বুকের পরাণ বজ্র তাঁহার, 'ভগ্নহৃদয়' তাঁর 'পরিচয়'।
দুঃখ যে তাঁর চিহ্ন পায়ের, 'মৃত্যুশোক'এও 'মৃত্যুঞ্জয়'।
গগন জ্বালে লক্ষ্যপ্রদীপ, তেনার 'প্রার্থনা'তে,
চিত্ত যে তাঁর ভয় শুন্য, 'একাকিনী' তবু 'দিনান্তে'।
'অভিলাষ'এ তাঁর প্রথম প্রকাশ, 'সোনার কাঠি'র 'স্যাকরা' তিনি।
'কাবুলিওয়ালা'র 'প্রতীক্ষা'তে, আজও প্রহর গোনে হাজার মিনি।।
জানি 'দুর্লভ' তুমি, তবু 'প্রত্যাশা' আজি 'স্পর্ধা' মানতে নারাজ!
তাই তোমার পূজার 'অর্ঘ্য' লয়ে, বসেছি 'বোধন'এ আজ।
'সৃষ্টির ক্রিয়া'য় 'এক রাত্রি'র 'নীহারিকা' তুমি কবি।
তবু হৃদয়ের কালো আঁধার জুড়ে, পূর্বাকাশের রবি।
'হঠাৎ দেখার' আশা নিয়ে, কতনা ছুটেছি তোমার 'দ্বারে',
অপেক্ষারত 'নির্ঝরিনীর' ভাঙছে 'বাঁধন' তোমার তরে।
তোমার 'আবির্ভাব'এ 'অচলায়তন' 'মুক্তি'র 'পথবর্তী',
তুমি অন্ধকারের হিমশৈলে 'পরিত্রাণ'এর 'হৈমন্তী'
"কত অজানারে জানাইলে তুমি", "নিবিড় ঘন আঁধারে"।
হে নুতন প্রার্থনা করি, প্রতি বৈশাখে দিও দেখা বারে বারে।।-
◆কবি প্রনাম◆
"দুর্গম গিরি, কান্তার–মরু, দুস্তর পারাবার
হে লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে,যাত্রীরা হুঁশিয়ার"-
পরাধীনতার রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিদ্রোহ ঝড়,
লেখনী রুখছে ব্রিটিশ সরকার।
নানাবিধ শত কৌশলে বদ্ধ কয়েদখানায়,
বিদ্রোহী সুরে "ব্যাথার দান" চির স্মরণীয় কাব্য পাড়ায়।
উপন্যাসে বাঁধন হারা, মৃত্যুক্ষুধা,কুহেলিকা,
চোখের চাতক,চন্দ্রবিন্দু আর স্বরলিপি তে সঙ্গীতস্রষ্টা।
জন্মদিবসে তোমার চরণে সহস্র কোটি প্রণিপাত করি হে প্রভু,
নিরোধিত সুরে তোমার সেই বিদ্রোহী বাণী বেজে ওঠে আজও,
অশ্রু ধারায় নি:শেষিত দুই চক্ষু।।-
বিশ্বকবি
আজ এই শুভ দিনে উদিত হয়েছিলে তুমি রবি,
পরিচিত হলে বিশ্ব মাঝে তুমিই আজও বিশ্ব কবি।
ছোট্ট বেলায় পরেছিলাম আতা গাছে তোতা পাখি,
ঠাকুর দাদার বৌএর মুখে আজও শুধু মিষ্টি হাসি।
মায়ের সাথে লুকোচুরি মন কেড়েছে ছেলেবেলায়,
অমল দইওয়ালা, রক্তকরবী এসবকি আর ভোলাযায়?
