গল্পের বই, ছবি আঁকতে মন ভরে না আর,
বদ্ধ ঘরে একলা বসে বিনোদনের কি বাহার।
করালগ্ৰাসি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রবল হাতছানি,
অনিদ্রায় অনাহারে লাবণ্যবিহীন বিধ্বস্ত চেহারাখানি।
খোলা বাতাসের অক্সিজেন নেওয়া বোধহয় এখন সৌখিনতা,
মুঠোফোনই এখন বাঁচার রসদ, প্রাণবায়ুর যোগানদাতা।
ফেবু, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ইনস্টাগ্রামেই অস্তিত্ব, ঠিকানা,
পৃথিবী নাকি এখন হাতের মুঠোয়, ঘরকুনো জগৎ যাবে চেনা।-
রবিবারের সকালে বা শনিবারের বিকেলে
সপ্তাহের প্রতিটি দিনই আমরা কাছে সমান।।
আমি যে চাষীর মেয়ে, খেটে খাওয়া আমার কাজ।
মাঠেই কেটে যায় আমাদের সকাল বিকেল সাজ।।
রবিবারের সকালে খাবার-দাবার, আড্ডার পরিকল্পনা করি না আমরা।
পরিকল্পনা থাকে কিভাবে চাষের সরঞ্জাম জোগাড় যাবে করা।।
বিনোদনের জন্য কোনো বাহ্যিক বস্তুর প্রয়োজন নেই।
চাষের ফসল পেলেই আমরা খুশি হয়ে যাই।।-
ভাগ্যিস স্বপ্ন দেখার ওপর কোনো বিনোদন কর নেই..... তাই কিছু সাধারণ আজও অসাধারণের জীবন বাঁচে .....মৃত্যুটা তো
বড্ড একঘেয়ে......-
সব সমাধান মিলে যায় আমার বুক পকেটে, সর্বান্তে মাথা হেঁট হয়ে গেছে অপব্যাবহারে,
বেতারের সাথে বিনোদনের মেলবন্ধন হলে, আমরা নেশাতুর হয়ে ডুবে গেছি হেডফোন ও মুঠোফোনে,-
'সিনেমা'
বিনোদনের অন্যতম সেরা মাধ্যম হল সিনেমা। কত সত্যকে মিথ্যা করা হয়, আবার কত মিথ্যাকে সত্য করে তুলে ধরা হয়। তবুও আমরা সেটাই গ্রহণ করি যেটা অনুভূতির সাথে হুবহু মিলে যায়। অনুভূতি জিনিসটা মেলানো খুব কঠিন, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটা নিজে থেকে মিশে যাচ্ছে। আজকের এই সামাজিক গণমাধ্যমের মিথ্যার দিনে তো সত্যের পরিমাণ আরোই কমে গিয়েছে। তবুও সত্য-মিথ্যা চেনার উপায় তো অবশ্যই আছে।-
'বিনোদন'
জীবনে কাজকর্ম, পড়াশোনা, দুঃখ, হতাশা সবকিছুর মধ্যেও একটু বিনোদন প্রয়োজন। এমন অনেক সময় আছে যখন কিছুই ভালো লাগেনা একটু খেলা বা একটা সিনেমা দেখলে অন্ততঃ কিছু সময়ের জন্য হলেও মনটা অন্যদিকে ঘুরে যায়।-