শেষ রাতে নিভে গেছে, প্রদীপের আভা,
মেঘে-মেঘে ঠোকা লেগে জ্বলে ওঠে আলো।
তুমি জানি মেতে ওঠো তারাদের খোঁজে,
শোকাহত শ্রোতা হয়ে বেসে ফেলো ভালো।
আবেগও ছোঁয়াচে খুব রোগেদের মতো,
পর কে আপন করে, কথা বিনিময়ে।
কালবৈশাখী তাই ক্ষত বয়ে আনে,
গল্পের নায়িকার যত সংশয়ে।
পেট ভরা মন খোঁজে আদুরে সোহাগ,
সচেতনে বিধি মানে ফ্যানের হাওয়ায়,
জানি আমি অপরাধী রাস্তার ভীড়ে,
রোজ ছুঁটি কাজ খুঁজে, পেটের জ্বালায়...
শ্যাওলা জমেছে আজ বহুদিন ধরে,
সাইক্লোনে উপড়ানো শিমুলের কাঠে।
তুমি ঘুম ভেঙে রোদ মাখো কংক্রিট ঘরে,
আমার সারাটা দিন রাজপথে কাটে।।-
আবারও আড্ডা হবে, বন্ধুর ঠেক কলেজ মোড়ে,
স্টেশনের মোমোর দোকান খুলবে আবার ছটার পরে,
মনে জোর বাড়তে থাকুক, ভাঙতে থেকো ভয়ের পাহাড়,
যুদ্ধ টা শেষ হলে ঠিক, দেখা হবেই তোমার আমার...
আবারও উড়বে ধুলো বিকেল বেলায়, গন্তব্য মাঠের টিলা..
গল্পরা গভীর হবে, থাপ্পর খাবে ব্যসল্ট শিলা!
শুধু একটু সময় পরে, রাস্তার ধার জমবে আবার ভীড়ে,
আর কটা দিন পরে, আমার শহর উঠবে আবার সেরে।
দুরত্ব দের পলেস্তরা পরবেই খসে কার্নিসেতে।
মন দের হোক যোগাযোগ এখন নাহয় হোয়াইটস্ অ্যাপেতেই!
"সবুরে ফলবে মেওয়া" এই কথ টা সত্যি ভীষণ।
ইচ্ছে তো হবেই পুরোন! একটু না হয় হোক অনশন।।-
ইতিহাস লেখা হবে তোমাদের নামে।
বিশাল শহুরে দেশ, সৌখিন ইমাতৎ চারিদিকে।
কারখানা, স্টেডিয়াম, সুউচ্চ মনুমেন্ট, সজ্জিত সভ্যতা।
কার্বণ ডেটিং-এতে করা হবে পরিমাপ, বয়সের।
কত শত সভা হবে, খতিয়ে কারণ খুঁজে,
ফিকশন লেখা হবে, এ দেশ ধ্বংস নিয়ে..
মহেঞ্জোদারোর মতো, মৃত্যু-শহর বলে জানবে সবাই...
তোমার মৃতের স্তুপ কাঁদবে তখন হাহাকার করে!
পরলোক বলে যদি থেকে থাকে কিছু,
আফসোস ছাড়বেনা, তোমাদের পিছু.....-
আমি দেখেছি বদল
প্রতিটা ইঞ্চি, প্রতিটা বিন্দু মেপে,
সময়ের দেওয়া তুচ্ছ সেকেন্ড
ঘড়ির কাঁটায় চেপে,
আদর্শবাদী শিরদাঁড়া যত
বাস্তবে এসে ঝুঁকে,
ভাঙার ভয়েতে হয়েছে নিলাম
স্বার্থ, অর্থ, সুখে!
বদল দেখেছি খুব চেনা চোখে,
সত্যির অনশনে,
প্রতিশ্রুতির পথ ভুল হয়ে,
মরতে দেখেছি ঋণে!
শ্রোদ্ধার চোখে দেখেছি লালসা,
সময়ের কথা শুনে,
চেনা সম্মান মিশেছে ধুলায়,
গোপণে বিষের গুনে!-
কোন এক রাত্রে যখন বইবে হাওয়া,
কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ি ছুঁয়ে,
জন্মের শতক পরেও গল্প আবার ঘুরবে তখন,
তোমার আমার আবেগ নিয়ে।
আক্ষেপ, রাগ, অভিমান পেরিয়ে তখন অনেক দূরে,
হিসাবি অভিজ্ঞতার শিলমোহরে,
দেখবে, বাসছে ভালো আবার নতুন ফুলের কুঁড়ি,
অভিমানও জমবে তাদের দুচোখ জুড়ে।
ভুল-চুক নতুন করে দেখতে পাবে সব শুরুতেই,
হাতাহাতি হবেই নেহাত অবুঝ প্রেমের!
ঠিকানাও ভুলবে পিওন, সময় বুঝে।
আমাদেরও হচ্ছে যেমন কথার ঘুমে...
