আমি মূলত কিছু খুঁজি,
কি খুঁজি জানিনা
কিছু মূল্যহীন শর্ত
সেগুলো হয়তো মানি,
অবহেলায় থাকে চেনারা
অচেনার প্রতি টানটা আলাদা।
সেখানে কোনো খাদ নেই,
ভয় পেলে পিছিয়ে যাই
সেখানেই শিক্ষার অবকাশ !
নিখাদ আমি সেই একই ভাবে অবহেলিত
অচেনা দের ভিড়েও খুব সাধারণ,
মিলিয়ে যাই।
নতুন করে চিন্তে এলে
অকাট্য যুক্তি খাঁটিয়ে
পিছিয়ে যাই,
পাছে আবার নতুন কোনো অচেনাকে চিনতে হয়!-
অনেক গুলো দিন
কবিতার খাতায় ধূলো জমেছে,
মুঠো পেনে আরষ্টতা!
সে অবশ্য ঠিকই বলতো
অভ্যাস!
তবে টান যে বড়োই অদ্ভুত জিনিস,
যত বার পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছি
ঠিক ততবার বিপদ মুখোমুখি।
নাক বরাবর দাঁড়িয়ে শাসন করেছে
ভয় লেগেছে; অভিমান হয়েছে,
শেষে বরফ গলে জল হয়েছে!
অভ্যাস বড়ো কঠিন
পালিয়ে বাঁচতে দেয় না,
মনে শান্তি দেয়না,
পুরোনো খাতার ওপরের
ধূলো টা ঝাড়া হলেও,
পুরোনো কবিতা গুলো আর পড়া হয়না!-
শুধুই অপেক্ষা করলে কি শুরু করবে,
খুলবে পুরোনো হিসেবের খাতা?
আজকাল বড্ড সময়ের অভাব,
আগামী ছেয়ে আছে ভাবছি বা ভাববো
নামক কোনো বিশেষণে!
পুরোনো কলমের ধার মরেনি
রোদে দিলে আবার লিখবে হয়তো!
আবার একটা পুরোনো সুর বেজে উঠবে,
মনে খারাপ লাগাটাগা এর বালাই নেই
সে তো হিসেব কবেই চুঁকেবুকে গেছে!
হাতে একটা ধূলো ঝাড়া বই ধরিয়ে দিলে
চারটে কবিতা এগাল-ওগাল করবে হয়তো
আমার রাগ টা খুঁজছো তো?
ওটা নেই!
শুধু একটু সময় দিও,
বিশ্বাস করো আমরা ভালো নেই
শুধু ভালো থাকতে চাইছি
ভালো থাকতে দিও!
-
তখন ভীষণ কুড়ির ছোঁয়া
আলতো হাতে প্রেমের খেলাপ
কত-শত কথার ভাঁজে
হাজারো প্রতিশ্রুতি, বাক্যালাপ!
শহর জুড়ে হঠাৎ আলো
এই বুঝি সব থেমে রইলো,
খানিকটা সময়, বড্ড রঙিন
এলোমেলো সব, গোছানো দিন
মাটির ভাড়ে চায়ে চুমুক
খানিক অভিমান জমলে জমুক,
তাতে কি কিছু থেমে থাকে?
সেই আমি-আমরা বৃত্ত থেকে বেরিয়ে
পথ এগিয়ে চলে সময়ের ভীড়ে,
শুধু গল্প গুলো চাপা পরে যায়
স্মৃতির ভীড়ে!!-
ফিরছি হেঁটে শহর ঘুরে
অন্ধকারে গলির মোড়ে
একটা দুটো গোলাপ,
গুঁজে দেই খোঁপার ফাঁকে!
