ঘড়িয়ালা - ঘড়ি ঘড়ি ঘড়ি, এই হাত ঘড়ি, হাত ঘড়ি, হাত ঘড়ি, এই পা ঘড়ি, পা ঘড়ি, পা ঘড়ি,
গ্রাহক - ক্যা!! কৈ লেন, কাকু- পা ঘড়ি, তো কুণ্ঠে পা ঘড়ি , দিখান! দিখান!
ঘড়িয়ালা- হ্যাঁ ভাঁইয়া, হাত ঘড়িটা পায়ে পড়লেই পা ঘড়ি হয়ে যায়...
গ্রাহক - তো কুতো করে, ঘড়ি
ঘড়িয়ালা -কোনটা বলো, বিভিন্ন দামের আছে তো..
গ্রাহক - উই যে পিছনের উইটা,
ঘড়িয়ালা- আচ্ছা ঐটা তো চেনের 250 টাকা..
গ্রাহক - (মনে মনে) ওরে বাবা,, আচ্ছা উইটা বিল্টের ? কুতো উইটা ..
ঘড়িয়ালা - ওটা 180 টাকা
গ্রাহক - 40 ট্যাহা হুবে..
ঘড়িয়ালা - ভাই রাস্তা দেখেন ... নাতো 👊 ...-- কোথা থেকে যে আসে মাল গুলো ...-
-চুলটা এভাবে কেন কেটেছ? পাকা চুল গুলো বোঝা যায় সেটা বোঝ না! বউও কিছু বলে না নাকি?
-থাক! তুমি আর বলো না! শাড়ি পড়লে টিপ পরতে হয় জানো না? কান খালি কেন?
বহুদিন পর দেখা হলে এইরকম একটা ঝগড়া জানিয়ে দেয়,
একটাই ভালোবাসা বেঁচে থাকে দুটো আলাদা সংসারে। এভাবেই ....-
---বাইরে থেকে তোকে দেখলে তো বোঝাই যায় না রে তুই এরকম.....
---কিরকম?
---ভেতরটা এত নরম,ভীষণ ভালো বড় মনের,সবাইকে খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলিস তাইতো !!
---কেন বাইরে থেকে কি মনে হয়?
---খুব খুব স্ট্রং স্ট্রং আর হ্যাপি হ্যাপি,ভীষণ সবাইকে হাসিখুশি রাখতে ভালোবাসিস....এই কদিনে দেখে মিশে যা বুঝলাম আর কি !
---হাঃ হাঃ,হ্যাঁ ভাই...ওটাই তো আমার সুপারপাওয়ার....বাইরে নিজে শক্ত থাকলেই তো বাকিদের শক্ত রাখতে পারবো। আর হ্যাঁ সহজেই বিশ্বাস করে ফেলাটা আমার বদভ্যাস কিনা জানিনা তবে ঠকতে ঠকতে নিজের ওপর এটুকু বিশ্বাস আছে যে সবটাই শিক্ষা,জীবনে যেকটা মানুষই ভগবান আনেন আবার কেড়ে নেন কিছু না কিছু শিখিয়ে যায় আর আমি সেই শেখার খিদেতেই বিশ্বাস করে ফেলি,নিজেকে বদলানোর
কোনো মানেই হয়না...দর্শনটা বদলে ফেলেছি কিনা ।-
---আচ্ছা, তোকে যদি কেউ রিপ্লেস করে দেয়,তার জীবনে অন্য কোনো মানুষ আসার ফলে ,তুই কি তাকে উল্টে রিপ্লেস করবি? নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবি? কিন্তু তার দিক থেকে কোনো এফর্ট নেই টিকিয়ে রাখার....
---প্রথমত তার রিপ্লেস করার সঙ্গে আমার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনো কানেকশন নেই ।কারণ আমার বিশ্বাস, কেউ কাউকে রিপ্লেস করতে পারেনা রিপ্লেস তারাই করে কিংবা আমরা তাদেরই রিপ্লেস করতে পারি যাদের কোনোদিনও সেই অর্থে মনে প্লেসই দিতে পারিনা।দেখ আমরা কালার ব্লাইন্ড তো নয় তাহলে কালো রংকে কিকরে সাদার জায়গায় বসিয়ে ট্রিট করব কিংবা কোনোই বা অন্য কাউকে ট্রিট করতে দেব শুধুমাত্র একটা সম্পর্কে একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে??নাকি মানসিক ভাবে নির্ভরশীল কিংবা দুর্বল বলে...?
---তাহলে কি করা উচিৎ রে?
---সরে আসা।গুরুত্ব নেই যেখানে দূরত্ব রাখতে শেখো মামনি!কতদিন একা চলতে পারার ভয় বুকের ভেতর রেখে এভাবে নিজের গুরুত্ব বিকিয়ে বেড়াবি? তাই কেউ তোকে গুরুত্ব দেওয়ার আগে তোকে নিজেকে নিজের গুরুত্ব বুঝতে হবে।যে চেনার সে তোকে এমনই চিনবে এমনই বুঝবে তাকে গিয়ে আলাদা করে কিছু প্রমাণ করতে হবে না আর সে যদি তোর অনেকদিনের চেনা তাও তোকে চিনতে না পারে তাহলে তোর সময় এবার তাকে চিনে নেওয়ার!
---থ্যাংকস রে,এই জন্য তোকে মাঝে মাঝে দরকার হয় জানি রিলিফ পাবো তোর সাথে ডিস্কাস করলেই...-
----কিরে জানিস তো খুব খারাপ অবস্থা আমার , তোর তো সব পড়া রেডি বল....আমার লাভ লাইফটাও ধূর,তোর তো এত বছরের সম্পর্ক তাও টিকলো না.....
