আমরা ভয়কে করবো জয়
তরুন রক্তের চোরাস্রোতে
আমরা ভয় পাবো না লাল রক্তচক্ষুর হুঙ্কারে
রুখে দাঁড়াবো শিরদাঁড়া উচিয়ে
অরাজকতায় ডাক দিয়ে বিদ্রোহে
হিন্দু মুসলমান ঐক্য নিয়ে
সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত আগুন নেভাবো
হে বিদ্রোহী কবি, আজ তোমার সুরেই গাইবো
"কারার ওই লৌহকপাট,
ভেঙে ফেলে কর রে লোপাট.... "।-
ছন্দেতে যার ওঠে ফুটে বেল জুথি বকুল,
সেই তো মোদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল।
লেখনীতে যার বিদ্রোহের সুর নাঙ্গা শাণিত অসি,
প্রেম বিরহের ঝরনা ঝরে; কালজয়ী স্বর্ণ মসি।-
আজকে এই তুফান সাগর ঠেলে
উঠে দাঁড়াতে তুমিই আছো পাশে,
মাজা পড়ে যাওয়া সমাজের অন্তরেও
আজও তাই বিদ্রোহী ভাব জাগে।
ভাইয়ে ভাইয়ে লড়ি মাথা কুটে মরি
জাত-ধর্মের নষ্টামির নাগপাশে,
আপন দেশের অধোগতি দেখে
অন্তরালে দুখু মিঞা হাসে।
ভেদাভেদ শেষে, প্রকৃতির পরিহাসে
ঘুচলো চোখের ভুল।
সমন্বয়ের মন্ত্র নিয়ে, সকল বেড়াজাল ভেঙে
আজও চেতনে তুমিই, নজরুল।-
অগ্নিবীণা সাথে যেদিন এসেছিলে তুমি,
দিগ-দিগন্তে জ্বলে উঠেছিল তোমার খরতর বহ্নি৷
বিদ্রোহী-প্রতিবাদীর গানে তুমি ভাঙিয়েছিলে ব্রিটিশের ভুল,
তুমি আমার বাংলার কবি, "বিদ্রোহী নজরুল" ৷৷-
বিদ্রোহী কবি
১৮৯৯,২৫মে বর্ধমান জেলা,গ্রাম চুরুলিয়া,
ফকির আহমেদ আলয়ে জন্মিল দুখু মিয়া
দরিদ্র পরিবারে জুটত না দু-বেলা আহার,
দুখু যাত্রাদলে গাইল গান,করতে রোজগার
নিজের লেখা ও সুরে,সমধুর কণ্ঠের গান,
কখনো বাঁশির সুরে ভরাতেন সবার প্রাণ।
বিনা বেতনে রানিগঞ্জে পড়ার সুযোগ পান,
দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধবিদ্যায় ব্রতী হন
করাচিতে বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার,
ভারতের জাতীয় আন্দোলনের অংশীদার।
কলম দিয়ে এনেছিলেন বিপ্লবের জোয়ার,
'বৃটিশ রাজদ্রোহী'দোষে গেলেন কারাগার।
স্বাধীনতা অর্জনে মানুষকে দিতেন প্রেরণা,
বিদ্রোহীকবিতার পত্রিকা করেন সম্পাদনা
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শোনান অমোঘ বাণী,
"বল বীর চির উন্নত মম শির" সবাই জানি।
উপন্যাস 'মৃত্যুক্ষুধা'কুহেলিকা','বাঁধন-হারা',
গল্প,নাটক,সঙ্গীতগ্রন্থ আরও অনেক ছড়া।
'সঞ্চিতা','অগ্নিবীণা',''ছায়ানট','ফণি-মণসা',
'বুলবুল','রাঙাজবা','সঞ্চয়ন','নির্ঝর','সন্ধ্যা'
'বিষের বাঁশি', 'ভাঙ্গার গান', 'প্রলয় শিখা'
