আজ শেষ বারের মত তোকে দেখলাম।
আমার মনের মন্দিরে বসানো সেই সহাস্য মুখটার থেকে চিরকালের মত আজ পলক সরিয়ে নিলাম।
প্রত্যেক সোমবার সন্ধ্যা ৬টা,আমাদের সেই চোখাচোখি খেলা,মনে পড়ে?
আজ থেকে সব বন্ধ,তুই তোর ঘরে আমি আমার ঘরে।
"স্মৃতিটুকু থাক" বলে বিদায় দিলাম তোকে,মুখ তবু দিল না সায়।
আজও রইলি বাকরুদ্ধ তুই,চোখের ভাষাতেই আবার নিলি ঠায়।
তোর নিষ্পলক নেত্রের সেই অদ্ভুত চাহনিগুলো আজ বড় বিঁধছে আমায়,তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাতজেগে ভাবা সেই না বলতে পাড়া কথার ভিড়।
সত্যিই যদি না ভালবাসতিস আমায়,কেন তবে টানলি কাছে,কেন তবে বাঁধলি অমন বন্ধনে,
মৌনী সেজেই ধরাবি যখন হৃদয়ে চিড়?
কফি কাপে চুমুক দিতে দিতে নিজেকে আজ প্রশ্ন করি, "তাহলে কি এই ছিল আমাদের পরিণতি?"
পাশে রাখা ডায়েরি বলে "অনেক তো হল বাস্তব,এবার কলমটা তুলেই করেনে সব সাধ পুরণ,বদলে দে সব নিয়ম নীতি! "
-
যদি বলো ভিজতে চাও এখন,
শীতের বিকেলে বৃষ্টি ঝরাতে রাজি।
একবার যদি এদিক ফিরে তাকাও,
নিয়ন স্রোতে ভাসাবো গল্প আজই।।
এমনই একটা সন্ধ্যা নামুক আজ,
কবিতা হোক জমানো কথা যত,
পড়ে থাক পাশে জমে ছিল যত কাজ..
তোমার হাসিতে ধুয়ে যাক যত ক্ষত।।
-
যখন ঝাপসা কাঁচের ওপারে দেয় ব্যস্ততা হাতছানি
ক্লান্ত মনের জানলায় আমি রঙিন পর্দা টানি।
বর্ষামুখর হৃদয় খোঁজে এক চিলতে রোদ
অস্তরাগে দুই পৃথিবীর লুকিয়ে প্রতিশোধ।
আঁধারঘন সন্ধ্যা হেথায়, কাজ হয় না সারা
অন্য আকাশ দিনেও দেখে জ্বলতে হাজার তারা।-
এখনো যে অনেক দেখা বাকি,
অজানা জায়গা গুলো স্বপ্নের তালিকা থেকে,
বাদ্ দেওয়া বাকি...
নড়বড়ে প্ল্যানিং এর ইনফাইনাইট্ লুপে আটকে থাকি,
তবু সেই লিস্টে,নতুন নাম জুড়তে থাকি...
তাই এখনই যেন এই সন্ধ্যার, রাত না ঘনিেয় আসে,
এই দিনের যেন কোনদিন,শেষ না আসে...
এখনো যে অনেক করা বাকি,
নিজেকে দেওয়া শপথগুলো পালন করা বাকি...
নতুন দায়িত্বগুলোকে, কিছুক্ষণ ভুলে গিয়ে,
নিভে যাওয়া সেই, স্ফুিলঙ্গটার জেগে ওঠা বাকি...
এখনো যে অনেক অজানা কে জানা,অচেনা কে চেনা বাকি...
অসংখ্য ক্ষমা চাওয়া, আর অনেক ক্ষমা করা বাকি...
তাই এখনই যেন এই সন্ধ্যার, রাত না ঘনিেয় আসে,
এই দিনের যেন কোনদিন,শেষ না আসে...
