অজুহাত থাকে ছোটোখাটো,
হাত ধরার অপেক্ষা রাখে ক্ষত;
আবেগি সুরে নবমীর আলোকরেখা
বছর পুরোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে আঁকা।-
আমার মন পাড়ায় সজ্জিত শৌখিন প্রাচীন মন্দিরে,
তুমি নবমীর নব সাজে লোকারণ্যের ভিড়ে ;
অপরূপার বেশে কাজল লতার স্থির পল্লব দৃষ্টিতে,
চাহিয়া রও শেষ রজনীর, নব নবমীর হৃদয়েতে।-
ঢাকের শব্দ, বিদায় রোল
মন জুড়ে আজ শুধু কান্নার বোল,
মমতাময়ীর বিদায় লগন
সম্মুখে শুধু আর কিছুক্ষণ।
শুভ নবমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা-
তাই কি তোমার চোখের কোনে জল?
নবমীর সিদ্ধিধাত্রী নবরূপা সাজে
সবার যেনো চোখ করে ছলছল।
রাত ফুরোলেই বিদায় মাগো
আবার করে শুরু দিন গোনা
এই অপেক্ষাতেই কাটে সারা বছর
শারদাকাশের মত মন হয় আনমনা।।
-
নবমীর সকালে পাড়ার মাইকে আগমনীর গান বাজছে,
আর মনের ভিতরে মায়ের বিদায় সুর।
এক অদ্ভুত মন খারাপ, যেন কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।
যানি বছর পরেই আবার আসবে মা, তবু মন যেন কিছুতেই বুঝতে চায়না।
কি অদ্ভুত না?
পুজো যেভাবেই কাটুক, ঘরে কিংবা বাইরে।
অষ্টমী পেরোলেই মন খারাপ সুরু।
ষষ্ঠী থেকে দশমী কখন যে এই পাঁচটা দিন কেটে যায় তা বোঝাই যায় না।
বিজয়ার পর থেকে আবার জীবন একই নিয়মে চলবে,
তাই এই পাঁচ দিন আমরা বাঁধন ছাড়া পাখি, শুধু ডানা মেলে উড়তে চাই।
আসছে বছর আবার এসো মা, এ বছর সঙ্গে করে নিয়ে যাও সকল বেদনা।
-
কেনো বিবাগি মনে পেতে চাও সে কস্ট ?
অপেক্ষা করো,মনের আন্তরীক্ষের ঘরে ।
কেউ তো আসবে,সে তবে মরীচিকা নয়,
তোমার মরুভূমি সবুজময় করতে,নবমীর হাত ধরে ।-
পাড়ার প্যান্ডেলটার সামনে দাঁড়াতেই,
মন খারাপ হয়ে গেলো গেলো সপ্তাহে
এই সময় নবমী ছিলো মা ছিলেন -
আজ সেই জায়াগাটা ভয়ানক অন্ধকারে
নিমজ্জিত হয়ে আছে - "ঠাকুর থাকবে কতক্ষন
ঠাকুর যাবে বিসর্জন"
এই কথিত প্রবাদটা বড্ড বাজে
সেই ছোটোবেলা থেকে।-
আজ আবার বাজলো ঢাক,
বাজলো কাসর,
বাঙালির একবছরের সুদীর্ঘ অপেক্ষার আগাম বার্তা নিয়ে এলো,
মহানবমীর এই জমজমাট,
বিস্তৃত আসর।
-
এলো তো সেই নবমীর দিন
ছিঁড়ে যাওয়া ঘুড়ি আর কি বা চায়
দূরে যাওয়ার দাবির সামনে হেরেছে সকল ঋণ
আসবেনা আর অপ্রার্থীত অস্বস্তির মুখ
ব্যাপ্ত হোক অধিকারে চাওয়া
সকল বৈধ সুখ-