লিখি অনুকূল লিখি প্রতিকূল,
কবি, বেনামী কলমের ঈশ্বর,
গ্রহণে, জোনাকি হোক ধ্রুবতারা,
প্রজাপতি যেখানে ভাঙা ঘর।

-

বুক চিরে রেখেছিলাম,
বেড়ে উঠল ছত্রাক,
বেড়ে উঠল না প্রেম!

-

রাত গভীর, আলো-ছায়া!
মিঠে আকাশ মুখ।
নক্ষত্রের খসে পড়ায়,
কী চাঁদের দুঃখ- সুখ?

-

কবিরা আজ কবিতাকে ভুলে গেছে,
তবু কবিতার ছুটি নেই!
কবিরা আজ বড়ই ধোঁয়াটে,
আকাশ হতে চেয়েছিল ওরা!

-

মৃত্যু আসে, মৃত্যু যায়,
মৃত্যু খুবই অসহায়!
আজ বৃষ্টি হোক,
ধুয়ে যাক প্রহর, যত্ন!
পরাজিত সৈন্য কিছুতেই,
ভুলে না বেনামি ইতিহাস।

-

আকাশ কেমনে তোমাকে চায়,
বৃষ্টিকোল নিমেষে শব্দে হারায়।
কবি লেখে হৃত্পিণ্ড,
মস্তিষ্ক হাপিয়ে বিদ্রোহ জানায়।
আমি তোমার কথা বলি শূন্যতাকে,
জন্ম-মৃত্যু এসে আমাকে ঘুম পারায়।

-

মাঝে মাঝেই শব্দ হারাই!
গলায় নিস্তব্ধতা উঠে আসে।

চোখ বেয়ে নামে শেষভাগ প্রেম,
কবিতা চিৎকার করে!— % &

-

শহিদেরা গেথে গেছে যে উন্মুক্ত মাতৃ-প্রেম মালা,
তা ঈশ্বর-তুল্য শ্রেষ্ঠ।— % &

-

অভিমান লিখে চিঠি পাঠানো যেতো,
কিন্তু স্তব্ধতা আজ প্রাথমিক হোক!
আমি যাকে ভালোবাসি,
সে বহুপ্রাচীন বোবা।
ভালোবাসার উপন্যাস হিসেবে,
শুধুমাত্র জলন্ত কলঙ্কিত,
চাঁদ রেখে গেছে।— % &

-

বিশ্বচরাচর, চাদের আলো।
কাল ঝড়-বৃষ্টি ঋণ শোধ দেবে।— % &

-