-
তোমার মনের চাবিকাঠি
আমার মনের মাঝেই ছিল।
তুমিই দিয়েছিলে, সামলে রাখতে।
রেখেওছিলাম আমার মনের সিন্দুকে, সযত্নে।
একদিন দেখি, চাবি আর নেই।
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে।
খুঁজতে থাকি হন্যে হয়ে।
রাত্রে তুমি জানাও আমায়,
চাবিকাঠি তুমি নিজেই নিয়েছ,
সামলাবে তা অন্য কেউ।
একটা বারও জানালেনা,
কোথায় ছিল আমার ভুল?
সেটা যে ছিল আমারও জিয়নকাঠি।
নিয়েই যদি দেতে হয়, চাবিটা নিয়ে যাও,
আমার জিয়নকাঠি আমায় ফিরিয়ে দিয়ে যাও।-
Megher chayai
Sondhya namey
Akash hoy kalo
Maa go ebar
Shankh bajiye
Sondhya pradip jalo..-
অমীমাংসীত প্রেম
আমার এখনও মনে আছে সেদিনের সেই রাতের কথা।
তুমি চেয়েছিলে, আরও এক বার হোক আমাদের কথাবার্তা।
দিনটা ছিল শনিবার, সময়টা সন্ধ্যা।
বৃষ্টি ছিল ইলশে গুঁড়ি, বাতাস সোঁদা গন্ধা।
সঙ্গে ছিল আর কেউ না, ইট-কাঠেরই বাড়ি।
তুমি বলেছিলে, ফুচকা না খেলে আমার সঙ্গে আড়ি।
হেঁটে গেছিলাম অনেক রাস্তা, বৃষ্টি অনুসরণে।
অপেক্ষমান ছিলাম আমরা, তোমারই বাসের কারণে।
দক্ষিণে তুমি চলে গেলে বাড়ি, আর আমি উত্তরে।
পিছে রয়ে গেল সেই সন্ধ্যা, তোমার-আমার শহরে।
কেটে গেছে মাঝে একটা বছর, আরও এক মাস তারপর।
এখনও ভাবি, শেষ কি ছিল তা, নাকি শুরু সবে তোড়জোড়?-
যেন মৃত্যুর অপেক্ষায় যন্ত্রণাকাতর কোন শয্যাশায়ী।
মুছে দিয়ে জীবনের সমস্ত গ্লানি,
খোঁজ করে সে অসীম শান্তির।
কম্পিত বাহুডোরে মৃত্যু ধরা দেয় অবশেষে।
শুষ্ক অধরে উত্তাপ ছোঁয়ায় সর্বশেষ বাষ্প।-
পথ চলতে চলতে দেখি
সূর্য থেকে বেরিয়ে আসছে অসংখ্য গাড়ি
হূ হূ করে ঝাঁপিয়ে পড়ছে শহরের বুকে
নরম আলোয় ঢলে পড়া পশ্চিম,
বিস্ফারিত চোখে অনুভব করি
এখানেই সত্য, এখানেই লয়
এই তো চিরনতুন
চশমার কাঁচ থেকে রোদ পিছলে যায়
আলো পড়ে পিচ রাস্তায়,
মনে হয় এই আলোয় ধুয়ে যায় যুগান্তরের পাপ।
শত রক্ত ছুঁয়ে এসেছে গোধূলি।
জন্মান্তরের লজ্জা চাপা দিতে রাত্রি নামে। ©নুনম-
ঝোড়ো হাওয়া, ক্ষনে ক্ষনে বিদ্যুৎ এর ঝলকানি আর প্রবল বর্ষন....
এই দুর্যোগের সন্ধ্যা নির্ভয়ে কাটিয়ে শান্ত স্নিগ্ধ রাতের অপেক্ষা তখন ই করা যায়
যখন আমার বাহুডোরে
তুই এক শিশুর ন্যায় শান্তির আশ্রয় খুঁজে নিতে চাস....-