শুধু রুপ খানি মোর লুকায়ে রেখেছি;
বিশ্ব পিতার চরণ তলে,
ভাব সাগরে দিয়েছি পাড়ি,
অরুপ রতন খুঁজব বলে।
......তারক মন্ডল চেতনা ✍️-
ভক্তের ছাড়া কেমন গড়বে তোমার রথ?
হে জগন্নাথ!
ভক্তের ছাড়া তুমি কি থাকতে পার এবার?
হে জগন্নাথ!
তোমার আমার দেখাতে কেন আজ প্রতিবন্ধক?
হে জগন্নাথ!
চাকা নয়ন তুলসি মালের সাজা রূপ দেখতে কি হবে না আজ?
হে জগন্নাথ!
প্রভু তুমি আছো এই হৃদয়ের সিংহাসনে
বিরাজমান আজ চোখ মুদে দেখে
নেবো তোমায় এবার
হে জগন্নাথ !
Nihar✍️
-
হে জগন্নাথ
*********
নন্দীঘোষ রথ চলবে আজ মনের আঙিনেতে
শঙ্খ ঘাঁটি বাজবে আজ মনের নিভৃত শহরে
হে করুণা- নিধান
জ্বলেছে ভক্তির দীপ আজ হৃদয়ের মন্দিরেতে
হৃদয়ের সুগন্ধি কমল পুষ্প অর্পিত তোমার পদে
হে করুণা -নিধান
বিরাজমান তুমি আজ তুলসী মালা, চন্দন পরে
নতুন হলুদ রঙের বেশে হৃদয়ের সিংহাসনেতে
হে করুণা -নিধান
মনের বাড়ি কলুষিত আজ সংসারের মায়াজালে
দৃশ্য হয়ে না তোমার দিব্য সুন্দর চাকা মুখ অন্তরে
হে করুণা -নিধান
পুড়ে দাও সমস্ত পাপ অংহকার মনের ঘরের
ভক্তি রসের যজ্ঞ কুন্ডে আজ হে দেবকী নন্দন
হে করুণা- নিধান
শুভ বিচার,শুভ চিন্তা,নির্মল ভাব, ভালোবাসা
উদয় হোক আজ মনের ঘরে হে চক্র ধারী
হে করুণা- নিধান
উদ্ধর উদ্ধর সংসারের দুঃখী জনে মুক্তি দাও
এই মায়ার বাঁধনে আজ হে ভক্ত দুঃখহরনকারী
হে করুণা-নিধান
তোমার পায়ে আজ বিনতি আমার সহস্র করি
তোমার ক্রুপা দৃষ্টি বর্ষণ হোক আজ হে জগন্নাথ
হে করুণা-নিধান
Nihar✍️
-
হে প্রভু ,
তোমারই আগমনে প্রশান্ত পৃথিবী ,
গ্রীষ্ম ব্যাপী দাবদাহে অশান্ত ছিল ধরিত্রী,
তুমি এলে মেঘ বালিকা নিয়ে,
দ্বি প্রহরের অপূর্ব সন্ধিক্ষণে ,
পড়ল টান তোমার চাকায়,
যুগ এগোবে নূতন ধারায়,
এমনই না কি শুনেছিলাম,
আমার ছেলেবেলায়;
সূচনা হোক এক নূতন দিগন্তের,
এক নিষ্কলুষিত যুগের ,
তোমারই পাথেয় হয়ে ।।
🙏 জয় জগন্নাথ 🙏
-optimistic ✍
-
পুরীধাম দর্শন উদ্দেশ্যে রওনা হলাম, শুভেচ্ছা প্রার্থী সকল বন্ধুদের কাছে।
-
প্রিয় জগন্নাথ,
আজ সেই মিষ্টি দিন ক্যালেন্ডার গুনে গুনে এলো বটে, কিন্তু তোমার এই জগতের হলো কী! মুখে মাস্ক এঁটে হাঁটছে-চলছে আশঙ্কা মাথায় নিয়ে, ঘিরে রয়েছে মৃত্যুভয়! তুমি তো জগতের নাথ, তোমার কাছে কি এমন, এসব দূর করা বলো তো? মানলাম পৃথিবীতে পাপ বরং বেড়েছে, তা বলে এরম শাস্তি! তুমি তো অন্য বিকল্প বেছে নিতে পারতে। সংহার নয় বরং একটা এমন উদাহরণ যা মানুষের মন শুদ্ধ করে তুলতো।
তুমিই বলো এরম ভালো লাগে! বাড়িতে বন্দি, আধ ঘন্টা পর পর হাত ধুয়ে যাওয়া,গা ম্যাজ ম্যাজ করলে কিংবা একটু জ্বর জ্বর লাগলেই ভয়ে আগেই মরে যাওয়া যে বিষানু ঢুকে গেল না তো! সারা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব! তুমি তো সব শুনছো, বলি মন গলছে না! হয়েছে অনেক মজা দেখানো, আর দিও না গো... ভালো লাগছে এভাবে কচি কাঁচাদের শিকল পরানো অবস্থায় দেখতে? স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে সকাল থেকেই তো রথ সাজানো। বেলফুলের মালা, রঙিন চুমকি, টুনি লাইট, নকুল দানা, বাতাসা, ধূপ সহযোগে বিকেল হতেই কাঁসর-ঘন্টা বাজিয়ে তোমাদের সক্কলকে নিয়ে বেরিয়ে পড়া। তারপর পাড়া ঘুরিয়ে, প্রসাদ বিলি করে, প্রণামী সংগ্রহ করে সন্ধ্যায় বড় মেলায় গিয়ে পুজো দেওয়া, ভেঁপু কেনা, পাঁপড় ভাজা আর জিলিপি খেতে খেতে মা-বাবা কে নাকাল করে এটা সেটা খেলনা কিনে 'জয় জগন্নাথ' বলে বাড়ি ফেরা।
আজ তো আর কিছুই হবে না। বাড়িতে সর্ষে ইলিশ,পাঁপড়ভাজা করে দিলেও, পুতু-টুবাই-পমপমদের দেখা মেলা ভার। তোমার একটুও খারাপ লাগছে না?-
তোমার পাপের বোঝা রথের দড়িটা নিতে পারবে তো?
তিনি যে অন্তর্যামী !
তিনি সব দেখেন, সব জানেন।
তিনি যে জগৎ এর নাথ
তিনি জগন্নাথ !
তাই
উপলক্ষের অহঙ্কারে নয়, সৎ অভীষ্টের অলঙ্কারে
পুণ্য হোক এই রথ যাত্রা !
শুভেচ্ছা সবাইকে-
রথযাত্রা এই বছর ধুমধামহীন,
আনন্দ, উৎসব সবকিছুই যেনো
অনাড়ম্বরতায় বিলীন;
ভার্চুয়াল জগতেই প্রভু
আজ তোমার জয়জয়কার,
সশরীরে রথ টানার সৌভাগ্য
এবছরও হলোনা আর,
আসছে বছর থাকবো একই ভাবে
তোমার অপেক্ষায়,
দুর্যোগের রেশ কাটিয়ে অচিরেই পৃথিবী সেরে উঠুক,
প্রভু জগন্নাথ দেবের অশেষ কৃপায়।।-
বিশ্ব জগতের দেব তুমি প্রভু জগন্নাথ
দুর্গম পথে হোঁচট খেলে ধরো আমার হাত।
তুমি চাইলে হয় অসাধ্য সাধন,
মোরা মিলিত হয় একসাথে;
আশীর্বাদের বৃষ্টি ঝরুক আমাদের উপর,
কারণ মনের মনিকোঠাই জগন্নাথ দেব আছে।-