দু'টো একটা পালক নয়। অজস্র পালক ছেয়ে আছে এখানে। কত গাছ মাথা নুইয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, সবাই যেন বলছে হেরে গেছি হেরে গেছি। লন্ডভন্ড ঝড়ে যে কত আশ্রয় হারালো! পাখিগুলোর বাসা ভেঙে চৌচির। মরা পালকগুলোর ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে বুকটা হু হু করে ওঠে। মানুষ যেমন তুলোর ওপর আরাম করে শোয়, পাখিদের বাসায় পালকের ওপর ঠিক তেমন পাখিরা..। মরা পাখিগুলোকে বোধহয় বনকর্মী সরিয়ে নিয়েছে। পালকগুলোই পরে আছে শুধু।
হঠাৎ শুকনো পাতার আওয়াজে ওদিকটায় তাকালাম। একটা পাখি মাটিতে পড়ে ডানা ঝাপটাচ্ছে। বোধহয় উড়তে চাইছে কি? বনকর্মীর লোকজন দেখতে পায়নি এই পাখিটাকে? এখন আমাকে দেখতে পেয়ে হয়তো উদ্ধার চাইছে পাখিটা। কাছে এগিয়ে গেলাম, ঝুঁকে গেলাম পাখিটার কাছে।
আলতো করে হাতে নিয়ে তুলতেই ভীষণ জোর ডানা ঝাপটালো।
মানুষের ছোঁয়া খুব একটা বড় পায়না যে বনের পাখিরা। তারপর দ্রুত
উড়ে চলে গেল অরণ্যের গভীরে...
আমার হাতে দু'টো একটা পালক উড়ে এসে পড়লো। মরা পালকগুলোর
মাঝে এই দুটো পালকেই টাটকা প্রাণের গন্ধ পাওয়া গেল..
পাখিটা উড়তেই চাইছিল...-
পাঁচফোড়ন
--------------
চারিদিকে সন্ধ্যাকে ঘিরে কুয়াশারা খেলায় মেতেছে,
হালকা নীলাভ শূণ্যে করে গোনা পাঁচটি তারা ,তাদের চরিত্র প্রকাশে আজ ব্যস্ত।
পূর্ব-পশ্চিম দিগন্ত হতে পাঁচ পাখি ডানা মেলেছে গন্তব্যের দিকে,
পূর্ব কোণে হালকা উজ্জ্বলতায় টুকি দিচ্ছে নীলিমা।
পাখিরা তাদের কন্ঠস্বর ছড়িয়ে দিচ্ছে মুক্ত বাতাসে,
বাতাস যেন মনোসংযোগে কর্ণপাত করছে পাখিদের গান।
ধীরে ধীরে কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিল সন্ধ্যা!
চারিদিক বিরাচ করল নীরবতায় ভরা স্নিগ্ধ মৃদু বাতাস।
পাখিরা পাঁচফোড়ন পরিচয় দিয়ে গেল ঘন কুয়াশার মাঝে।।-
চারিদিকে কতো মায়া'র টান,
আমার গ্রামে ফাঁকা উঠান
বসে বসে ভাবি আমি একাকী
খবর আনবে আজ পাহাড়ী পাখি...-
শালিক..
শালিকের কথা বলবো কি আর
একটি পা যে অচল তাহার
উড়ে এসে রোজ বসে উঠোনে
দুপুর হলে গাছ থেকে নেমে।
শালিক রে তুই থাকিস আকাশ জুড়ে।
হঠাৎ করেই কি হলো তোর জীবনে?
আসিস না কেনো খাবার খেতে?
আমি তো দেখি না আর তোরে?
আমাদের বাড়ির চত্বরে....
শালিক রে তুই কোথায় গেলি উড়ে?
17.11.19-
শালিক যখন ঝগড়া থামায়, জোড় ভেঙে হয় একাকী,
মানুষের ঝগড়ার কারণ তখন, ওই শালিক পাখি।।-
বাচ্চাটির বয়স দশদিন,
ডেকেছিল পালকে গা;
ঝড়ে করে মৃত্যুবরণ,
খেয়েছিল আমফানের ঘা।-
একঝাঁক পাখি যাচ্ছে উড়ে,
নতুন পথের সন্ধানে।
ডাকাডাকি করে চলছে সবাই,
অজানা অচেনা পথ চিনে।-