--একটি গপ্পো-- ●●কালীপূজা●●
রাত ফুরিয়ে- ভোর এসেছে,ফুলের গন্ধ বাতাসে মিশেছে। পাখিদের আওয়াজে সকালের আলোতে সমুর মিষ্টি ঘুম ভেঙেছে।হাত মুখ ধুয়ে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়লো! বন্ধুর উদ্দেশ্যে, পুজো মণ্ডপে,খেলা করছে সমুরা, ভঞ্জন এসে সমুকে বল্ল একটা সিগারেট এনে দিতে সমু ছুটতে ছুটতে দোকানে আসে। সিগারেট নিয়ে যেতে যেতে ভাবলো কাকু এটা কি খায়, কাগজ দিয়ে বানিয়ে খেতে হবে।সমু তার বন্ধু পিকু কে বল্লো যে চ আমরা সিগারেট বানিয়ে খায় পিকু তো এসবে মাস্টার, তারা দুজনে কাগজের সিগারেট বানিয়ে টানতে লাগে ।তারা দুজন খুব মজা করতে করতে চলে আসে। সকাল 10 টা সমুর ক্ষিধে পেল বাড়ি গিয়ে দেখে,তার মা বিছানায় শুয়ে আছে ।সমু বললো মা কি হয়েছে মা বললো শরীর টা খারাপ। তাই সমু রান্না ঘরে গিয়ে পান্তা ভাত খেতে লাগে। খাওয়া হয় তারপর সমু ভাবলো আমি তো পান্তা খেয়ে নিলাম মা এবার কি খাবে।মাকে বললো মা তুমি কি খেয়েছো ওর মা বললো আমার খিদে পায়নি। সমু তারপর বেরিয়ে পড়লো বাচ্চাদের সঙ্গে চাঁদা তুলতে- ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে ।এসে দেখে বাড়িতে তার মামা আর মামার মেয়ে এসেছে,
😍😍বাকিটা part 2 এ থাকবে😍😍-
গল্পঃ- অস্বাভাবিক ©
∆অধ্যায়-১, ∆পর্ব ১
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি , একটু বেশি রাত হয়ে গেছে ।
মনে মনে ভাবছি, এত রাত্রে না বেরোলেই হতো , তবে কাল যে কলেজ এর প্রজেক্ট জমা নেবার শেষ দিন। কিছু করার নেই যেতে তো হবেই নাহলে যা প্রিন্সিপাল , দায়িত্ব নিয়ে ফেল করিয়ে দেবে , বলবে , You didn't submit your project , you are failed.
সত্যি কি জ্বালা , একে ফাঁকা রাস্তা তারমধ্যে একা একটা মেয়ে , একটা গাড়িও নেই আবার আকাশেও প্রচন্ড মেঘ করেছে। আমার গাড়িটা বাড়িতে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। আসার সময়ে বন্ধুর বাইক এ চলে এসেছিলাম , কিন্তু এখন সে আসতে পারবে না বলেই আমি একাই বেরিয়ে এলাম। আমি হলাম এমি ফ্রাঙ্ক , বয়স ২০, সাইকোলজি ২য় বর্ষ।
ধীরে ধীরে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । প্রকৃতির অবস্থা আমার মনের ভিতর এক বিশাল ভয়ের সঞ্চার করেছে। তাই পা চালিয়ে যতটা জোড়ে যাওয়া যায় যাচ্ছিলাম। বজ্রপাতকে ছোটো থেকেই খুব ভয় তাই মনে ভাবতে ভাবতে যাচ্ছি যদি বজ্রপাত হয় তাহলে কি হবে। এমন সময আমার কিছুটা দূরে বনের মধ্যে বজ্রপাত হলো , কান ধরে বসে পড়লাম , ভয়ে বুক ধুকপুক ধুকপুক করছে, সাথে সাথেই একজন মানুষের তীব্র আর্তনাদ , আমার ভয়ে হাত-পা অচল মতো হয়ে গেল কিছুক্ষনের জন্য ।
