বেহায়া বৃষ্টির ধারা
ভিজে জানালার কাঁচে টুংটাং কড়া নাড়া ,
বিরক্তিকর টেলিফোনের রিং,
অগোছালো ঘরের বিছানা বালিশ,
হঠাৎ মায়ের সু-মধুর ডাক .......
কফি নিয়ে যা,,,,,,
ব্যাস ,বৃষ্টির ফোঁটা আর,
কফি মিলেমিশে একাকার।
-
বৃষ্টির দিন,,,,
দিনের বেলায় আঁধার ঘনায়,,
মেঘের ঘন ঘটায়,,
অঝোর ধারায় বারি ধারায়,
ঝরছে সারা বেলায়,,।
মন হয়েছে এলোমেলো,,
হাওয়ার তালে তালে,,,
গাছের পাতায়,খুশির নাচন,,
যেন খিলখিলিয়ে হাসে,,।
ভিজছে তারা আল্হাদে, ছোট্ট শিশুর মতো,,
কেউ মারে না,কেউ বকে না,,
আমোদ আল্হাদ কত,,,।
মনে পড়লে ওদের কথা,
মনটা কেমন করে,,।
ভিটেমাটি হারিয়ে যারা,,
বেঁচে আছে কোনো মতে,,।
C.Bose.
-
এক নাগাড়ে বৃষ্টি ঝরায় মেঘ,ভিজে যায় দোতলা বাড়ির কার্নিশ
পাড়ার মোড়ে বকাটে ছেলে দিতে দিতেও দেয় না শিস।
আমার দক্ষিণের জানলায় হাওয়ার দাপট,ভিজছে আমার সুখ
মন খারাপের আসর বসেছে,বইছি হাহাকারের সমুদ্র এক বুক
প্রেমের সেই রঙিন দিনগুলো যেনো হাতছানি দিচ্ছে এই অবকাশে,
আমার জানলায় প্রেমের নামে তোমার কথাগুলো একটা,দুটো এখনো ভাসে
এঁদো গলি জুড়ে ছিল কত স্পর্শকাতর সন্ধ্যেবেলা,দুজনে ছিলাম ছুঁয়ে
মন খারাপের নিম্নচাপে শহর ভাসে ঝড়ের কোলে শুয়ে।
অতর্কিতে ঝাপসা তুমি,খালি হয়ে এসেছে শহরে গলির মোড়
সবশেষে প্রশ্ন থেকেই গেছে,প্রেম নাকি ভালোবাসার ঘোর?
ভেজা মাটির গন্ধ আসছে নাকে,সব আছে,সঙ্গী শুধু একাকীত্বের দীর্ঘশ্বাস
ভালোবাসার জন্য কবিতার জন্ম,একটা কবিতাকে বাঁচতে গিয়েছে হাজার কবির লাশ।-
বৃষ্টির ঘনঘটা।
ঝর ঝর রিম ঝিম ,ঝরছে অঝোরে,
একি শ্রাবনের ধারা??
এ কেমন দিন?শরতের নাই দেখা ....
টুপ টুপ ঝির ঝির শরতের বেলায়,
এ কেমন নিয়ম এই বৃষ্টির?
বৃষ্টি হচ্ছে সারাবেলা....
ওওও বুঝেছি এবার....মা আসবেন বুঝি নৌকোয়,
তাই এত বৃষ্টির ঘনঘটা....
