অনন্ত রোষের ভেতর তুমি ঢুকে বসো
তোমাকে আর জল দিই না
ডিনায়ালেও উপযোগী পরিমিতিবোধ
একটি বাক্যে যোগাযোগ ছিন্ন করে ফিরি।
অতঃপর চাপ ধরা জোনাকির বোতলে,
হলুদ আলোর প্রিভিলেজে,
বন্ধুর নাম লেখে মধ্যেকার ফিলামেন্ট।
আমার তোমাকে এটুকুই বলার,
পা বাঁচিয়ে চলুক শেষ দশকের গুড়ো কাঁচ।
আর নৈপথ্যে যারা ভাঙ্গিনি কোনদিন
নিরাময়হীন শিরায় নিখুঁত ফিলিগ্রির কারুকাজ...-
অনেক রাতের নিঃশব্দ চয়ন
একদিন ভুলে যায় কাঁধ-ব্যাগের পিছুটান
চোখের নিচে হারিয়ে যায় নিখোঁজ নাবিকের ঘুম
পরিণতি জেনে জীবনমুখী স্বজনেরা।
যে ঝড় আর ওঠে না,
তার গর্ভে অন্তঃসলিলা
গুছিয়ে রাখে নাবিকের না ফেরা,
যেন গেয়ে চলেছে কেউ; মোনোটন্।
মাথার নিচে বেশ কয়েক দিন হলো প্রিয় বালিশটা নেই
ওই তুলো দিয়ে নিখুঁত বালিশ তৈরি হয়েছে।
ফেলে দেওয়ার আগে পর্যন্ত
প্রিয় জিনিসের খুঁত গুলোই কি ভীষণ নিখুঁত
সব 'পেয়ে যাওয়া'-র মানিয়ে নেওয়া হয়না
হার মানা দেহে বসে থাকে পরাস্ত রাজার দূত।
ভুলে যায়- জোর করে বসিয়ে রাখা দিল;
শেষ দু'দিনে ভেবে ফেলা আপন-
যোগাযোগহীনতায় "জীবন" যেমন অতিরঞ্জিত অন্ত্যমিল!-
crimson-prison
হঠাৎ কখনও লাল জামা পরে নিলে
খুশি হয়েছি, বিকেলের ব্রিজটার মত
ভাবি, লাল আমার প্রিয় রঙ হতো যদি!
খারাপ কি এমন...
যাদের প্রিয় রঙ লাল, চোখের পাতায়
চিকচিক আলো
তাদের আনন্দ চিত্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি না।
শিশুটি খেলার ছলে লাল ওড়না মাথায় নিয়ে
মা সাজে।
অথচ মাকে তেমন লাল শাড়ি পরতে দেখা যায়নি,
ময়নাকে প্রতি মাসে বেছে বেছে দেয়
একটা করে লাল সুতো।
লাল প্রিয় রঙ হলেই পারতো!-
|অভিযোগহীন|
জীবন কাছে এসে ধরা দিলে
অনিশ্চিত এর পা-এ বেড়ি পরিয়ে দিই।
সরলতা পরশপাথর। ছুঁয়ে দিলে বিদ্যুৎ
ছড়িয়ে ছারখার করে গত বাজারের ফর্দ
পুড়ে যাই তুমি, আমি।
প্রবলভাবে এরচে' বাঁচা শিখি;
জন্মের একাদশ পর্বে এই নিয়ে কথা হবে।
আপাতত আমরা দূরে সরে বসি
শব্দহীন হই
লাল-নীল সংসার গড়ে তুলি।-
হেরে গেলে জানা নেই কার কাছে যাব
তাই জিতে যাওয়ার লড়াই
আমার রুগ্ন পাজরে এক পশলা বৃষ্টি।
তোমাকে এই অসুখেই কাছে পেয়েছি ব'লে
কাছে যেতে ভয় হয়;
ভেঙে গেলে ফের ঘুঁটি সাজানোর
হাত নেই।
দূরে থেকেই কি অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য!
ফানুশ জীবন- জ্বলন্ত রুপের মায়া।
তারাদের অন্য তুলনা...
এড়িয়ে চলি।-
আরও কত দূর প্রবেশ করলে
নমনীয় হতে পারি?
ভাঙতে পারবে না কেউ, আওয়াজ আসবে না।
যথাবিধি, দেওয়াল ঘড়ি একলা ঘরে
অফিস ফেরত তোমাকে, দম ছাড়াই
সময়ের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এখনও চেষ্টা করছি গাছের বুকে মাথা পেতে
হৃদস্পন্দন শোনার,
জলের চলাচল স্বাভাবিক রাখার।
প্রত্যাশা না রাখলে ভাঙা ভাঙা দেহ
সমগ্র হতে পারে না কি?
