শহর জুড়ে ঝড়ের দাপট,
নিরুদ্দেশে টুকরো মিথ্।
গুমোট প্রেমে আমরা দু'জন,
দিনযাপনে সত্যজিত!-
কলম লিখুক কাব্যিকথা, আলটুসি মেঘের গল্প।
Writing ... read more
বলতে পারো,
কেন যত্নে রাখি তোমায় এতো, আদরে-আবডালে?
কেন ফিরতি পথে থামতে পারি, হঠাৎ বৃষ্টি এলে?
কেন আছড়ে পড়ে নামতা শোকের? প্রহর প্রহর গোনা?
মনে আছে সেই মেয়েটাকে, যে আজও আধোচেনা?
শুনলাম, তুমি ঠিকানা বদলেছো। অন্য শহর, একা।
আমার আলগা হাওয়ায় গা ভিজিয়ে, আরেক 'সেদিন' দেখা...
মনভাঙনের হাজার ফেরি, তবু হিসেবটুকু চলে।
মুখচোরা সব কাব্যি থামে, তোমায় ভীষণ দেখবে বলে।
তবু,
হোক না, হিসেবনিকেশ অমিল কোথাও,
দূরে দূরে সরে থাকি..
ছড়ানো ছিটানো ভালোলাগা আর
খুব শূন্যতায়, একাকী।
প্রশ্নগুলো তেমনি থাকুক, যেমন তিনটি বছর আগে,
শুকনো পাতার আঙুল ছুঁয়ে, পরিযায়ী ক্ষতের দাগে।
এক-একটা দিন, মাস, কত মাস...ফের ইত্যাদি ভুলে তুমি,
মুঠো মুঠো রোদ, চোখ ভিজে যায়, আমি অবিরত ভুল করি।
তোমার সময় কিছু বিকোয় রোজই মনখারাপের দরে,
আমি দু'হাত পেতে স্বপ্ন কিনি, চার দেওয়ালের ঘরে।-
সেই বিকেলটা ধূসর লাগে। একলা কেমন, আমার সাথে ভীষণ মিলে।
আজ নাহয় ফের বদলে গেলে। হঠাৎ আপন, অনেক আগে যেমন ছিলে।-
বিশেষ দিনে, বিশেষ করে, আজ তাকে নিয়ে লিখি;
নিত্য নতুন, কত কি না, যার থেকে রোজ শিখি।
অল্প কথায়, মন ভোলানো, সে হৃদয়ের খুব কাছে;
আবৃত্তিতেও তুখোড় ভীষণ, আর গল্প লেখার ধাঁচে।
একটু-আধটু অভিমানী তাও, মনটা যে তার দরাজ,
শিরায় শিরায় কবিতা বাঁচে, রঙিন স্বপ্ন-কোলাজ।
জন্মদিনে আদর দিলাম, এত্তটা ভালোবাসা,
খুশির রঙে জীবন সাজুক, ভালো থাকিস তিয়াসা।-
যে বিকেলে তুমি আমি আর
খুচরো রোদের আঁকিবুঁকি,
সে' শহরে খুব যত্নে আজও
চার দেওয়ালের হিসেব টুকি।
যে আকাশে রোজ মেঘের গুজব,
বৃষ্টি নামায় অনায়াসে,
সে' শহরে ঠিক তোমার মতো
ভালো থাকাটা অভ্যাসে!-
বড়দিন আর নতুন বছর উপলক্ষে অলিদের বাড়ির সামনের রাস্তাটাও রঙিন আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কয়েক ছটাক আলো অলির বিছানার সামনে বন্ধ জানলার কাঁচের ওপরেও এসে পড়েছে। অলি পাশের ঘর থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়। ঠাম্মার সাথে আরেকটু ঘেঁষে শুয়ে একদৃষ্টে জানলাটার দিকেই তাকিয়ে থাকে। ঠাম্মার গল্পের সেই রাজকুমারী আজ অ্যাডভেঞ্চার-এ গেছে। একটা আশ্চর্য শক্তিসম্পন্ন পাথরের খোঁজ নাকি সে পেয়েছে, যার দ্বারা সমস্ত দুঃখ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায়! তারপর! ঠাম্মা এটুকু বলেই ঘুমিয়ে পড়েছে। অলি কল্পনায় তার হাতে সেই পাথরটাকে দেখতে পায়, আরো কত কি....।
