নিজেকে ভালো রাখার প্রথম শর্ত হলো নিজেকে ভালোবাসা
-
কারোর কারোর জীবনে
কোয়ারেন্টিন শব্দটা নতুন
কিন্তু কোয়ারান্টিনের অভ্যেসটা পুরোনো🙃-
আমার জীবন
------------------
মুসড়ে পড়া দুঃখগুলো কাঁদেনা আর দহন জ্বালায়
হৃদয় মাঝে ব্যথার পাহাড় সরে গেছে বাধ্যতায়।
এখন আমি সংসারী অভিমানী নই আগের মত।
সকালবেলায় স্নান সেরে নিই পাটকাঠিতে
উনূন ধরাই,
চায়ের জলটা চাপিয়ে দিয়েই......
জলখাবারের ময়দা মাখি,
ছোট্ট ছোট্ট লেচি কেটে লুচিগুলো গরম তেলে ভাজি,
তখন ভাবি আমিও ফুটন্ত তেলের মতো
ছুটন্ত সংসারে ছুটতে থাকি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
কখনও সেলাই কখনও নকশী কাঁথায়
নকশা আঁকি, কখনো সবজি কাটি,
বাটনা বাটি, বাসন মাজি, গাছ পুঁতি আরো
কত টুকিটাকি তার মাঝে মাঝে সময় করে
দু চার লাইন কবিতা লিখি।
ঘরের কোনায় ধুলোবালি বারান্দা ঝুল
এসবই পরিষ্কার করি আমি নিজেই প্রতিদিন,
অসতর্কতায় হাত পুড়ে যায় লাগে লঙ্কা নুন
তবুও আমি কাজেই থাকি নিয়ম করে নিত্যদিন।
যেমন আছি ভালো আছি মন্দ নেই মোটেও....
খুশি থাকার অজুহাতে ব্যস্ত রাখী নিজেকে নিয়মিত।-
তুমি যেখানে, আমিও সেখানে
তোমায় ছাড়া আমার অস্তিত্ব শূন্য😓
আমার মুখের হাসি ফুটে
একমাত্র শুধু তোমার জন্য🥰
তোমার সঙ্গ পাওয়ার জন্য আমি ভগবানের কাছে সারাক্ষণ প্রার্থনা করি।
জীবনে শুধু একটাই চাওয়া তোমার আগে যেন আমি মরি।।-
এক পৃথিবী গল্পেরা আজ
মারছে উঁকিঝুঁকি ,
শোনার মতো মানুষ কোথায়?
তাই তাদের পাতায় বন্দি রাখি।।-
আজ বৃষ্টির ছোট্ট ফোঁটায় ধুয়ে যায় মোর প্রাণ।
তার পরশে জীবনমুখী আজ এ মৃত্যুর কবি।
যদিও জানি সরল জীবন আমার জন্য নয়,
জীবন আমার পর্দায় ঢাকা বোকাবাক্সের ছবি।
এ জীবন শুধু সূচনা আর পতনের সমাহার।
উত্থান যেন এ জীবনের সাথে লুকোচুরি খেলে।
তাই মরণমুখী কবির কলম খোঁজে উপসংহার,
সে খোঁজ থামে একটিবার বৃষ্টির দেখা পেলে।-
মন কেমনের বৃষ্টিতে
থমকে যাই তোমার কাছে এসে,
ভেবে যাই থাকবো কেমন করে
বাঁচব কিভাবে বাকি জীবন
বারে বারে থমকে যাই
যেন আর পথ নাই।
আমার সকল ভাবনা এসে
পথ হারিয়ে তোমাতেই মেশে
থমকে যাই তোমার কাছে এসে
আমার মন কেমনের বৃষ্টিতে।
-সুলেখা ✍-
একজন মনস্তত্ত্ববিদ বা কাউন্সেলর প্রিয়দর্শিনী খুব সাধারণ একজন মানুষ ও শিক্ষিকাও। ছোটো থেকে লেখালিখি করার শখ, কিন্তু পড়াশোনার চাপে বন্ধ থাকে কিছু বছর। যদিও লেখালেখি টা তার পারিবারিক সূত্রে পাওয়া। অবশেষে নিজের কাজের ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য সময় বার করে আবার লেখায় ফেরে প্রিয়দর্শিনী,কারণ এই গোপন একান্ত শখ তাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে। নিজের সমস্ত ভালো-মন্দ,সুখ-দুঃখ,ক্ষোভ, অভিমান সবই লেখায় প্রকাশিত। আসলে সেও কোথাও একা।সকলের মনের যন্ত্রণার কথা শুনে তাদের সেখান থেকে বার করতে পারলেও, নিজের কথা সে কাকেই বা বলবে।যেই মানুষটা(বাবা) ছিল তাকে বোঝার জন্য সেও তাকে ছেড়ে চলে গেছে অনেক আগেই।সকলের মানসিক অবসাদের সমস্যার সমাধান করতে পারা প্রিয়দর্শিনী জানে নিজেকে ঠিক সামলে রাখতে হবে। কিন্তু তবুও সেও তো একটা মানুষ,তারও কষ্ট হয়, মানসিক চাপ লাগে কিন্তু তা বলা কাউকে বারণ। তবে এই বারণ,বারণই থাক সারাজীবন।
❤️❤️❤️-
আমার জীবন হেরে গিয়েও জিততে জানে,
তাইতো আমি শিখেছি আজ বাঁচার মানে।
আমার জীবন বৃষ্টি কিনেছে শিশিরের দামে,
যেখানে জীবন চিঠি পাঠায় জলের খামে।
আমার জীবন ইচ্ছে বুনেছে ষোলো আনা,
মধ্যবিত্তের স্বপ্ন সব পূরণ হয়তো হবে না।।-