প্রথা ভেঙে যারা চলে গেল তাবৎ বহতায়
তাদের সন্তরণ আমি শিখি নি।
আরও কত খাঁজে মানানসই হলে
নমনীয় বলা যাবে?-
|| ঝরে যাওয়া ফুল ||
আপাতত কিছুই বলার থাকে না আর
কাউকেই। বিষাদ ফুলগুলো আকাশ চেয়ে ইতস্তত
ছড়িয়ে দিচ্ছে ঘুম,
অজানা কারণে ঘুমের ভিতর তোমাকেই এ' রাস্তায়
নামিয়ে এনেছি আমি। কতক্ষণ ভেবেছি সমানে
কত কি! কত কি বলে ফেলবো...
ঘুম ভেঙ্গে, উঠে যাবো ভাবি। এমন জোড়ালো
ভাঙতে চেয়ে এপাশ ওপাশ করি;
তোমাকে বলে দেবো, ফুলের মৃত ঘ্রাণ
কেন এতো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লেগে থাকে দাগ
কি রেখে যায় ওরা, কেন ও'মন তাকায়, আর
অ্যানিনোমিটারে নৈঃশব্দের ঝড়
নিঃশব্দে ঘুমের ভাঙা পথে
তোমাকে হারিয়ে চলে যাচ্ছি
কথার সারি ধরে...
এগিয়ে গেলেই জানিয়ে যাবো তোমায়-
নিষ্ঠুর কারণ, অকারণ দাগ,
লাস্ট কলে কেঁপে ওঠা স্বর।-
ভীষণ ভাবে বুঝতে পারি
হঠাৎ করেই একদিন একলা হয়ে যেতে হয়।
নদী, গাছ, আকাশ কারোর প্রসঙ্গ না টেনেই বলছি,
বয়ে যেতে হয় ব'লে, থেকে যেতে হয় ব'লে
ছাদ রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব'লে-ই শুধু,
একটা এফোঁড়-ওফোঁড় সংসার
নকশিকাঁথায় কেঁদে মরছে। এ' ছাড়াছাড়ি কত খানি জরুরী
জানি না, তবে এ' ধরে রাখায়
ভাঙা ভাঙা ঘাটে পা ফেলে কোনো শিশু
আজও তোমার কথা ভাবে।
আমি তোমাকে ঈশ্বর!
তুমি জানো, তাই সামলাতে বলি না।-
বাবা-মা দুজনেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমায় বুঝিয়ে চলেছেন আমার কেন একটা চাকরির খুব দরকার। আমি রোজ ওনাদের মুঠো মুঠো সান্ত্বনা গিলিয়ে দিচ্ছি, ওষুধ না খেলে কি ভাবে আয়ত্তে থাকবে এই সব কিছু। আজ ব্লাড প্রেসার চেক আপ করে নড়বড় পা-এ এসে ওঁরা জানিয়ে দিচ্ছে, এবার আমার শান্ত হতে শিখতে হবে। আমার এ'সব কথা কাওকে বলার কোনো মানেই হয় না! আমার প্রেমিক আমাকে ভালোবাসে, আমারও উচিত ওর সাথে পালানোর ঊনপঞ্চাশতম প্ল্যান করার পর ওঁদের প্রেসারের ওষুধ গুছিয়ে আইবুড়ো যাবতীয় আলো ঝাঁকে ঝাঁকে জড়ো করে ওঁদের হাতে তুলে দেওয়া। পঞ্চাশতম প্ল্যানিং-এ পা টেনে টেনে হাঁটছি। আবারও বলছি আমি একটা মেয়ের কাজই করতে পারি; এর বেশি, ওষুধের মোড়কের পাশে ঈশ্বরের গন্ধ, জলের গ্লাসে আমার অবয়ব আঁকতে দেখি! শেষতম রক্তবীজ,"চন্দ্রবিন্দু" অক্ষর জ্ঞান হারিয়ে ফে'লে হাত ছেড়ে যাচ্ছে,
চলে যাচ্ছি তোমাদের ফেলে অনেক দূরে, অনেক...
-
||তরল||
এমন অসহায়ত্বের উদ্দেশ্যহীনতা!
টুপটাপ আলো
গলে জল হয়ে গেলে
নিজেকে আটকে রাখার অবলম্বন খুঁজি।
আর তুমি এখনও হুজ্জতি করা মেয়ে ভাবো আমায়?-