প্রশ্ন একটাই ওই সময়, বৃষ্টিবজ্রপাতের মধ্যে কার আর্তনাদ ছিল ওটা ?😰😰
-
তারপর হঠাৎ একদিন এল সেই ভয়ঙ্কর, কুৎসিত জিনিসটা, ঝড়। মেঘেকে নিয়ে গেল সে। আর তার সাথে সাথে মেঘের সব স্বপ্ন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে গেল। মেঘ অনেক লড়াই করল, কিন্তু পারল না ঝড় কে আটকাতে। তাকে যেতেই হল ঝড়ের সাথে।
এই কথাগুলো ভেবে ভেবে মেঘ অনেক কাঁদল আজ। কেন সে তার আকশকে চিনতে পারছে না আজ? সে জানে আকাশ তাকে ভোলে নি আজও, সে আবার আকাশের বুকে মাথা রেখে স্বপ্ন দেখতে পারবে, অনেক স্বপ্ন। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা, সেটা পেরোতে পারলেই আর কোনো বাধা থাকবে না।আবারও আকাশের বুকে বিলীন হয়ে যাবে মেঘ।-
মেঘ বুঝতে পারছে না কেন কাঁদছে সে, আনন্দে নাকি দুঃখে? নাকি দুটোর মিলিত প্রকাশ এই কান্না? তবে তার আজ খুব কান্না পাচ্ছে। আজ হঠাৎ আকাশের দেখা পাবে এভাবে সেটা সে কখনোই ভাবে নি। কই মেঘ তো কোনোদিন কিছু দাবি করে নি আকাশের কাছে...শুধু চেয়েছিল একটু আশ্রয় তার বুকের মাঝে, চেয়েছিল একটু ভালোবাসা। কিন্তু সেসব স্বপ্ন যে মেঘের পূরণ হবে না তা সে কখনোই ভাবে নি। আজ মেঘের খুব মনে পড়ছে তার অতীতের কথা...
তখন মেঘ এবং আকাশ দুজনেই ছিল নিজের খেয়ালে ব্যস্ত। মেঘের তখনও দেখা হয়নি আকাশের সাথে। তারপর হঠাৎ একদিন তাদের দেখা হয়। আকাশের বুকেই মেঘ তার সমস্ত সুখ খুঁজে পায়। আকাশও তাকে সুখী রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় সারা জীবনের জন্য। অনেক স্বপ্ন দেখে মেঘ, নিজেকে সবচেয়ে সুখী মনে হয় তার। কিন্তু মেঘের একটাই ভুল ছিল শুধু, সে কখনো ভবিষ্যৎ দেখে নি।-
|| গল্পের সব চরিত্র কাল্পনিক নয় ||
আজ অনেক দিন পর মেঘ কাঁদল, বৃষ্টি হল গোটা শহর জুড়ে। প্রায় অনেক দিন হল মেঘের সাথে আকাশের দেখা নেই। সেই কবে ঝড় এসে তাদের আলাদা করে দিয়েছিল, মেঘকে আকাশের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। কই মেঘ তো যেতে চায় নি, সে তো চেয়েছিল তার গোটা জীবনটা আকাশের সাথেই কাটাতে। কিন্তু হঠাৎ কী যে হল...সব ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে চলে গেল ঝড়।
মেঘের এখন আর কান্না পায় না, নিজেকে বড় সামলে নেয় সে। কিন্তু আজ আর সে নিজেকে সামলাতে পারল না কোনোভাবেই। সে যে আজ বহুদিন পর আকাশের দেখা পেয়েছে। কিন্তু আকাশ তো তাকে কাছে ডাকে নি আগের মতো, আকাশ তাকে চিনতেই পারেনি। এ তো তার আকাশ নয়, তবে এ কে? কস্তুর্রীমৃগের মতো মায়ায় বেঁধে রেখেছে...তার মায়াময় চোখ এখনও মেঘকে আকৃষ্ট করে।-
ভাঙা চশমার কোণে জল জমেছে
হারিয়ে ফেলার ভয়েরা এখন অস্তগামী-