যে রাধার, ময়ুরী দেহে প্রেমের ছোঁয়া,
যে রাধার, চুলের খোপায় কৃষ্ণ ঢাকে,
যে রাধার, প্রেমের আখ্যানে মুগ্ধ জগৎ,
সেই রাধা, বিরহের অগ্নিকুন্ডে জ্বলেছে আগে।
যে রাধা,কলঙ্কিনী হয়ে কেঁদেছিল নিরুপায়,
যে রাধা,ভক্তি ভরে সর্বাঙ্গ ঢেকেছিল কৃষ্ণনামে,
যে রাধা,ময়ুরপঙ্খী আপোষ করেছিল স্বস্নেহে,
সেই রাধার,রজনী তবুও ওষ্ঠ ছুঁয়েছিল বদনামে।।-
অভিসারিকা চলে রাধারানী,
শরমে লুকায়, নুপুরের ও ধ্বনি।
চপল নয়ন, ধির গমন
উতলা আজি শ্যাম শিরোমনি।
তরুলতা বনানী হেরি তায়, যেন যতনে আড়াল বিছায়,
পেতেছে আড়ি, ওই চন্দ্রমায়
নগরীর আড়ালে করে কানাকানি,
অভিসারিকা, চলে রাধারানী।-
রাধা কলঙ্কিনী
সব আশা যদি পূর্ণ হত, সব চাওয়া যদি পাওয়া যেতো,
আমি তবে তোমার হতাম, আমার হিয়া তোমায় পেতো।
যদিও এক রত্তি, স্বপ্ন হল না সত্যি,
তবে বুঝিয়ে দিল আমায়।
অপরিণত মনে, আড়ালে গোপনে,
বৃথাই চেয়েছি আমি তোমায়।
জানি তোমার এতে কিবা হল, কিবা আসে যায়,
কেনো বলো তো আমার হিয়া, এখনও বুঝতে না চায়।
বিরহ বেলায়, বিরহ সুরে, আমি আজ বিরহিনী,
না চাইলেও জেনো, থেকে যাব আমি রাধা কলঙ্কিনী।-
যখন আমি প্রেম আকাশে
অমানুষিক ছদ্মবেশ ধারন করব,
তুইও আসিস ঠিক তখন
অমানুষিক ধ্রূবতারার বেশে!
ওই দূর পথের প্রেম আঙিনায়
দুজনায় যাবো মিশে।
নয়তো আসিস ওই দূরের শ্যামকাননে,
যেখানে শুধু ফুলের মেলা,
আসব নাহয় আমি রাধারানী হয়ে
করব প্রেম প্রেম খেলা।
কিংবা আসব অলির বেশে
সেই ফুলটির ওপর,
যেখানে তুই আর আমি
থাকব জীবন ভোর।।-
মীরার মতো বাসবো ভালো রাধা হতে চাইনা তোমার,
স্পর্শে তোমায় নাইবা পেলাম হৃদয়টা থাক শুধুই আমার।-
রাধে তুমি তো বেশ সুখেই আছো তোমার আয়ান ঘরে...
আমি একা বিরহ শোকে তোমার তরে পুড়ছি জ্বরে।-
সত্যি কারের ভালোবাসা দুটি আত্মার মধ্যে হয়
আর তার জন্য কোন নামের প্রয়োজন নয়
নামহীন সম্পর্কে একসাথে থাকলে সমাজ করে চিৎকার
তাদের জন্য ভালোবাসারও নাম থাকা দরকার
নামহীন এই সম্পর্কে কলঙ্কিত হয়েছিল রাধা
তাই দুজনে সম্পূর্ণ করি চলো আমাদের সাতপাঁকেবাঁধা-
রাধা! বললাম না তোমায় প্রিয়তমা
কানাঘুষো শুনি তুমি কৃষ্ণের সখী
লোক লজ্জা তোমায় পারেনি ছুঁতে
আমি একাকী বদনামে মুখ ঢাকি
সমাজের চোখে নপুংসক আমি
সময় নিয়ে বুঝতে একটু যদি
পুরুষ মানুষের যন্ত্রণা বোঝো?
চক্ষু আড়ালে আমিও যে কাঁদি
অভিযোগে না বেদনা থেকে বলি
রাধা! অন্তর আজও তোমায় ভালোবাসে
শরীর দিয়ে মাপলে অক্ষমতা
বুঝলে না মন, দিলে না ধরা এসে
হৃদয় আমার অজস্র খন্ডে ভাঙে
তোমার পরে কৃষ্ণের নাম শুনে
তোমার কাছে হয়তো তুচ্ছ সবই
আমি বুঝি একতরফা ভালোবাসার মানে
লিখছি পত্র টলমল চোখ নিয়ে
ব্যর্থ আমি পাইনি মনে স্থান
জানি ভীষণই অযোগ্য আমি
ইতি, তোমার নামমাত্র স্বামী আয়ান-
প্রিয়তম, তুমি আগন্তুকের মতো ;
ধুপ করে কি একবার, এসে পড়তে পারতে না!
বাঁধতে কি পারতে না.. আমায় নিয়ে একখানা গান?
হঠাৎ করেই-
মৃতদেহের ভিড়ে একাকী কোথায় হারিয়ে গেলে ??
আজ শুধু আগামীর শূন্যতায় লেগে আছো তুমি;
আগামীর অপেক্ষাতেও আছো জীবিত!
যদিও সব অপেক্ষার ফল,
সুখের হতে পারে না জানি-
সে যাই হোক,এক জন্মে আমাদের সবটা যে পাওয়া হয় না....
তবু নিজের সৃষ্টি দিয়ে আমি, তোমায় বাঁচাতে চাই;
জ্বলজ্বলে তারায় লিখতে চাই গান...তোমার নামে।
পারলে অন্য কোনো জন্মে বনমালী হয়ে ফিরো;
আমি সে জন্মে, রাধা হয়ে কুঞ্জ সাজাবো তোমার নামে।
-