সময়ের স্রোতে শূন্যতা বড্ড বাড়ে ,
একাকীত্ত্ব গলা টিপে ধরে প্রতিরাতে ,,
সম্পর্ক শেষ হয় অজুহাতে ,,
বিছানার চাদর ফাঁস হয়ে অনেক জীবন কাড়ে !!
অনুভূতি নিয়ে খেলা বন্ধ হোখ ,,
আত্মঘাতীতে উদ্যত মানুষগুলো বাঁচুক নিজের মত করে ।
-সংযুক্তা ঘোষ-
সুইসাইড নোট....
আমার মৃত দেহে পরিয়ে দিও লাল বেনারসি,
পা রাঙিয়ে দিও আলতা তে।
মৃত ঠোঁটে আমার লাল লিপস্টিক টা দিতে ভুলোনা যেনো তোমরা।
আর আমার সাধের ইমিটেশনের গয়নায় আমার গোটা শরীরটা মুড়ে দিও।
মাথার ধারে সব সার্টিফিকেট গুলো রেখো কিন্তু, যেগুলো দিয়ে আমি ....
যেগুলো দিয়ে আমি উচ্চ শিক্ষিতা হয়েছি কিন্তু শিক্ষিকা হতে পারিনি।
শেষ যাত্রা করার আগে ,আমার ভালোবাসা কে ছুঁতে দিও আমার শরীর।
আমার বুকে শেষ বারের মতন মাথা রাখতে দিও ওকে, আমাদের অপূর্ণ স্বপ্নকে।
সে যেনো রাঙিয়ে দেয় টকটকে লাল সিঁদুরে দিয়ে আমার মৃত সিথি টা।
এ জন্মের না হাওয়া সংসারে বেঁচে থাকুক কিছুদিন মৃত পত্নীর স্বামী।
পরের জন্মে আমি যাতে তারই , শুধু তারই হই জন্মান্তরের পরিণীতা।-
প্রায় সাত দশক আগে
হাওড়াব্রিজের সিলিং-এ
একটা সুইসাইড নোট
পাওয়া যায়, তাতে লেখা ছিল
"Tere hoth pe ruki huyi Jo Fariyaad
hay
Wohi meri Afsano ka darbaar hay
Kisi hasin lamhee se nikli huyi
Meri jine Ki akhri
Khwaish hay”….-
সুইসাইড নোট
একদিন আমি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে চাই।
চোখ খুলেই দেখবো আমি দাঁড়িয়ে আছি,
একটা এক হাত দৈর্ঘ্য প্রস্থের পিলারের উপর!
নীচের দিকে তাকালে সমস্ত মানুষকে লাগবে পিপীলিকা।
চওড়া রাস্তাগুলো যেন সব সরু নালা।
শুধু শূন্যের মাঝে পূর্ণ শূণ্যতা নিয়ে
আমার মনের মানুষকে বলবো মনে মনে,
দেখ আমি পেরেছি নিজেকে বুঝাতে,
পেরেছি কনভিন্স করতে।
না না তোমাকে কনভিন্স করার জন্য নয়,
আমি নিজেকে কনভিন্স করেছি,
যে আমি ঊর্ধ্বে উঠেছি চাওয়া পাওয়ার।
মেরেছি নিজের ইচ্ছে যত চাওয়া অপূর্ণ সত্তার!
নিচে নামার সিঁড়ি ভেঙেছি নিজ হাতে।
ফিরবো না আর আমি কারো কোনো শর্তে।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নেব স্বস্তির শ্বাস।
কোনো আফসোস নেই মৃত্যর সঙ্গী হতে।
নেই বাঁচার কোনো মিথ্যে অজুহাত।।
~~ স্থিতা রায়-