একখান নৌকা ছাড়বো ভেবেছি, যদি জলে ডুবে যায়, তবেই। না ডুবলে তো! সাগরের একদম গভীরে যেতে পারবে না! আর সাগর ভেদ না হলে তো , জলগুলো শক্তিশালী হয়ে রইবে, নৌকাটাকে ভাসিয়ে রাখবে।তাই নৌকা আমার সাগর ভেদ করে , কষ্ট করে হোক, ঘর্ষণ লেগেই হোক, সাগর ভেদ করে পৌঁছে দেবে নানা খবর, খাতের কাছে।
গর্তের সাথে নৌকার! এমন একখান সম্পর্ক হবে, যা আমার ছোট্ট নৌকা খান সর্বদা আনন্দে থাকবে! তবে নৌকাটা কি পারবে সাগরের সাথে যুদ্ধ করে, খাতের কাছে পৌঁছাতে ? ভয় হয় পৌঁছানোর আগেই যদি ভেঙে যায়।
ও সাগর তুমি হয়ো নরম,
আমার নৌকার ব্যবহারে।
আমার নৌকা খবর দেবে!
তোমার ভালোবাসার খাতে...-
কাব্যমনের উজান স্রোতে
গল্পদের নৌকাযুদ্ধ,
কোন গল্পে ভাসাবো গহীন
কবিতায় তিরবিদ্ধ।
-ঋত্বিজা-
করছে সন্ধি নদী, নৌকার সঙ্গে আজ,
রোজ উঠছে জোয়ার ভাঁটার ঢেউ, শরীরজুড়ে মনকেমনের সাজ।-
স্তব্ধ চারিপাশ, গুমোট ভাব...নদীবক্ষের ঠিক ওপরে সুদূর পানে -
উড়ছে শুধু একটা চিল।
এমনই ক্ষণে হাজির হয় একটা নৌকা,সাথে তার শুভ্র ধবল পাল...
কথা শুরু হয় নদীর সাথে,নৌকা-নদীর বহমানতার কথা...
সেই সুদূর হিমবাহ থেকে কত পথ বয়ে শেষে সাগরে গিয়ে মেশার দীর্ঘ কাহিনী,
নৌকার যাত্রাপথ অত দীর্ঘ নয়...কিন্ত নাকি রোমাঞ্চকর... ধীরে ধীরে নৌকা, নদীকে ব্যক্ত করে তার জমে থাকা অভিমান, কবে নাকি সহসা উত্তাল নদী করেছিল তারে গ্রাস!!... শতছিন্ন পালসহ সে নাকি হারিয়ে গিয়েছিল নদীবক্ষে....
তাই করছে সন্ধি নদী নৌকার সঙ্গে আজ...
হঠাৎই ঝোড়ো বাতাস বয়,
সাথে সাথেই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে নদী...
নৌকা হারাতে থাকে ভারসাম্য,
পত্পত্ করতে থাকা পাল -
যে এই সন্ধির একমাত্র সাক্ষী, ভাবে
হায়রে!! এ কেমন সন্ধি!!!-
প্রভাতের গগনে মেঘের ভেলা
চতুর্দিকে বইছে স্নিগ্ধতার মেলা,,,
মাঝি তুমি নিয়ে যাও মোর মুক্ত ইচ্ছার ডালা।
তোমার অপেক্ষায় স্থানু হলাম মাঝি এইস্থানে
কারণ নির্দিষ্ট কোন সঙ্কল্প ছাড়া
মোদের জীবন হলো একটি মাঝিবিহীন নৌকার মত গাঁটছড়া।-
জানি আমার নৌকাডুবি তোমার তীরেই লেখা,
তাই তো আমি মাঝদরিয়ায় পাল তুলেছি একা...-
তোমার ভাবনার দেশে আমার নৌকা চেয়েছিল দিতে পাড়ি;
সাগরের জলবিন্দু অট্টহাসি হেসে মেলাই মাঝির দুর্ভাগ্যের ঘড়ি।-