আকাশবাণীর ভা-ব-ত-র-ঙ্গে জীমূত তরীর মন্থরতা ,
দুধ-আলতা শতদলে কীটের বাসা সুখ যোজনা |
স্ফটিক ছোঁয়া দূ-র্বা-কো-লে বুঝি রত্ন-গর্ভের আঁতুড়ঘর ?
বিষণ্ণতার ঝিল্লিভেদী প্রস্ফুটিত সৃজনতায় মুক্তচর |
কাশের চামর আতিথেয়তায় হিমঝুরি বন শরৎ চেনায় ,
ব্যস্তানুপাতিক রোজনামচায় ছাতিম সুবাস আতর মাখায় |
সতেজতার পা-ন-ব-র-জে দেখি গঙ্গামাটির কদুষ্ণ ছাঁচ ,
আনন্দময়ীর আসন শুদ্ধি ; দুশ্চিন্তার গজঘটা সন্নিপাত |
অভাব মোচন হি-ত-ক-র্মে, গর্ভাশয়ের প্রতি মন্ত্রপাঠ ,
যাগবেলায়ও আঁচড় হানে দস্যু-মানবের বিশ্রী দৃষ্টিপাত |
শান্তিজলে সাম্যবস্থা তিন-লিঙ্গের আগত আধুনিকা উদ্ভাবন ,
মনুষত্বের কাঠামো অ-নু-প্রা-সে লাগুক নবভাবনার যুক্তিকোন |
-
মহামারীর প্রকোপে বিধ্বস্ত নগরবাসী, শরতে উঠুক জেগে শান্তির বাণী
শিউলি কাশবনে মায়ের আগমনী সুরের সাথে যাক মিশে সকল গ্লানি।-
শরৎ মানে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা
শরৎ মানে শিউলি ফুল আপন মনে ঝরছে দু'বেলা।
শরৎ মানে হাওয়ার সাথে দুলছে কাশবন
শরৎ মানে প্রকৃতি রুপে মুগ্ধ করে মন।
শরৎ মানে সোনা রোদে ঝলমলে দুপুর
শরৎ মানে পদ্ম ফুলে ভরে থাকে পুকুর।
শরৎ মানে চালের উপর শিশির পরে টুপটাপ
শরৎ মানে ভোরের ভেজা ঘাসে হেঁটে চলি চুপচাপ।
শরৎ মানে দুর্গা পূজা বেড়ে ওঠা শৈশব
শরৎ মানে ভেদা-ভেদ ভুলে আনন্দ উৎসব।
— অর্পিতা
-
আকাশকুসুম/ অঙ্কিত দে
ও কে দেখেছো?
কেমন অনন্তে দাড়িয়ে!
বুকের আঙিনা তছ নছ ওর!
দেখো ওর চোখের তারা-
কেমন অবিকল রাতের মত!
অস্পষ্ট করে বৃদ্ধ অষ্টাদশ বেনামি ইতিহাস।
ওর স্তব্ধতা অনুভব করো,
শরত্কালে পাতাঝরা আটকাবে বলে
বসন্তেই গাছটাকে জড়িয়ে ধরেছে!
ওর উন্মাদ অ্যাখ্যা আজও আকাশকুসুম।
তাই নাম ধরে ডেকো না !
বরং ওর নামে আলো পাঠিয়ো!
তোমার উপেক্ষার কারণ আছে ওর কাছে,
তাই শব্দ কোরো না!
বরং ওর নামে আরও দুঃখ পাঠিয়ো!
বিধাতা কী ভালো রাখবে ও কে?
-
সব মেঘে বৃষ্টি হয়না,
কিছু মেঘ উড়বে।
কেউ কেউ ঈশানি হয়....
বাকিরা
শরৎ এর রোদ মাখবে।-
কখনো অতীত,
কখনো আবার নতুন করে শুরু।
কখনো বা রেখে যাওয়া,
কারো শেষস্মৃতি।
সব কিছুর সাথে মিশে আছে,
শরৎ আর শিউলি।-
যেদিন লালজুড়ীর রাশি রাশি
কাশফুলগুলো অভিমানী শীতল হাওয়ার
মনখারাপী অভিযোগ ভাঙাতে মাথা দোলাবে,
আমি শরৎ'র রৌদ্রকরঞ্জল আকাশের
একমুঠো শুভ্র মেঘ উপহার দিয়ে যাবো তোমায়,
তুমি ওতে মনখারাপী অভিমানগুলো
ধুয়ে নিয়ো কোন এক শরৎ'র শেষ রাতে।-
আবার এসেছে শরৎ।
আমি তাকিয়েছি আকাশের দিকে,
দেখেছি সাদা মেঘ ভাসছে।
আকাশের নীল মেঘের শুভ্রতায় ঢাকা!
এসেছে শরৎ,
আমি তাকিয়েছি নদীর দুই পাড়ে,
দেখেছি সাদা কাশবন হাওয়ায় দুলছে।
সবুজ ঘাসের উপর কাশফুলের শুভ্রতার আবরণ।
এসেছে শরৎ,
আমি দেখেছি নদী ভরপুর বর্ষার জলে।
পাল তুলে নৌকা চলছে, নদীর পানি ঢেউ খেলছে।
এ যেনো আরেক শুভ্রতা!
কোথায় পাবে তুমি এতো শুভ্রতা,
একসাথে শরৎ এর পরে।
আমি দেখেছি এ বাংলার রূপ-
আবার নতুন করে।-
শরৎকাল
আকাশে পেঁজা তুলোর মত মেঘ,
প্রশ্বাসে শিউলি ফুলের গন্ধ।
সেই সাথে বাতাসে
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মহিষাসুরমর্দিনী
শুধু পূজার আগমনী বার্তা দেয় না,
মাতোয়ারা মনে জাগায়,
বাঙালিয়ানা।
-