেতেই মুক্তি পাবি, দুই ডুবেতে সুখ...
আমি ডুবতে ডুবতে তলিয়ে গেছি বিষাদগ্রস্থে,
দেয়াল হাসে আমায় দেখে, ফিসফিসিয়ে বলে -
তিন ডুবেতে ছন্দপতন, তোর জ্বর বাড়বে খুব।
ভুলে গেছি আমি কোথায় - অরণ্যে নাকি সমুদ্দরে
জলরাশিতে কুঠারাঘাত, অরণ্যে দিচ্ছি ডুব।
ভ্ৰান্ত আমি, ক্লান্ত আমি, নিশাচর পশু, অবাধ্য দানব
ভালোবাসা কি বেঁচে আছে আদৌ এই অগ্নিগর্ভে ?
অরণ্য সৈকতে শুয়ে আছে হিংস্র কিছু শব।
তুমি-আমি ঘুমের ভানে মাখছি গায়ে হিম-আরব!
# নিশাচর
-