দূরে কোথাও নিউ ইয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে... ফাইভ...ফোর...থ্রি... অলির চোখদু'টো ঘুমের ভারে বন্ধ হয়ে আসে। স্বপ্নে তার পারফেক্ট ফ্যামিলি। বাবা, মা আর মাঝখানে তাঁদের হাত ধরে অলি।
-
"যত দূরে যাবে চোখ তুমি ছাড়া কিচ্ছু নেই কেউ কোথাও",
নিস্তব্ধ রঙ পড়ে থাকে নুড়ি-পাথরের ঘরে।
তুমি-আমি জুড়ে শুধু ঝাপসা ঝড়ের গন্ধ-
পরতে পরতে যার মুখচোরা অভিযোগ!
আচ্ছা, খুব রেগে গেলে বুঝি
এখনও কবিতায় সাজাও আঁকিবুঁকি?
কিশোরীর এলোচুলের ভিড়ে
আজও তাকে হারিয়ে ফেলো কি?
আমার আলগা ঘুমের নেশায়
কত 'তুমি'হীন স্বপ্ন এসে মেশে,
সারাটাদিন বেশ কেটে যায়,
কিছু গল্প বড়ো বেশি একপেশে!
তবু একটা বাহানা তো থাকে,
গলিপথ জুড়ে যখন 'তুমি-তুমি' রব ওঠে!
আমি ঘাপটি মেরে বন্দি থাকি,
নিরুদ্দেশে, অক্লেশে।
আজও রূপোলি মেঘে রঙ লাগেনা,
ইচ্ছে হলেই তাকে ছিঁড়ে ফেলা যায়। নির্দ্বিধায়!
অবহেলার এক শতাংশ ঢেলে
তবুও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছি। 'ভালোবেসে'।
অবকাশের বুকে চোখ ঠেকিয়ে একবার দেখো সেদিকে,
এখনও তুমি ছাড়া কিচ্ছু নেই, কেউ কোথাও...-
আয়ুরেখা ধরে বয়েছে নদী, মোহনা হারিয়ে কেউ...
সেদিন সময় পেলে আমাকেও লিখো, মনকেমনের উজান ঢেউ।-
এই যদি কোনো বৃষ্টিপাতে,
তোর সাথে মন, দুর্বিপাকে
এক শহরেই, চুপটি করে
এলোকেশী প্রেম, সহজ ভোরে,
ধর, নিরুদ্দেশের সঙ্গী হলি-
চেনাজানা মোড়, ধূসর গলি।
ভিজছি ভীষণ আকাশ জুড়ে,
মেঘের কোণে, অগোচরে-
তুই হাতটি ধরে বলবি আবার?
"চল, শুরুটা হোক প্রথম পাতার,
তুই-ই শেষটুকুতে থাকনা ফের,
একলা পথে তো হাঁটলি ঢের!"-
তার সাথে রোজ গল্পকথা,
ইচ্ছেডানা, স্বপ্নময়;
উছল প্রাণের আবেগ-গাথা
মনটা জুড়ে, যত্নে রয়।
সে কাছের ভীষণ, বন্ধু যেন;
সব বলা যায় নির্দ্বিধায়।
তার গানের কলি সুর ছোঁয়ানো,
আর হাসিটা মন ভোলায়।
আজ জন্মদিনে আদর দিলাম,
ভালোবাসার হলদে খাম।
সে ছন্দে-গল্পে বড্ড আপন,
'মিষ্টি দি' যার দিয়েছি নাম।-