----কি চাই? সিমপ্যাথি না অ্যাটেনশন ?!!
----তুই না চেঞ্জ হয়ে গেছিস অনেক....
----হাঃ হাঃ!! হ্যাঁ রে ভাই, আমার এই নিউ
আপডেটেড ভার্শনে আমাকে আর মুরগি করা যায় না ....
অনেক আগে হওয়া উচিৎ ছিল আরকি !-
---কিরে কেন করিস এসব ,তুই জানিস এই যে তুই লকডাউনের সময় বাড়ি বসে বাহান্নটা পাতা স্ক্যান করে পিডিএফ বানিয়ে গ্রূপে নোট শেয়ার করলি...এই যে তোকে তোর কিছু কিছু বন্ধু মোটিভেট হতে জ্ঞান নিয়ে নিজেদের জন্য সাহায্য চাইতে আসে...তোর কি মনে হয় এরা তোকে সারাজীবন মনে রাখবে কিংবা তোর দাম বুঝবে ওই গ্রূপের বাকি ছাত্র ছাত্রীগুলো??এত সাহায্য কে করে ভাই?
---করে করে অনেকেই করে। আচ্ছা তুই কখনো কুমারটুলীতে ওই কুমারদের গিয়ে প্রশ্ন করেছিস...এই যে তাঁরা এত কষ্ট করে ঠাকুরের মূর্তি গড়েন সারা বছর কোথাও কোনো প্যান্ডেলে তো তাদের নিয়ে কথা হয়না...ওই কেনা আর দরাদরি কোরে বায়না দিয়েই খালাস!তা বলে কি কুমাররা দাম,মান পায়না বলে মূর্তি গড়া ছেড়ে দেন...পেট চালানোর ব্যাবস্থা বাদেও মূর্তি গড়েন । ওতে শান্তি আছে আর সুখও!কি হবে কমপ্লেন আর কম্পেয়ার কোরে? আমার কাছে যা আছে তা যদি আর পাঁচজনের ভালো হয় নিজের ক্ষতি না হয়ে তবে তা নিজের কাছে আটক করে রেখেই বা কি হবে বল।নিজে বাঁচলে বাকিদের বাঁচানোটা আমার ধর্ম, মনুষ্যত্বের । দেওয়াতেই যে শান্তি রে..ওই যে যেমন সূর্য বলেছিলাম না......
---হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে থাক থাক ঘাট হয়েছে..সত্যিই তোর সঙ্গে ফিলসফিক্যাল লজিকে পারবনা বুঝলি! তুইই পারিস এসব!-
বেশ কয়েক মাস পর আজ তানিয়া ঋক কে msg করছে...
---একবার ফোন করবো ?
--- কেন?
--- ভীষণ ইচ্ছা করছে কথা বলতে...
---ব্যস্ত আছি
---আচ্ছা free হলে বলিস।
(কয়েক মাস আগে)
--- তানিয়া জানিস তুই চাইলে প্রতিদিন ২০০ টা msg
করতে পারি তোকে
--- ওরে বাবা! ২০০ টার reply ও যে দিতে হবে!!😂
-
#'সিক্রেট টু হ্যাপিনেস'
'যে চাবিটা আমাদের হাতে থাকা উচিত সেটা অন্য কারোর হাতে দিয়ে নিজেকে কম্ফোর্টেবল রাখার একপেক্টশনের নাম কি হ্যাপিনেস??'
(ক্যাপশনে একটা রিয়েল লাইফ কনভারসেশন, আমাদের জীবনে অনেক প্রশ্নের মধ্যে দিতে যেতে হয় তাই এটা তুলে ধরলাম তোমাদের জন্য ।বড় লেখা ধৈর্য্য নিয়ে পড়ো । অনেক ভালোবাসা রইল💓💓অনেকদিন পর লিখলুম)-
---ভাগ্গিস তোর সাথে কথা বললাম ,নাহলে তো জানতেই পারতাম না কি ভুল করতে যাচ্ছিলাম ! বুদ্ধি দিয়ে চোখটা খুলে দিলি ভাই ভিক্ষা আর চাইব না,নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম যেন এই কটা মাস আজ আবার খুঁজে পাচ্ছি মনে হচ্ছে....নাহলে ইমোশনাল হয়ে পড়লেই শেষ!
----নাঃ ইমোশনাল হওয়াতে সমস্যা নেই সমস্যা 'ইমোশনের বস হওয়াতে' ।আর মানুষকে চেনার এটাই সহজ উপায় ঠিক জন তোকে তোর থেকে দূরে সরাতে আসবেনা সেটা যেকোনো ধরণের সম্পর্কেই হতে পারে। আমি এই ডায়েট,জিম থেকে যেমন একটা শিক্ষা পেয়েছি আবিষ্কার করেছি নিজের সাথে মিলিয়ে কি বলতো??
----কি রে.....??
----খাওয়ার জন্য বাঁচা আর বাঁচার জন্য খাওয়া দুটো
কিন্তু এক নয়...বাঁচার জন্য খেলে ঠিকাছে
কিন্তু খাওয়ার জন্য বাঁচলেই হয় মুশকিল!
আর সবটাই তোর হাতে, তুই "লোক কি ভাবলো" এটা
অ্যালাও না করলে তোর জীবনে ইন্টার্নালি কোনো
এফেক্ট পড়বে না । লাইফটা তোর !!!-