'সর্বহারা','সাম্যবাদী'প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ লেখা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে"ডিলিট"উপাধি প্রাপ্তি,
'নজরুল -গীতি' সবার মনে জাগায় প্রীতি।
হিন্দু -মুসলমানের প্রাণের "বিদ্রোহী কবি",
১৯৪২,২৯ আগস্ট হয়ে যান প্রাণহীন ছবি।
-
ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে
অস্ত্র নয় হাতে কলম ধরেছিলেন,
ভেদাভেদ ভুলিয়ে সকলের মধ্যে
একতা গড়ে তুলেছিলেন,
বিদ্রোহী কবি হিসেবেই পরিচিত
কাজী নজরুল ইসলাম,
আজ জন্মদিনে জানাই
তাঁর চরণে শতকোটি প্রনাম।-
-: নজরুল স্মরণে :–
বিদ্ৰোহী কবি তুমি কাজী নজরুল ইসলাম।
গানে কাব্যে জড়িয়ে আজও সর্বত্র তোমার নাম।।
সাহিত্যের আকাশে তুমি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বিদ্রোহী কবি রূপে বিরাজ করছো সর্বত্র ৷।
বাংলা সাহিত্য কথায় তুমি বিদ্রোহী নজরুল।
অসাম্যের বিরোধিতাই তোমার বিদ্রোহের মূল ৷।
জাতিভেদের বিরুদ্ধে তোমার ছিল কত সংগ্রাম।
অসাম্যের নীতি ভাঙতে গেয়েছিলে সাম্যের গান ৷।
বিদ্রোহী কবি রূপে তুমি আবির্ভূত হয়েছিলে।
ধর্মের ভেদাভেদে তুমি একতা চেয়েছিলে ।।
পরাধীন দেশের বিরুদ্ধে তুমি রুখে দাঁড়িয়েছিলে।
গান কবিতার মধ্যে দিয়ে বিরোধিতা করেছিলে ৷।
অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তোমার ছিল সাম্যের সুর।
গানে কাব্যে আজও তুমি বিদ্রোহী কবি নজরুল ৷।
বাংলা সাহিত্যের আকাশে তুমি রইবে যুগ যুগ ধরে।
বিরাজিত হয়ে থাকবে তুমি প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।।-
তুমি বিদ্রোহী বীর,
শোণিতের স্রোতে বিদ্রোহ লিখে রাখো,
তুমি উন্নত শির,
বিপ্লব দিয়ে সাম্যের বাণী আঁকো।
তুমি বিন্দু ফোঁটায় রচেছ সিন্ধু
দুর্গম মহাপারাবার ,
তুমি ভেদাভেদহীন আজও সমীচীন,
বিদ্রোহ নয় থামবার।
--- অঙ্কিতা হালদার-
-: জানো নজরুল :-
শিখিয়েছিলে তুমি সাম্যের সুর, মননে তাই বিদ্রোহী নজরুল।
শোনা যায় আজও ঐক্যের গান, দুটি বৃন্তে একটি প্রাণ।
শিখিয়ে দিয়েছিলে ধর্মনাম, কিন্তু বিভেদ আজও শিরোনাম।
বলেছিলে তুমি নারী পুরুষের সমাধিকার দুই আলাদা নয়।
কিন্তু দেখি নারীর কাছে পুরুষ পুতুল থাকে ছলনার আশ্রয়।।
বলেছিলে নারীর কাছে পুরুষ ঋণী তেমনি পুরুষের কাছে নারী।
কিন্তু আজও নারী হত্যায় পুরুষের হাতে উঠে অস্র তরবারি।।
রাম রহিমের এক চেয়েছিলে তাও যেনো আজ গেছে মুছে।
বলেছিলে মানবতাই হোক শ্রেষ্ঠ ধর্ম, বিভেদ সব যাক গুচে।।
ধর্মের নামে আজও জানো নজরুল হানাহানি হয় রোজ।
তবে মানুষের মাঝে আজও চলছে ভীষন মানবতার খোঁজ।।-