বইছে জীবন নদীর মতোই, মনের অসুখ তুচ্ছ করে;
যে মেঘটা ভীষণ গুমোট, বৃষ্টি নামায় ভিতর ঘরে!-
নীরব থাকা যেটুকু হিসেব,
শব্দ খোঁজে অবিরত...
স্রোতস্বিনী ঠিক জেনেছে;
চেনা বাঁকেও ক্ষয়টা কত!
বাকীটুকু ফের কলমে,
বেঁধে নেওয়া স্বভাব জানি;
বিষাদ কিংবা ভালোথাকায়;
কবিতা তুমি অনেকখানি।-
ফেরার পথে ঋণ রাখিনি...
লম্বা সে পথ অভিমানী,
আমরা কেবল সেটুকু চিনি...
ঠিক যেটুকু নিজের মানি ।-
বাহানা তুমি দিতেই পারো, ভাবতে যদি অবাক লাগে...
জীবন পথে হোঁচট খেলে, লড়তে হবে একাই আগে।-
আড়াল করে রাখা ...
স্যাঁতস্যাঁতে কিছু ইচ্ছের ভীড়ে,
গাঢ় হয়ে আসে...
প্রতিশ্রুতিদের অন্ধকার;
আমি ভুলে যাই চেনা পথের ঠিকানা,
একটা-দুটো করে ঋণ বেড়েই চলে শব্দে!
শিরায় শিরায় সময় বয়ে চলে নিজের মতো;
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় টিকে থাকার শেষ অভ্যেসটুকু...
তবুও অনায়াসেই বয়ে চলেছি সেই স্থিরতায়,
সাক্ষী আছে এক আলোকবর্ষ দূরত্ব....
সাক্ষী আছে একটা গোটা পৃথিবী।-
আঁচটা বোধহয় সেদিন-ই পেলাম, ঠিক তুমিও বললে যেই...
সব হারানো গল্পগুলোর, হারানোর তেমন কিছুই নেই।-
প্রতিদিন নিজের লড়াই শেষে, প্রশ্ন আসে রোজের মতো ....
খোয়া গিয়েছে সবটাই?... নাকি হিসেব করে বাড়ছে ক্ষত!-
প্রতিবার পথ ভুলে হেঁটে যাওয়া অবিরত....
লিখে রাখে ভুলচুক সময়ের গন্ডিতে,
ভুলে যাই ডাকনাম, ফেলে আসা পথঘাট...
এক কোণে জুড়ে থাকা পরিযায়ী ইচ্ছেতে ।-
ঠিক যখনই তোমার শহর...
ভিজছে একাই পুরোদমে,
আঁকড়ে ছিলাম আমিও সেদিন
তুমি ভাবতে 'ঘটনাক্রমে'!-