দাঁড়িয়ে আছি,
এই সময়ে কি করে বাঁচি...
ভিজে দাড়ি বেয়ে ঘাম ঝরেছে
ঝরেছে লবন সারা গায়ে
বাষ্প হচ্ছি গরমে আমি
ক্লান্তি নেমেছে দুই পায়ে...
শুকনো ঠোঁট, অসাড় আঙ্গুল
তৃষ্ণা আমার বুক জুড়ে
বিষ ঢেলেছে কেউ রোদের আলোয়
রক্ত মাংস যায় পুড়ে...-
উষ্ণতা বাসা বেঁধেছে, সারাটা শরীর জুড়ে
প্রতিনিয়ত গলছি আমি, যাচ্ছি পুড়ে
গ্রীষ্ম আমায় আঁকড়ে ধরে...-
শুষ্ক বালি
ডালপালা ক্লান্ত
চাতক মাখছে রোদ...
তপ্ত বাতাস
আগুন হাওয়া
একটানা বিরোক্তিবোধ...-
মাথার ওপর বেহিসেবি অরূণ আলো
জামার কলার, গোঁফের আড়াল, ঘামছে দাড়ি...
ক্লান্ত চোখে অন্ধকার, দেখছি কালো
বুক পকেটের পয়সা গুলো ভিজে হচ্ছে ভারী...-
ভিজছি আমি রোদ দুপুরে
ঘামের গন্ধে টাল মাতাল,
শুকনো ঠোঁট, খুঁজছে জল
জল আগলে ওই পাতাল,
আ! উত্তাস!
এই গরমে পুড়ছে সবই বেসামাল,
গামছা ঘেমে, ঘামছে রুমাল,
ঘামছে আমার যে টাওয়াল...
শুভ ঘাম উৎসব...-
হদিশ হারিয়েছিলে গরম কোনো চৈতালি নীড়ে,
সন্তাপহীন মরু-বালু স্মৃতির আঁধিতে ঘিরে...-
গরম তুমি চরম বড়
আজ বৃষ্টিতেও ফুল মুডে।
বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টিকেও
ঠেলে দিলে ব্যাক ফুটে !!
-
এখন দিনের শুরুতে তোমার হিসেবেমতন একটা ফোন কল
দক্ষিণ খোলা ছোট্ট বারান্দায় একাকী দাঁড়িয়ে থাকা
কিছুটা হাওয়া বিহীন রোদে গা পোড়ানো
প্রতিবার নতুন নতুন পোঁতা গাছ গুলোর শুকনো হয়ে যাওয়া
এই তো রংবিহীন জীবন!
বৈঠকী আড্ডায় তোমার গান
গ্রীষ্মের দুপুরে আম পোড়ার শরবত
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আস্বাদন
কোথায় গেল সেসব দিন
ঘষা বরফ আর কাঠি কুলফি
বিলিতি আমড়ায় মাখানো টক ঝাল মশলা
তখন গরম ছিল উপভোগ্য বস্তু
সহ্যশক্তি এতোটাই প্রখর মা ঘুমোলেই
বেড়িয়ে পড়া রাগী জেঠুর গাছের পাকা পেয়ারা পাড়া
সঙ্গে ঝাল নুন পেঁপের সঙ্গে তেঁতুলের চাট
-
তপ্ত গ্ৰীষ্মে কবিতাগুলোর ,
হারিয়ে গেছে সুর
উষ্ণ বাতাস জানিয়ে গেল,
বর্ষা অনেক দূর...
-
আমিও সন্তাপহীন ফিরে আসব, একপা দুপা তুলে
তুমি চাইবে যেতে কোনো এক গরম দুপুর ভেবে ভুলে-