তাদের নিয়েই গড়ে উঠুক, যত আয়োজন..
এমন উৎসবে বেশি ছুটি, দেখতে পায় চোখে
অনেক মানুষ বছর ঘুরে, পা দেয় গ্রামের বুকে..
প্রায় প্রিয়জন ঘরে ফিরে, উৎসবটা দারুন কাটায়,
আসে তারা ধীরে ধীরে, পুজোর আশটা দারুন মিটায়..
কতো প্রিয়জন আসেনা, কাজের জ্বালায়,
কতো প্রিয়জন এসেও, পরে থাকে নালায়...-
নেশা চোখে তোমায় প্রথম দেখে
জানিনা কত টুকু আশ্রয় নিতে
পেরেছিল আমার হৃদয়,
তবে যেটুকু গন্ধ ছিল পুরোটা
দিয়েই আশ্রয় নিয়েছি তোমার
মনের ওই বোতাম টায়.. সকলকে জানায় শুভ দীপাবলি
তোমার মাঝে যদি তুমি একটু
আশ্রয় দিতে তাহলে,
জানিনা আমি তোমার জন্য
কতটা আমার বুক চিড়ে
সেই ভালোবাসাটা খুজতাম।-
তোমরা যাকে কালো বলো সে যে কৃষ্ণকলি,
আঁধারমণির চূড়ায় আলো হয়ে জ্বলুক দীপাবলি।-
আলোতে আলোতে ঢাকা আজ এই শহর। উঁচু উঁচু ইমারতগুলো ঢেকে আছে আলোর চাদরে। আকাশে উঠে যাচ্ছে আতশবাজি তীরবেগে, তারপর বিস্ফোরিত আলোর ঝাড় সারা আকাশ জুড়ে যেন বলছে আজ দীপাবলি...
সজল ফানুস ওড়াতে চেয়েছিল শুধু। কোন আতশবাজি নয়,
বরং ফানুস ভেসে গেলে বারো বছরের সজলের মুখটা জ্বলজ্বল
করে উঠতো। মনে হতো এই ছুটে গিয়ে ধরবে। প্রত্যেক বছর দীপাবলির সন্ধ্যে গুলো সজল আকাশের দিকে মুখ চেয়েই কাটিয়ে দিত। আর বাড়ি বাড়ি কাজ করে ফিরে আসা মায়ের হাতটা যখন সজলকে ছুঁতো অনেক রাতে, সজলের মুখটা আর আকাশপানে থাকত না, মাটি দেখতেই ভালোবাসে সে মায়ের কাছে কোল ঘেঁষে বসে। সজলের চোখ যে ভিজে যায় তখন...
আকাশে তখন আতশবাজির ধোঁয়ায় তারাগুলোও ঝাপসা লাগছে। সজল চোখটা মুছে নিলো, দেখছে একটা ফানুস ভেসে যাচ্ছে অনেকটা উপর দিয়ে...
সজল তো ফানুস ই ওড়াতে চেয়েছিল শুধু...-
বয়সের সংখ্যা বাড়ুক যতই , শত ভুল ঠিকের মাঝে আঘাতে-আনন্দে বেঁচে থাকবে ঠিক আমাদের
ভেতর ঘরের নিষ্পাপ সরল কচি বাচ্ছা.....
আর ও হ্যাঁ--আমাকে দেখে যারা প্রদীপের মতো জ্বলে,
ফাটে বাজির মতো ,তাদেরকেও দীপাবলির শুভেচ্ছা !-
আকাশ জুড়ে আলোর বর্ষণ
ভিজছে অলিগলি
আনন্দের সহিত জানাই সবারে
শুভ দীপাবলী-
উৎসবে মেতে উঠবে সবাই,
তুবড়ি রঙিন রংমশাল জ্বলবে আবার....
ওদের কথা কেউ ভাববেনা,
যারা সুরক্ষার কথা ভাবে সবার !
কথা বলতে পারেনা বলে,
প্রকাশ করতে পারেনা অভিমান....
বলতে পারলে বলত তবে,
"একবার শব্দ বাজি না ফাটিয়ে,
দেবে গো আমাদের সম্মান ??! "-
আলোয় আলোময় হয়ে উঠুক প্রতিটি ঘরের কোন
মুছে যাক যত আছে দুখ,আনন্দে মেতে উঠুক সকলের মন ।
-