অপেক্ষা কখনোই সুন্দর নয়, কোনোভাবেই না।
যারা অপেক্ষাকে সুন্দর বলে,
তারা কখনোই দেখেনি পূর্ণিমার রাতে আমার চোখ;
কখনোই দেখেনি আলোময় একটা মেয়ে
কিভাবে হেঁটে চলেছে এক মাথা অন্ধকার নিয়ে...
অপেক্ষা সেদিনও সুন্দর ছিল না, আজও নয়।
নয়তো অমন সাধের গাছ, যার কিনা
টকটকে লাল ফুল হতো, সে অসময়ে চলে যেত না।
তেমন'ই, অধরা থেকে যেতে না তুমি-
কেমন অহরহ আসা-যাওয়া হতো,
প্রেম-ট্রেম হতো হাতে চাঁদ পাওয়া,
জলের স্তরও বেড়ে যেত নিমেষেই, আমাদের...
অপেক্ষা, আজও খুব বিশ্রী ঋতু;
দরজায় টোকা এলে শুধু তুমি ভেবে ভুল করি।
অপেক্ষা, তুমি এলে ঝাঁপ দেবো কাঁটায়;
আর তোমার নাম হবে সুইসাইড নোট।।-
বরং থাক,
থেকে যাক ছোঁয়াগুলো আর একটু, তোমার হাতে।
চলে যাওয়ার সময় হাত নেড়ে না'ই বা ঝেড়ে ফেললে সবটা...
বরং থাক,
থেকে যাক কবিতা গুলো চোখেই, যা পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে তুমি।
যেতে যেতে ওটুকুও নিয়ে যাবো কোনো পুরোনো পাঠকের লোভে...-
হারিয়ে গেলে খুঁজতে এসো। পথের গায়েই বাঁকানো তীর।
ছড়িয়ে আদর, ধার-বাকি। কবে কে হয়েছে আঁকা নদীর?-
অথচ মানুষ হারালেই আমরা বিলিয়ে দিতে থাকি সব,
মাটিতে বিছিয়ে দিই মাদুর, ঠিক যেন ভোরের উঠোনে শিউলি-
কেউ কুড়িয়ে নেয়, কেউ গোছা গোছা'ই শাল পাতায় সাজিয়ে রাখে,
আবার কেউ গন্ধ নিয়েই চোখ সরায়, এক কৃত্রিম অন্ধকারে...
(পুরোটা ক্যাপশনে)
-
তফাৎ এটুকুই,
রাতভর দুঃস্বপ্ন দেখা মানুষগুলো দীর্ঘদিন বাঁচে।
মরে তো যায় তারা,
যারা স্বপ্ন না পেয়ে নেশার মতো ঘুমে ডুবে থাকে...-
বোকাসোকা রোদ-
সেও ভালোবাসা বোঝে,
সবসময় কেমন লেগে থাকে ছাতার গায়ে!
শান্ত বৃষ্টি-
ঠিক'ই জানে ঋতুর ফারাক,
জানে কোন ঋতুতে ফিরতে হয় কার কাছে!
অথচ এই চালাক মানুষ- শুধু বিবাগী হতে চায়...-
অভাবী মানুষদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়,
অথচ আমরা অভাব ভুলতেও রাস্তায় নামি!-
এই যাওয়া-আসার ফাঁকে
একদিন আমরা ছোট হয়ে যাই,
আমাদের মাঝে পথ বড় হতে থাকে...-
বোধহয়-
টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে সমস্ত দৃষ্টি নিয়ে
দিন পৌঁছে যায় রাতের কাছে।
বড্ড ভালোমানুষ এই রাত-
পাশে এসে বসে, দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আর বিছানায় পড়ে থাকা ঐ মানুষগুলোও
কাকভোর হলে তবেই নাকি আগুন নেভায়!-