ঘড়ির কাঁটা আজ বড্ড ভারী
সময় চলে যুগ যুগ ধরে;
খামোখা গন্ধমাখা গোলাপি খামে
আজও নাকি কবিতা ফোঁটে।
-
ঠিক কতখানি চাই,
কীভাবে চাই, জানা নাই;
হ্যাঁ হয়তো সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকে
পুরোনো গতানুগতিক নিয়ম
মানা হয়না!
এখানে সব অন্যরকম
সেভাবে বলা হয়না, যেভাবে বলা যায়!
সেভাবে ছোঁয়া যায়না, যেভাবে খোঁজা যায়!
তবুও চাই!
কীভাবে যেনো ছুঁয়ে থাকি
অনেক খানি দূর দিয়ে হাঁটি
দূরত্ব মাপি!
আর বারবার ভুলতে বসি
এ দূরত্বের নেই কোনো মাপকাঠি!
-
প্রায় অনেক কটা দিন
এই পাড়ায় বিচরণ নেই তোমার,
শেষ কবে সন্ধ্যে নামা দেখবো বলে
ছাদে উঠেছিলাম মনে নেই,
তবে জানো আজও ছাদে উঠি
রোজ দেখি ভোঁ কাট্টা ঘুড়ি গুলো
ক্লান্ত বিষণ্ণ মুখে মাটিতে লুটিয়ে পরছে!
শেষ কবে ভালোবেসেছি বলে লিখেছি
মনে নেই!
ভয় হয়, কীসের ভয় খুঁজতে মন দেই
কলম নাড়িয়ে যতটুকু আঁকা যায়!
সেই সন্ধ্যার শান্ত বিকেল,
বা কোনো চেনা পাখির অচেনা ডাক
ভয় হয় আজও!
একটা পরে থাকা অর্ধেক লেখা
শেষ করতে বসি,
যদি লেখাটা শেষ হয়ে যায়!
এই ভয়ে পাতা উল্টে রাখি,
নতুন করে শুরু করার সাহস কজনের থাকে!
-
সেই রাতে যখন
আমার শহরে একঘেয়েমি নেমেছিলো
তুমি টা বড্ড "তুমি"ই ছিলে,
গল্পটা নাহয় কল্পনাপ্রবণ
তুমি আমি কি ভীষণ দ্রবণ!
রূপকথায় ঠায় হয়না এসবের
সাধারণ চরিত্র গুলো তো উপন্যাসের
তুমি আর আমি বড্ড স্নায়বিক
ভালো থাকার ছক কষি,
ভীষণ ছন্নছাড়া হয়েও হয়তো
শুধু ভালো থাকতেই ভালোবাসি!
-
আবারো একটা ভুল করে গল্প বানানো হলো
জোর করে জুড়ে দিলো কারা যেন,
শেষটা ভীষণ ভয়ঙ্কর, থাকেনা প্রতিউত্তর
রিপ্লাই এর মাঝের সময়টা ঠিক যেন পাহাড়,
একটা আপেক্ষিক "নতুন কিছু শেখার" আশ্বাস
বা হয়তো মাঝরাতে "চিল ব্রো" টাইপ প্রতিশ্রুতি!
তবুও বলবো "শেষ হয়েও হইলো না শেষ"
আজও যদি পিছু নেয় কোনো "প্লেটোনিক" ডাক!
-
কি ছিলো ওই চোখে জানা হয়নি আর
ঠিক কতটা সম্মোহনের আমন্ত্রণ পেলে,
এই পাথরের মন ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছিলো এক নিমেষে
ঠিক কতখানি আশ্বাস পেলে সব বাঁধন খুলেছিলো এই মন,
ঠিক কতখানি খামতি মেটালে উদ্বেগ বাড়ে
আমার সত্যিই জানা নেই,
তবু বলবো আর কাছে এসোনা
আর অকারণ আবদার রেখোনা,
রক্তাক্ত ভীষণ,তবু আমি ভালো আছি
আমার হাজার অক্ষমতায় আর খুঁজোনা আমায়,
আমি যে আজ নিঃশেষ প্রায়!
-