পাহাড়ের বলিষ্ঠ গা বেয়ে ঝরে পড়ে ঝরনা...
স্পর্শ করে পাহাড়ের প্রতিটি গভীর অনুভূতিকে....
সূর্যোদয়ের প্রারম্ভে, রক্তিম আভায় নিমজ্জিত পাহাড়কে -
ভীষণ আদুরে লাগে ঝরনার...
ক্ষণিক বাদেই, স্বর্ণালী আভা সম্পন্ন পাহাড়ের -
প্রেমে পড়ে যায় যেন সে....
সময় আরেকটু বাড়লে, শ্বেত শুভ্র পাহাড় -
নিমেষেই আঁকড়ে ধরে তাকে...
রক্তিম, স্বর্ণালী, শুভ্র....পাহাড়ের এই রূপ -
ঠিক যেন ক্রোধ, প্রফুল্লতা এবং সৌম্যতার প্রতীক...
তাই তো বারবার ঝরনা ভালোবেসে ফেলে পাহাড়কে....
পাহাড়ও নীরবেই আগলে রাখে তার সোহাগী নির্ঝরকে...
প্রেমের এই কাহিনী তো আজীবন চলে আসছে....
হাজার ভুল-ত্রুটির মাঝেও ভালোবাসা রেণু ঝরছে....
যে টানে, ঝরনা জড়িয়ে থাকে পাহাড়কে -
ঠিক সেই একই টানে, আমিও চাই আমার প্রিয়তমকে ....
-
ঝরনা
কল কল ছল ছল গুরু গম্ভীর সুরে
বাজাও তোমার প্রেমের বাঁশি।
ওগো চঞ্চলা, স্রোতস্বিনী ঝর্ণা রাশি
গভীর রাতের কুজ্ব্যটিকা ভেদ করে
বহে চলেছো তুমি নীরবে নিঃশব্দে।
তুমিই শ্রী হরির পদচ্যুত হয়ে,
এসেছো মর্ত্য ধামে বিচরণে।
হৈমশিখরের ফাঁকে ফাঁকে দিতে ধরণা
বহিয়া নীরবে চলেছো তুমি ওগো হিমশীতলা ঝর্না ।
জোৎস্নারাতে চাঁদের আলোর পরশে,
প্রতিদিন সাজো তুমি অপূর্ব রঙের বাহারে।
হে ঝর্না তুমিই শিল্পীর চিত্রপটে অঙ্কিতা,
আর কবির প্রেক্ষাপটে প্রস্ফুটিতা।
ওগো প্রাণ প্রদায়িনী স্রোতস্বিনী ঝর্না।-
ঘুঘুর ডানা , স্বপ্ন্যালবাম, পদ্মরেণু, চুলের বিনুনি, সিগারেটের ধোয়া
জুড়ে অশরিরী তোর ছায়া |
রাতে আমার কথার সাথে তোর ওড়না
বাউল-ফকির, কাক-কোকিল, ঝরনা:
আজ দাবি নেই,
রাত শোয়া-এগারোটায় ট্রেন
আমি তখনও ট্রামে, হ্যাং হওয়া ব্রেন;
তুমিতো বটগাছ, আর আমি বকুল পাতা
ঝরে যাব, মরে-বেঁচে রব, তোকে টা-টা!-