সরস্বতীর বীণা ত্যাগ করে দূর্গার
ত্রিশূলও ধারণ করতে পারে.....-
তুমি বলো ডাইনি যাদের,
বিপদে পাশে তারাই দাঁড়ায়।
লক্ষ্মী করে ভরণপোষণ,
শত্রুবিনাশে কালীই সহায়।।-
মা রে তোর কোলেতে
হয় যেন মোর একটুখানি ঠাঁই,
ক্লান্তি ফেরার ক্ষণে আমি
তোর কোলেতেই শান্তি পাই।-
তোমার কালী মন্ডপে আজ পুজোর অপেক্ষায়,
আমার কালী লগ্নভ্রষ্টা, সমাজের উপেক্ষায়—-
কাল রায় বাড়িতে কালী পুজো। তারই আয়োজন করছিলেন রিতাভরি দেবী গেটে বেলটা বাজতে উঠলেন দরজা খুলতে।ছেলে অনির্বান আর বৌমা কনিনিকা দাঁড়িয়ে,আর কনিনিকার পেছনে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বছর 3 র একটি মেয়ে। দেখেই রাগে জ্বলে উঠলেন রিতাভরি দেবী।
~ "একি কান্ড করেছ তুমি বৌমা?আমার ছেলেটাকে সন্তান সুখ তো দিতে পারলেই না সেটাও মেনে নিয়েছিলাম তারপর বললে দত্তক নেবে,যদি দত্তকই নেওয়ার হয় একটা ছেলে আনতে পারতে তা না করে নিয়ে এলে একটা মেয়ে? তাও এমন শ্যামলা গায়ের রঙ?পাগল হয়েগেলে নাকি আর বাবু তুই ও কিছু বললি না?"
পাশের ঠাকুর ঘরে চলতে থাকা শ্যামার মৃন্ময়ী রূপের জোগাড় জানতি একমনে দেখছে শ্যামার ছোট্ট চিন্ময়ী রূপ।-
অলক্ষ্মী যে তোমার চোখে,
অলক্ষ্মী সে আদৌ নয়
দুর্গা, কালী সবের গুণে,
প্রকৃত নারীর জন্ম হয়।-
~~~~অন্য দীপাবলি~~~~
যদি জ্বালতে হয় প্রদীপ,
জ্বালিও প্রদীপ তোমার আমার মনে।
অন্ধকারটা জগতে নয়,
সে তো তোমার আমার অন্তরে।
রং-মশাল, বাজি না পুড়িয়ে,
পুড়িও হিংসা, কষ্ট গুলো কে।
জ্বালিয়ে ভালোবাসার মোমবাতি,
ভরিয়ে দাও এ ভুবন প্রেমের প্রকাশে।
তোমার অট্টলিকায় আলোর বসবাস সারাবছর,
পারলে দিও একমুঠো আলো,
কোনো গরিবের ছোট্ট কুটিরে।
বাজির আওয়াজ স্তব্ধ হোক,
জ্বালিয়ে ফানস,উড়িয়ে দাও ইচ্ছে গুলো,
অনন্তহীন আকাশে
ঘুচে যাক আঁধার, রং-বাহারি আলোর উপস্থিতিতে।
হিংসা বিবাদ হারিয়ে যাক, হাসি খুশির দীপাবলিতে-