Writing a narrative report based on recent events has started today, focusing on the upcoming Clerkship Mains exam, which will also help in writing translations. You can all try this class as a demo from 10 pm tonight. Contact— 9038197497 📱
আসন্ন ক্লার্কশিপ মেইনস পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আজই সাম্প্রতিক ঘটনাবলীভিত্তিক বর্ণনামূলক প্রতিবেদন লেখানো শুরু হল, যা অনুবাদ লেখাতেও সাহায্য করবে। আজ রাত্রি দশটা থেকে তোমরা সকলে ডেমো হিসেবে এই ক্লাসটি করে দেখতে পারো। যোগাযোগ— ৯০৩৮১৯৭৪৯৭ 📱-
'আশীর্বাদ' (Blissfulness)
আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের প্রথম লক্ষণ যদি 'আনন্দ' হয়ে থাকে, তাহলে সেই জীবনে উন্নতির ইঙ্গিত হয়ত বিশেষ বিশেষ সময়ে আশীর্বাদের উপলব্ধি। জীবন নিয়ে যেখানে প্রায় সকলেই অস্থির, চঞ্চল তার বিপরীতে সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ জীবন লাভ করা কম কথা নয়। এই সমস্ত কিছু একটু দূরে সরিয়ে রাখলেও জীবনে যেকোনোরূপ বিপদের হাত থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে রক্ষালাভ তাকে তো আর কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।-
'অগ্নিতত্ত্ব'
আমরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে যতটাই বীরত্বের পরিচয় দিই না কেন, আগুনকে আমরা ভীষণ ভয় পাই। কারণ আগুন নিমেষের মধ্যে সমস্ত কিছু ভশ্মীভূত করে দেয়। আগুন শুধুমাত্র প্রকৃতির মধ্যে তান্ডব চালায় তা' নয়, মনের মধ্যেও আগুনের সমান দৌরাত্ম।
মনের মধ্যে যে আগুন হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে সেই আগুন দপ করে নিভেও যায়। কিন্তু যে আগুন নিভেও নেভে না, ধিকধিক করে জ্বলতে থাকে সেই আগুন মনকে সবচেয়ে বেশি পুড়িয়ে দেয়।
আগুনের গুণই শুদ্ধ করা। জীবন আবার সবচেয়ে বড়ো শিক্ষাঙ্গন। উভয়ের যৌথ উদ্যোগই আত্মাকে শুদ্ধ করা। আগুনের যে লেলিহান শিখা রাত্রির পর রাত্রি ঘুমোতে দেয় না, সেও তো কোনো এক মূল্যবান শিক্ষাদান করে।
যে মানুষ যতবার আগুনে পুড়েছে সেই মানুষ তত বেশি শান্ত। কারণ আগুনই অবশেষে তাকে আশীর্বাদ প্রদান করেছে। তবে সেই মানুষের চেয়ে বেশি খুব কম মানুষই আগুন সম্পর্কে গভীর জ্ঞানলাভ করেছে। সেই মানুষ জানে আগুনের তীব্রতা বেশি হলে উপরটা শুকিয়ে গেলেও ক্ষতের ভিতরটা অনেকদিন কাঁচা থাকে। সেই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে কোন মানুষ, কতটা আগুন সহ্য করতে পারে।
জ্ঞানলাভই এই জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, সেটা হলেই মুক্তিলাভ।-
'শীতলতা'
সেদিন চলে গিয়েছে যেদিন পথিক তীব্র গ্রীষ্মের দাবদাহে গাছতলায় ঘন্টাখানেক ঘুমিয়েই পুনরুজ্জীবিত হয়ে যেতে পারত। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আজ গ্রীষ্ম অন্যান্য ঋতুগুলিকেও প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে। আজ শীতল ছায়াপ্রদানকারী বৃক্ষের বড়োই অভাব।
আজ কৃত্রিমভাবে শীতলতা প্রদান করার জন্য বাতানুকূল যন্ত্র চলে এসেছে। বাড়িতে, গাড়িতে, এমনকি শরীরের সাথে নিয়ে চলার জন্য চলমান বাতানুকূল যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে। নতুন যেমন পুরোনোর ছায়াকে মুছে তবেই আসে এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এই কৃত্রিম শীতলতা যতটা শরীর ছুঁতে পেরেছে, সেই তুলনায় একেবারেই মন ছুঁতে পারেনি। ঠিক কামাসক্ত পুরুষ যেমন নারী শরীর ছুঁতে পারে কিন্তু মন ছুঁতে পারে না!-
'মায়ের ভালোবাসা'
সৃষ্টিকর্তা এই জগতকে এতটাই নিপুণভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, যেখানে যতটুকু হৃদয়ে উপলব্ধি করা যায় সবটাতেই তাঁর মহিমা প্রকাশিত হয়। চারিদিকের এত মায়ায় সমস্ত সত্য যেন হারিয়ে যায়। তবুও তারই মধ্যে এক চরমতম সত্য হল মায়ের ভালোবাসা। তিনি এমনভাবেই সমস্ত 'মা'কেই সৃষ্টি করেছেন। প্রায় সমস্ত মা'ই যেন নিজের সন্তানের জন্য সমস্ত কিছু করতে পারে।
সংস্কারবশত: আমাদের দৃষ্টি ও হৃদয় উভয় যদি প্রসারিত হয় তাহলে উপলব্ধি করতে পারি সৃষ্টিকর্তার অংশ হিসেবে একজন মানুষ (মা) যদি এত ভালো হতে পারে তাহলে যিনি এই জগৎ-সংসার সুনিপুণভাবে পরিচালনা করছেন তাহলে তিনি কত মহান!!! তাঁর সৃষ্টি তিনিই সমস্ত কিছু জানেন।-
অণুগল্প:- 'রাহুর দোষ'
পৃথিবীতে যত মানুষ আছে, তাদের মধ্যে যারা জ্যোতিষে বিশ্বাস করে, তাদের মধ্যেও সিংহভাগই নিজেদের জীবনের অধিকাংশ ব্যর্থতার জন্য রাহুকে দায়ী করে। মধ্যমাতে একটা গোমেদ তো দেখাই যায়!
