-
শ্রাবণ এবার চোখটি মোছো রবির কষ্টে না কেঁদে,
সে তো আছেই লেখায় গানে অমরত্বের সূত্র বেঁধে!-
।। নির্বাসন ।।
কতদিন কোনো কবিতা লিখিনি
অথচ, কথা ছিল...
তোমার জন্য লিখব-
'এক পৃথিবী কাব্য'।
কাব্যেরা আজ নির্বাসিত।
কতদিন কোনো নতুন সৃষ্টি
আমাকে মুগ্ধ করেনি,
কতদিন তোমার চোখে দেখিনি
সীমাহীন ভালোবাসা,
ভালোবাসার চেয়েও...
আমি বয়স্ক বৃক্ষের মতো প্রতীক্ষারত।-
সেই দিনও হল ঝড়- বৃষ্টি, ভেঙে গেল সকলের মন
শেষের কবিতা ফেলে রেখে, চলে গেল বাইশে শ্রাবণ।-
মৃত্যুকে ঘিরে জীবনের ছায়া,
আমার মুক্তি তোমার সৃষ্টিতে
আমার বৃদ্ধি তোমার প্রতিটি পংক্তিতে,
জন্মদিবস হোক বা মৃত্যুদিবস
তোমাকে স্মরণ করি প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
তুমি আছ মোর হৃদয় জুড়ে,
দিয়েছো জীবনের মন্ত্র, সুধা স্নিগ্ধ সমীরণ;
বক্ষ মন্দিরে পূজিতা হে নাথ,
নব নব রূপে আমার অন্তরে তোমার প্রকাশ।।-
আনন্দ মাঝে তোমায় পাওয়া, কখনও আবার বিপরীতে,
কখনো সুরের হাতছানিতে তুমি থেকে যেও অজুহাতে;
বিষাদে কেটেছে শ্রাবণ বেলা, তুমি ছেড়ে চলে গেছো যবে,
তবু হৃদয় মাঝে রয়েছো জানি, যেথায় "তুমি রবে নীরবে"...-
|| কবি প্রার্থনা ||
আজও জীবন্ত হয়ে আছে..
কবি তোমার সোনার তরী,
পারাবার করেছ সেই কবেই পার..
আমাদের তো সবে হাতে-খড়ি।
সঙ্গীতে সঙ্গীতে এ জীবন বিভোর..
যখন মেতে অনন্য সাধনায়,
আমরা যে আজও বন্দী..
তোমার ওই শেষের কবিতায়।
থাকো না তুমি, যেও না কোথাও..
আবার খেলবো চতুরঙ্গে..
জানি তুমি আসবে আবারও,
মাঝপথের কোনো এক উড়ান-ভঙ্গে।
তুমি হে বিশ্বপিতা, ফিরে এসো..
বিরাজ কর বিশ্বজুড়ে,
তোমার সম্মুখে জাগাবো স্পর্ধা..
'জনগণমন' সুরে।।-
অঝোর ধারায় কাঁদছে আকাশ
কারণ জানে ২২শে শ্রাবণ
রবির আলো অস্তাচলে ,ভাসল শহর কান্নারোলে
সেদিন দিনে হঠাৎ নামল জনপ্লাবণ।
নিপাত যাওয়া বিশ্বে আজো
প্রেম-বিরহে ভরসা যেজন
তিনি একমেবোঃ ঈশ্বরই বটে,
আসলে তো মানুষ নন।
তাঁর বাণী আজো মর্মে গাঁথে, অন্তরালে মনের কোণে
স্পর্ধা কি আর আমার আছে!
তাঁর কথা লিখি কালির টানে।
🙏🏼🙏🏼🙏🏼🙏🏼
-