-
হাজারটা কালো রাতের শেষে গুটিকয়েক জোনাকি পুষেছি,
নাম দিয়েছি রোশনাই পাখি;
ছাতিম গাছের ডালে নেচে নেচে ঘুরে বেড়ায় দুঃখ বয়ে নিয়ে,
বৃত্তের দুই মুখের মতো জ্বলে নেভে তাদের আলো;
কি ভাবছো? বৃত্তের আবার মুখ!
হয় হয়... কারো থাকে সোজাসাপটা তো কারো বাঁকা;
আধভেজা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে চলে যায় তারা,
আমার ঘরে শব্দের চিৎকার তাদের ডানায় লেগে ভেঙে যায়;
সিলিং ফ্যানের দুলকি চালে সময় ফুরিয়ে আসে..
তবু তোমার আমার বিজোড় সংখ্যার দূরত্ব কমে না।-
_______________রাত______________
রাত মধুর সুরে যাই বইয়ে, দিন নেইনা খবর।
চাল যুদ্ধর তরে যাই ক্ষয়ে, ধান পাইনা খবর।
নিরালয়ে আছে বেঁচে রাতটা যে সুন্দরে,
হঠাৎ করেই ঢেকে যায় সূর্যালোকের আদরে..
মুগ্ধ হিমায় বেঁচে ওঠে রাতের যে শাখা.
অন্ধকারে খুঁজে কি পেলাম রাতের দেখা?
রাতেরো কষ্ট আছে, আছে কত ব্যাথা,
একবারো হাঁপায়নি তার লুকনো কথা...
সাহসে তৈরি বুক, চেতনা গুলো বাক্সবন্দী,
সময়ে পাচ্ছে সুখ, যন্ত্রণা গুলো নজরবন্দী...-
স্তব্ধ সকাল,
বিষাদ সুরে বেজে চলেছে সারেঙ্গীটা..
চোখের কোণে নিস্পলক হিসেবের ভীড়;
এক অদৃশ্য কম্পনে দুলে উঠছে পটচিত্র,
গতরাতের ভাঙা ফুলদানিটা মূর্ছা গেছে,
ফুলগুলো ছিটিয়ে আছে স্বপ্নের মতো!
জানালার ফাঁকে আটকে অশ্বথের ডাল;
আলো আঁধারীর খেলায় মত্ত পুরো সংসার,
সকালের আলোর ভয় রাতজাগাদের নেই।-
আজও এই মন বলতে চায়-
"হ্যাঁ ভালোবাসি"
রাতের মাঝে সেই ছোঁয়া -
এখনো আমি খুঁজি
ঘুম আসেনা চাঁদের আলোয়
চাপা কান্না ওঠে
বুকের মাঝে চুপটি করে
এখনো তাঁকে খুঁজি।-
রাতের কালো
তোর চোখে খুঁজেছি,
খুঁজেছি বুকে আবির রং..
তুই যে ভাবিস নাটক করি,
ভালোই নাকি শিখেছি ঢং..
শেষ রাতের সাক্ষী হোলাম,
হোলাম পাখি তোর খাঁচা'র...
তোর পাতাতেই আঁকবো আমি,
আঁকবো তোকে,
শখ আমার...
পথে নেমেছি, হাঁটবো বলে,
থামবো না, এ পথ চলা...
চুপ থাকি আমি,
এটা বাস্তব
তবে ভুলিনি কথা বলা...-
নিঃশব্দে বসে আছ–
স্মৃতির ভেতর...
ঘুমের ভেতর...
কথা বলো, সাড়া দাও,
নিশি রাত তোমায় ডাকছে...-
আদর জ্বরে পুড়ছে যখন কপাল
তুমি না হয়, ফিরেই শুধু চেয়
মন পোড়ানো আগুন খেলার মাঝে
তুমিই শুধু সোহাগ বাতি সেজ l-