কিন্তু রাহুকে আমি একদিন কাঁদতে দেখেছিলাম। তাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখে আমি যতটা শান্ত তার থেকেও যেন বেশি বরফের পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। সারা জীবন ধরে যাকে আমি শুধু ফাটকা, প্রমত্ততা আর চরম ভোগী হিসেবেই দেখেছিলাম, তার চোখে জল প্রথমে একদম বিশ্বাস করতে পারিনি।
রাহু শান্ত অথচ সিক্ত, দৃপ্তকণ্ঠে প্রশ্ন করেছিল, আমি কি শুধু সমস্ত মানুষের খারাপই করি? আমি বলেছিলাম না, তা' আমি বিশ্বাস করি না। সে বলেছিল, "আমি মানুষকে মহান থেকে মহানতর করি। তাকে এমন স্থান দিই যে, যে স্থান সকলে লাভ করতে পারে না। সকলে যে বলে চরম আঘাত? তুমি বলো তো, আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ চরম আঘাত, প্রচন্ড শোক ছাড়া ইতিহাসে কি স্থান লাভ করতে পেরেছে?? বিশ্বাসই তো সব!!!" আমি চুপ করে রইলাম। সেই গভীর রাত্রে দুই চোখ থেকে দু'ফোঁটা জল গাল বেয়ে মাথার বালিশে পড়েছিল। সকালে যখন ঘুম ভেঙ্গেছিল বালিশে সেই জলের আর কোনো অস্তিত্বই ছিল না!-
'ভাগ্য'
ভাগ্য এক অদৃশ্য লিখন। আদিকাল থেকে মানুষ শুধু তা' পড়ার চেষ্টা করে গিয়েছে। খুব, খুব কম মানুষ আজ পর্যন্ত পাঠ করতে পেরেছেন। ভাগ্য— মানুষের জন্মজন্মান্তরের কর্মের পুঞ্জিভূত ফল। সেই 'কর্ম' যাকে আমরা সংস্কার অভিধাতেও অভিহিত করে থাকি।
এই ভাগ্যের পূর্বে একটি করে উপসর্গ {(সৌ) অথবা (দু:)} একটা মানুষের জীবন সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তবে কোনো একটি নয়, দুইয়ের সমপরিমাণ মিশ্রণই জীবনকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। যে বিশেষ সময়গুলোতে এই দুইয়ের সংঘর্ষ হয় তখনই জীবনদীপ নিভে গিয়েও যেন আবার প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠতে চায়। যে মানুষের জীবনে উভয়ের সংঘর্ষ যত বেশি সেই মানুষের জীবন দিশাহীন, এলোমেলোভাবে হলেও অনেক দূর এগিয়ে চলে.....-
'দুঃখ'
আমরা সংকীর্ণ অর্থে যাকে 'দুঃখ' বলি বাস্তবে তার কোনো মূল্যই নেই। যেটুকু আছে সেটা প্রায় পুরোটাই নেতিবাচক— প্রতিশোধস্পৃহা, ক্রোধ অথবা ইগো। ইগো, যা কিনা মানুষকে সর্বশক্তিমান ও সর্বাধিক নিকট ঈশ্বরের থেকে আরো বেশি দূর করে। প্রকৃত দুঃখ মানুষকে গভীর করে, আরো বেশি সংবেদনশীল ও চেতনাসম্পন্ন করে তোলে। যেখানে শব্দ যত বেশি, সেখানে গভীরতা তত কম। সেই মানুষ তখন আধ্যাত্মিক পথে উন্নতি করে, স্বাভাবিকভাবেই অধ্যাত্মপথে উন্নতি হলে সাংসারিক উন্নতি তো আসতে বাধ্য!-
'সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি'
অনুভূতির বিশেষীকরণের (Specialization) অভাবে আমরা অনেকেই সুখ ও শান্তিকে একইরূপ বলে মনে করি। প্রকৃতপক্ষে সুখ ও শান্তির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এককথায় সুখ দেহের সাথে সম্পর্কিত আর শান্তি মনের সাথে। সংসারের জটিলতার কারণে সুখ ও শান্তি একইসাথে লাভ করা খুবই কঠিন। তার জন্য রীতিমতো সাধনার প্রয়োজন। যদি কোনোক্রমে সুখ ও শান্তি একত্রে সহাবস্থান করে তবেই সমৃদ্ধিলাভ হয়।-
'চারুকলা'
শিল্প হল এমন এক সৃষ্টি যাকে সহজে প্রকাশ করা যায় না। এটি মানুষের সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি ও দক্ষতার একটি প্রকাশ, যা সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। শিল্পীমাত্রেই জানে সৃষ্টি মানেই এক অপূর্ব আনন্দ আছে, যে আনন্দের স্বাদ সকলে উপলব্ধি করতে পারে না। তাই সকলের জীবন কখনোই একই মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না।-