Paid Content
-
অগোচর
আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার,মাঝেমাঝে হালকা হাওয়াও বইছে।দেবান্বয় সকাল থেকেই জানলার ধারে খাতা,কলম নিয়ে বসে পড়েছে বহু দিন পর।এই আবহাওয়া টা ওকে জোর করে টানতে টানতে নিয়ে যায় ওর পুরোনো অভ্যাসগুলোয়।অভ্যাস বলতে ওই দুটোই-কাব্যি করা আর ওই একজোড়া মায়াবী চোখ।
সকাল থেকে দুপুর অবধি দু'লাইন সবে লিখেছে।উত্তুরে হাওয়ার দাপট বেড়েছে, সাথে বৃষ্টিটাও।পেছন থেকে মেঘালি এসে জড়িয়ে ধরলো,"দেখি কবি,কতটুকু লিখলে!এমা এতো মাত্র দু'লাইন।তবে নামখানা তো বেশ দিয়েছ-মৃদ্বী।এই শোনো, আমাদের মেয়ে হলে না এই নামটাই রাখবো।"
ঠিক তখনই কাছে একটা বাজ পড়লো,দেবান্বয় ছাড়া কেউ টের পেলো না।
-দেবারতি ভট্টাচার্য্য-
সারারাত বৃষ্টির ধারায় স্নাত হয়ে,
ভোরের প্রথম আলো যখন তাকে কিরণ দেয়,
গোলাপের রেণুতে প্রাণের স্পন্দন বিকশিত হয়,
সে যেন মন খুলে বলছে হে বারিধারা তুমি বহ এভাবে,
আমাকে নবজীবন দিয়ে যাও তোমার সোহাগে ।
তুমি বহ এভাবে-------
❣ সঞ্চিতা মজুমদার ❣-
চোখের পলক ফেলেই ,
ভাবনা জাগে মনে
আমার চোখের কোণে ,
প্রকৃতির কত রূপের খেলা
ধানক্ষেত যেন সোনার মেলা ,
ফুলেদের ওই নতুন কলি
তাদের মাঝে আমিও চলি ,
ঘাসেরা পেরোয় দূর- দিগন্ত
সবুজ আভার নেই যে অন্ত ,
এরই মধ্যে উঠল ফুটে এমন কিছু ছবি !
তাদের ছবি তে শুধুই যেন আধুনিকতার কবি !
সেই ছবিতে পড়ল ধরা ,
গাছেদের শরীরে রক্ত ঝরা !
হা হা কার করে উঠল প্রকৃতি মাতা !
করুন স্বরে যেন বলে উঠল কেউ তো হও আমাদের রক্ষাকর্তা!
তোমরা শুধু "কংক্রিটের "শহর গড় আমার বুকে
আমাদের কে অকারণে মেরে তোমরা তো আছ বেশ সুখে ,
এই সুখ চিরটাকাল থাকবে তো তোমাদের কাছে ,
তোমরা কেন বোঝো না যে
গাছে দের ও প্রাণ আছে ।।
-
প্রতিদিনের মতো মধ্যরাতেও সে মাতাল হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। পোস্ট লাইটের মাঝারি আলোতে একটা মেয়েকে দেখামাত্রই সে মাথা নেড়ে বলল। মেয়েটি সম্ভবত আলোর সন্ধানে পোস্ট লাইট মেরুতে প্রায় আঠালো ছিল। কাছাকাছি গিয়ে, তিনি কিছু জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিলেন যখন তিনি তার ডান দিকে আঙুল তুললেন। তার চোখ সেখানেই পড়ে গেল। চার ছেলে তার দিকে তাকাচ্ছিল। তিনি তাদের একজনকে চিনতেন। সাথে সাথে ছেলেটি তা দেখতে পেল। এখন চারজনই চলে গেল। মেয়েটি এখন তাকে আরও সন্দেহ করতে শুরু করেছিল, তবে তার মধ্য বয়স, বিশ্বাস ... বা অবিশ্বাসের কারণে ... হতে পারে! "আপনি কেন এবং কেন এই সমস্ত রাত এখানে?" "আমি এতিমখানা থেকে পালিয়ে এসেছি। তাদের আজ রাতে আমাকে কোথাও পাঠানোর কথা ছিল।" সে চাপা জিভ দিয়ে কথা বলতে পারত না। "কি .....! এখন কোথায় যাবে?" "জানি না!" "তুমি কি আমার বাড়িতে যাবে?" "............!" "এখন আমি শেষবারের মতো জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি চিরকাল আমার বাড়িতে যাবেন?" "হ্যাঁ!" ... তার গালে একটি মুক্তার ঝড় পড়েছিল। গভীর কুপ অন্ধকারে ভীত ছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ মেয়েটির হাত শক্ত করে ধরলেন এবং তীক্ষ্ণ পদক্ষেপ নিয়ে তাকে টেনে নিয়ে গেলেন প্রায় বাড়ির দিকে। ল্যাচ ঠকানোর দরকার নেই। তাঁর আগমনের শব্দে দরজা খোলা ছিল। সে হতবাক। "এখানে, এটি যত্ন নিন! আমি আমাদের জন্য একটি কন্যা এনেছি। আমাদের আর বন্ধ্যা বলা হবে না।"
-
চিঠি,
হৃদয়ের চিরকুটে তুমি খুব ডানপিটে
ফুসফুসের মতোন কাঁপছ
আমার শিরায় শিরায় তুমি ছুটে বেড়াচ্ছ
ধরা না দিয়ে আড়ালেই কেন এত ভালোবাসছ-
ধবংসের লালসায় উন্মাদ হয়ে,
প্রকৃতি খেলল নিঠুর খেলা।
অম্ফানির অত্যাচারে বিচলিত হয়ে,
তছনছ হলো,ধরণীর অবশিষ্ট সুখের ভেলা।
ক্ষয়ক্ষতির ভরা জোয়ারে,
ভাসলো গোটা,মানবজাতি।
কান্না আর হা-হাকারের দৃশ্যে,
মতে উঠলো,সমগ্র বঙ্গবাসী.......
Rajnandini.
-
#মেয়ে আত্মকথা #
মেয়ে হয়ে তুমি জন্মেছো
পার হতে হবে সব বাধাবিঘ্ন।
কখনও সমাজ, কখনও সংসারের বেড়াজালে আটকা পড়বে.....
সুদূর যুগ থেকে বর্তমান কাল
নেই কোনো তার পারাপার।।
দিন যায়, মাস যায়, বছর ঘুরে যায়
কিন্তু স্ত্রী জীবনযাত্রা কোনো বদল হয় নাই।।
কখনও অধিকার, কখনও সম্মান
কখনও দুর্বলতা, কখনও অত্যাচার
এই তো মোদের পরিণাম।।
তবু সমাজ আজ উন্নতির শিখরে
মেয়েরাও চলে তারি পিছে পিছে
পুরুষের তুলনায় কম কিসে আছে!!!
হ্যাঁ, কম আছে;সম্মানের ভয়ে
রৌদ্রকিরণ তাঁদের রক্ষা করলেও
জ্যোৎস্নার রাত্রি কাটে আতঙ্কে ও ভয়ে।।
তবু জগৎদীশ্বর তোমার কাছে করি কামনা - -
মনুষ্য জীবনকে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন করো।
মনের জানোয়ারটাকে বন্ধ করে রাখো খাঁচায়,
আর হৃদয়টাকে মেলে ধরো নীল সীমানায়।।-