অসহায় জাতি ডুবে মরছে,কান্ডারী তুমি দেখাও পথ;
মারণের বাণী শোনাও তুমি,হাঁকাও তোমার বিজয়রথ।
ছন্দ গানের এ অঞ্জলি গ্ৰহণ করো,হে কবি বীর,
বিদ্রোহী তুমি,কাব্য মন্দিরে চির উন্নত তোমার শির।-
তোমার ডাকে হাজার মানুষ নেমেছিল সেই যুদ্ধে,
সাহস তুমি জুগিয়েছিলে, গল্পে, গানে, কাব্যে!
ঈশ্বর তুমি আদতে! তোমায় মানুষ বলা ভুল;
এপার-ওপার সবার পুরুষ, তুমি কাজী নজরুল।-
মুঠোফোন চোখে চেপে, কোনো কোনো দিন
নিঃশ্বাসে ভালোবাসা কমে গেছে মনে হয়।
পকেটে দুহাত পুরে, কোনো সন্ধ্যায়
ভিড় ঘেষে একা হেঁটে, মনে হয়,
ফুটপাথে বিশ্বাসের মৃতদেহ জমে।
কোনো কোনো হোক কলরবে
মুষ্টিবদ্ধ হাতে কমজোরি দেখি,
প্রচারের ফ্লেক্স জুড়ে কলরব বাড়ে,
মানবিক কবিতারা শ্লেষ্মায় দম এঁটে মরে।।
তখন দুচোখ বুজি।
মনে করি, দেড়শো বছর আগে
আমিও শেকলে প্রাণ বাধা দিয়ে,
তিনরঙা পতাকায় চরকা এঁকে বলতেম,-
"জয় হে ভারত-ভাগ্যবিধাতা"।
অনাহারী হাঁড়ি পিছু ডেকে গেলে, আওড়ে নিতেম,-
"বল বীর/ চির উন্নত মম শির"।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভালোবাসা বেচে,
জাতজুত ভুলে এক দেশে মিশে, বুঝতাম
"মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান"।।
আসলে তখন উত্তাপ দিত
আগুনের মতো গনগনে কাজী নজরুল,
পরাধীন বুকে জোর দিত তাঁর লেখা-
"চল চল চল, উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল"।
দগ্ধ হৃদয়ে কর্ষিত হত প্রেমের চারাগাছ,
গুরুদেব যদি গেয়ে উঠতেন-
"আরো প্রেমে আরো প্রেমে/ মোর আমি ডুবে যাক নেমে"।
বারুদ লাগা হাতই হতো সেবাতে দরাজ,
হৃদয়ে রবীন্দ্র ছিল, পেশিতে নজরুল।।
এখনও শতাব্দী পরে
দর্পিত কংক্রিট রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে,
কোনো কোনো দিন মনে মনে আবৃত্তি করি।
মারা যাওয়া সহানুভূতিতে আলোড়ন ওঠে,
পাঁজরে সামর্থ্য পাই কিছুটা। বুঝতে পারি
মৃত্যুঞ্জয় তাঁরা অমোঘ সময়ে,
কংক্রিট এখনো হারে কবিতার অস্ত্রে।।-
जिसकी कविता के स्वर में विद्रोह गुंजायमान हो,
प्रखर आलोचक-विद्रोही काज़ी नज़रुल इस्लाम।-
बांग्लादेश के राष्ट्रीय कवि, साहित्यकार वो,
संगीत सम्राट, संगीतज्ञ एवम् दार्शनिक जो,
लगभग तीन हज़ार गानों के रचनाकर वो,
नजरुल संगीत या नजरुल गीति वाले जो,
सामाजिक अनाचार-शोषण के विरोधी वो,
धार्मिक कट्टरता को धता बताने वाला जो,
साहित्यिक रचनाओं से क्रांति लाने वाले वो,
विद्रोही कवि के नाम से मशहूर-प्रसिद्ध जो,
संस्कृत में पुराणों को पढ़ने वाले व्यक्ति वो,
भजन-कीर्तन-श्यामा संगीत के रचनाकर जो,
माँ दुर्गा के भक्ति भजन के रचयिताकार वो,
इस्लाम धार्मिक कट्टरता के सख्त विरोधी जो,
सांप्रदायिक सद्भाव एवम् सौहार्द समर्थक वो,
भारत एवम् बांग्लादेश में बेहद सम्मानित जो,
अग्रणी बांग्ला कवि काजी नजरूल इस्लाम वो।-
शब्दों की चिंगारी से समग्र क्रांति लाने वाले,
विद्रोही बांग्ला कवि काज़ी नज़रुल इस्लाम।-
সঙ্কার মেঘ আসিছে দুয়ারে
কাড়িতেছে প্রাণ ধর্মের শূল,
'সাম্যের গান ' ভুলিয়াছে সব
ভুলিছে তোমায়, নজরুল!
ভন্ড ধর্মী, স্বার্থের জিহ্বা
জিহাদের নামে, হিংসার স্পৃহা।
প্রাণ সংশয়, উদাসীন ..
সমরে আসিও, অসীম ছাড়ি
যোদ্ধার বেশ, ধর জটা ধারী!
রক্ষা কর দীন..
তাই পথপানে চাহি, রহিয়া অধীর
অপেক্ষা তব, হে বিদ্রোহী বীর।-
शब्दों एवम् सुरों की चाशनी का रस घोलने वाले,
क्रांति की अलख जगाने, चिंगारी भड़काने वाले,
धार्मिक कट्टरता के प्रखर आलोचक एवं विरोधी
अग्रणी विद्रोही बांग्ला कवि काज़ी नज़रुल इस्लाम।-
বিদ্রোহী সেলাম
..................................
ইসলাম তুমি তাই, বঙ্গ হিন্দু সবাই, তোমায় গেছে ভুলে।
ইসলাম-হিন্দু, সেই দ্বন্দ্ব-সিন্ধু, নেই এক বোঁটার দুই ফুলে॥
বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কলম যদিও আজ স্তব্ধ;
সে কালি ঘুচাতে পারে মনের কালিমা, পাপী হতে পারে জব্দ॥
তোমার ভাষার সে কান্ডারীর কবে পাবো দেখা!
তোমার কথায় হবে কি সেই কাঙ্খিত সাম্য-রেখা!
কে বলে? -হয়নি কোনও ভুল!
সবকিছু বিভক্ত যেখানে, ভাগ হয়নি নজরুল?
গীতা-বাইবেল-কোরআন শরীফ যেদিন সাম্য পাবে;
তোমার ভাষার সাম্য কি মানুষ-অমানুষের হবে!?
'খেলিছে এ বিশ্ব লয়ে' সেই শিশু কান্ডারী,
রহস্যময় সে খেলায় কবে বয় সাম্যের তরী!
কবে ফুটবে আবার এক বোঁটায় দুটো ফুল,
কবে গাইবে 'সাম্যের গান' কানাই-জোসেফ-হাসিবুল!!
চুরুলিয়ার দুঃখু মিঞা, আজ বিদ্রোহী কবি,
তোমারে বিদ্রোহী সেলাম।
হতে চাই 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম'- হিন্দু-ইসলাম॥-
نظروں سے لوگ گزریں گے لیکن خدا کرے دل سے ترے علاوہ کسی کا گزر نہ ہو
-