মা গো তুমি এসো শারদ বেলায়,
এসো নাওয়ের দোলায়,এসো খুশির দোলায়।
খুশি দিও ঘরে ঘরে,তোমার এ ভুবনে মাগো,
তোমার পুজোর দিনে,
সবার মনে খুশি থাকে যেনো।।
-
সন্ধ্যে নামতে দেখি জানলাতে,ফিকে হয়ে আসে দিনের আলো
বৃষ্টি হঠাৎ যেতে গিয়ে,আমার দিকে ফিরে তাকালো।
কত স্মৃতি ভীড় করে এলো,মনকে বুঝিয়ে দিলাম ওসব অতীত
বাতাসের ঝোড়ো হাওয়ায় জানলায় নেমে আসে ডিসেম্বরের শীত।
সময় শেখায়,বৃষ্টির মতো ফিরে এসো,আবার কখনো ছুঁয়ে যেও
সবশেষে একলা দিনে,সঙ্গী বলতে লেখনীকে পেও।
আজকের বর্তমানকে এখানেই রেখো তবে,করে দিও ইতিহাস
জীবন শিখিয়েছে,অতিরিক্ত আবেগী সম্পর্কের পরিণতি “উপহাস”।-
হয়তো বর্ষা তোমার প্রিয় ঋতু , বৃষ্টি পড়ে তাই
বড় আনন্দ উপভোগ করো , খোলা জানালার পাশে বসে
আমি ভাবি তাদের কথা যারা দিন খাটে দিন খায়
বৃষ্টি দিনে তাদের রোজগারের আকাশ থেকে অনেক তারা খসে ।
ভাবছো তুমি ওইসব কথা , কাগজের নৌকা ভাসানোর দিন
বন্ধুদের সাথে মাঠে ভিজে ফুটবল খেলার স্মৃতি
আমি ভাবি বৃষ্টি দিনে কত লোক ঘুমহীন
মাথার উপর ছাদ নেই যাদের , তাদের কেমন কান্না আবৃত্তি ।
ওই লোকটার বৃষ্টির জন্য কতটা টাকা ক্ষতি হলো
একটা কিছু বেচতে পারলো এই বাজারেও
অনেক টাকা ঋন করেছে , দুটো মেয়ের বিয়েতে
আরো একটা বাকি আছে , ঋন নিতে হবে এবারেও !
কিন্তু আগের টাকাগুলো শোধ করতে না পারলে
দিবে কে অতটাকা ? বিশ্বাস রাখবে কার পরে
বিঘা পাঁচ জমি ছিল , পিতৃসম্পত্তি
এখন পনেরোকাঠা টিকে আছে , ছোটো মেয়ের তরে ।
গত বছর ধান লাগিয়েছিল , সব খেয়েছে বন্যায়
এইবছরেও ছাড়েনি পিছু , কী আর করা যায় !
তুমি মাতো বর্ষাকালে , হেলতে দুলতে গান শুনতে
ওরা মাতে জল আটকাতে , কার কাছে কত বাকি তার হিসাব গুনতে ।
টাকা হাতেই পেলে , তবেই হাড়িতে চড়বে ভাত
আর যদি না মেলে , চলবে না খাওয়ার অজুহাত ।-
ছাদের কোণে মেঘ জমেছে রং এর ছোয়াই অন্ধ মলিন।
মেঘের কোলে লুকিয়ে থাকা জলের ফোটা-
বলে দিয়েছে; আজ ধরণীর কোলে ঝরো ঝরো বৃষ্টির দিন।-
মেঘেদের অনুরোধে ,
হঠাৎ
বৃষ্টির উল্কি গায়ে এঁকে
কাটুক না একটা দিন,
এই উল্কির দাগ
হয়না যে অমলিন।-
এমনই এক বৃষ্টির দিনে
——————————————
এমনই এক বৃষ্টির দিনে,
হঠাৎই আনমনে
শৈশব এসে ডেকে যায়।
ঘন মেঘের আঙিনায়,
স্মৃতির ঠিকানায়
কাদাপায়ে কেউ যেন ছুটে চলে যায়।
জানালার পাশে বসে,
মাটির গন্ধে মেতে
বৃষ্টির এক অদ্ভুত ডাক শুনতে সে পায়।
"চলে আয় এদিকে
আবার খেলব মোরা একসাথে,
আকাশ আর ভূমি আজ
হবে একাকার।"
এভাবেই বৃষ্টি যেন
তাকে ডেকে যায় বারবার।
ছুটে চলে যায় মন,
উপেক্ষা করে মায়ের বারণ,
ভিজতে চায় আবার আগের মতন।
কিন্তু মা এখন আর করেনা বারণ
বারণ করে পরিণত মন।
এমনই এক বৃষ্টির দিনে,
তাই হঠাৎই আনমনে
শৈশব এসে ডেকে যায়।
- উজ্জয়িনী
-
শহর জুড়ে ঘুমের চাদর
শীত বর্ষার লুকোচুরি
ধূসর কালো বৃষ্টি দিনে
অঘ্রাণের হুড়োহুড়ি;
ভিজছে সকাল পাখির মতো
ভিজিয়ে অলস নরম মন
শীতের আমেজ কড়া নেড়ে যায়
হেমন্ত করেছে আত্মগোপন।।-