তুমি জানি ভাবছো, আমি বইতে আবেগ বেজায় কুঁড়ে,
একঘেয়ে আস্কারা দিই রাগের প্রলেপ।
আসলে, গল্প নিজের লিখতে গিয়ে হয় না পড়া,
ভুল হয় অনেক হিসেব।
তবু শেষে তেহাই যদি সঠিক ভাবে ধরতে পারি,
স্বরলিপি বাজিয়ে হাতে,
গল্পটা চলবে জানো? পড়বে সবাই,
দুর্গাপূজার পত্রিকাতেই....!-
আমি ভীষণ নিঙড়ে নিতে পারি,
হাতের কাছে আকাশ, পাহাড়, মাটি..
উপেক্ষিত হাজার তারার ভীরে,
স্বার্থলোভী সূর্য্য হয়ে উঠি...
বুকের ভেতর আগলে আগুন পুষি,
ম্যাগমা চোখে দেয়না ধরা কারও..
চোয়াল সাজায় মিষ্টি কথার ঝালর,
জঠর বিষের বেরিয়ে আসার বারণ!
সময় যেমন চলছে চলুক সাথে,
আতস কাঁচে চোখ রেখে কী লাভ?
কথার খেলাপ হোক না কথার মাঝে,
মানুষ আমি! ভুল হওয়া এক স্বভাব..
''যুক্তি, হিসেব আবেগ থেকে বড়ো?''
এমনই ঠিক আমার তরবারি!
মিছরি তে রোজ শান দিয়ে সাথে রাখি,
গুড়িয়ে দিতে সহস্র ঘর-বাড়ি...-
চেনা পথ থেমে অচেনা অসুখে,
ঝঞ্জাটে বাঁধা যান-জঁট যত,
শব্দ বানেতে বদ্ধ চিবুকে,
নোনাজল ছুয়ে অগভীর ক্ষত।
চিৎকার করে বসে....
খোঁজ হীন দাবি চাহিদার ভীড়ে,
দেওয়া কথা মুখে, গুড়ো হয় ভেঙে,
প্রখর জীবনে পোড়া রোদ্দুরে..
রামধনু মেশে আকাশের রঙে।
মিটে যায় অবশেষে...
ভাঙা বিবেক আর জোড়া হাত নিয়ে,
সিম্প্যাথি খুঁজে রাস্তার মোড়ে,
হিসেবী দোষের বোঝ, কবরে শুইয়ে দিয়ে,
রাত মেখে ফেরা প্রতিদিন ঘরে।
ঘুম চোখে রোজ জেগে....
কথা দের ব্যাথা, বিষ দেয় ঢেলে,
অন্ধকুপেতে সব বন্ধ আবেগ।
রাহাজানি দেখি, দিনে চোখ মেলে,
বন্যায় ভেসে গেছে, আস্ত বিবেক!
ভেঙে চুরমার হয়ে, ধাক্কা লেগে.....-
সব নেতাদের প্রচার হয়না প্রিয়,
নীল পদ্মও ফুটতে পারে পাঁকে।
তাঁদের ছবি হয়না ছাপা নােটে,
হৃদয় জুড়ে রাজত্ব যাঁর থাকে।।
স্বত্ত্বা যখন ভারত মাতার স্বার্থে,
সুস্থ শরীর ব্যস্ত করেও সুখ!
"আরাম হারাম" বলতে হয়নি মুখে,
মৃত্যু যে তাঁর নেহাতই বিদ্রুপ।।
রক্ত কনায় হিমােগ্লোবিন সম;
আজও সময় থমকে তাঁরই নামে।
বন্ধ চোখে স্পষ্ট আঁকা ছবি,
মাঘের শীতেও কপাল ভেজে ঘামে!
গােল চশমায় ঠিকরে পরা জেদ!
দেশভক্তি জাগায় সবার বুকে,
গাঢ় সবুজ উর্দি টা আজও হেসে,
স্বাধীন দেশের মানচিত্র আঁকে....-
বছরের শেষে জমা উত্তাপ উবে গেছে,
চিঠি দের সাথে,
তবু কিছু মানুষের বিধি বাম,
সময়ের ভিড়ে।
শরীরের আনাগোনা হয় আজও,
হাত ধরে পথে।
উৎসব আজও বাঁধে আমাদের,
দুটো হাত ধরে।
কাঙ্ক্ষিত আশা দের পূর্ণতা প্রাপ্তি,
হবে ঠিক।
নিভে আসা সলতের প্রদীপেতে,
দিও ঘি!
উষ্ণতা মেখে দেখ, হাত কাঁপা হৃদয়ও,
বেশ থাকে নির্ভীক।
অভিমানে অবসর হয় যদি শেষ দিনে,
ক্ষতি কি?
শুরু হোক তবে এই অধ্যায়,
সময়ের শেষে,
যত যোগাযোগ বেঁচে থাক আজ,
হৃদয়ের দেশে.....-
চিন্তার দলিলেতে, ষোলো অানা
অধিকারে তোমারই তো।
তবু কথা থেমে মুখে,
মন ভরে জমে যত..
ঝোড়ো কালবৈশাখী শেষে,
তুমি ভেজা মাটি..
আমি জানলার ধারে বসি,
তোমার গন্ধে, মেতে উঠি...
ভালোবাসি আজও সেই,
দেখো, জমা ছাই তুলে
আবেগই তো বেচেঁ থাকে,
সব অভিমান ভুলে....-