প্রনাম তোমায় কবি তুমি বাংলার হৃদপিন্ড,
তোমার লেখনী বাংলা সাহিত্যের অমৃত ভান্ড।
দেনাপাওনায় দেখিয়েছিলে পন প্রথার কুফল,
আজও এই সমাজে পনপ্রথা একই রকম সফল।
গীতাঞ্জলি,গল্পগুছ্য ,কথা কাহিনী ছিন্নপত্র,
লিখতে গেলেও শেষ হয়না তোমার কৃতিত্ব।
ঠাকুর তোমার লেখা পবিত্র গঙ্গা জলের মতো,
তোমার লেখা গান বিশ্ববাসীর মন কারে সেতো।
কবি তুমি ,লেখক তুমি সাহিত্যিক ও দার্শনিক,
এতোকিছু বলেও বাকি রইল বেশ খানেক।
তোমার সেই অন্ধকানাইএর কথা আজও মনে পরে,
এ সমাজে আজও তারা গান শুনিয়ে শুধু ভিক্ষে করে।
বাংলা মায়ের কোলে আবার ফিরে এসো তুমি রবি,
আর তুমি হয়ে থেকোনা শুধু মাত্র হয়ে ছবি।
ফিরে এসো রবি বাংলা সাহিত্যের আবার ধরো হাল,
বাংলা সাহিত্য যেনো বঞ্চিত নাহয় চিরো কাল।— % &-
আমার রবি পাতাঝরায় পিপীলিকার স্রোত,
রবি দিনে রোদ মেখে ছুটির খোঁজ।
আজও অমল দইওয়ালার ডাকে সাড়া দেয় লুকিয়ে,
নষ্টনীড় সুপ্তঘুমে দরজায় দাঁড়িয়ে!
ছোট্ট মিনির বন্ধুত্বে কাবুলিওয়ালা ফেরে,
চোখের বালির কাজল ঢাকে মনিহারার ক্লেশে,
চারুলতা আজও মেশে শেষের কবিতার ছন্দে,
রবিমাসের সমর্পণ গীতাঞ্জলির সুরে।
শুভ জন্মদিন কবি!
-
জন্মশতবর্ষ: বর্ষের পর বর্ষ অতিক্রান্ত হয়------
থাকে না কোনো দেহ,থাকে না রক্ত মাংসের
বলিষ্ঠ কোনো শরীরও; থাকার মধ্যে থেকে
যায় শুধুমাত্র একটা নাম "রবি"...
শুভ জন্মদিন রবি ঠাকুর❤️❤️🌼🌼 প্রণাম 🙏-
হে কবিগুরু, হে সুরের জাদুগর,
কাল তব জন্মদিন।
করেছ বাংলার মুখ উজ্জ্বল এই ধরিত্রি তে জন্মে।
মরন হয়েছে বটে, তবুও চিরজিবি হয়ে আছ সকল বাঙালির বুকে। আছ তম করমে!
কিন্তু প্রভু, সারা ধরনি জুরে এ কি ন্রিসন্সতা!
এই কি তুমি চেয়ছিলে বল?
জওয়ান প্রানের রক্তাক্ত বন্যা, বিশ্ব জুরে হানা হানি!
দিকে দিকে কেবল ঝুদ্ধের দামামা বাজে, একি! কান বাজে হে প্রভু!
দেখতে পার না কি তুমি এ মিত্থাচার, ভাই ভাই এ কন্দল, রুক্তের উল্লাস...
ঘরে ঘরে অশান্তি,আপন পর, খুনখুনি..
অন্ধকারে নারি নিরজাতন, সম্মান-আব্রু যেন রাস্তার ধুলা ...
মানুষ আছে, নেই তার বিবেক, ভালবাসা।
কাল তম ১৫৬ তম জন্মদিনের প্রাক্কালে এটাই চাই
যে তমার এই 'সোনার বাংলা' তে সে দিনের মত ফিরে আসুক শান্তি, এবং ভালবাসা।
সুখ, সমতা আর সম্রিদ্ধি।
ঈতি,
তমারি এক শিশ্যা।-
কবি প্রণাম
অক্ষর জ্ঞান হয়নি যখন
তখন থেকেই চিনি,
মায়ের মুখে তোমারই গান
বাজতো রিনিঝিনি।
অ আ ক খ শেখার আগেই
তোমার গল্প শুনি,
আটকে তোমায় রাখতে নাকি
লক্ষ্মন রেখা টানি
নিজে নিজে ঘরে বসেই
লিখতে গল্প কবিতা,
আঁকতে তুমি মুগ্ধ হয়ে
বিশ্ব প্রকৃতির ছবিটা।
তোমার আমার ভালোবাসার
ছোট থেকে শুরু,
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবি তুমি
প্রণাম কবি গুরু।-
রবির উদয়ে দিনের শুরু।রবির উদয়ে দেয়ালের ক্যালেন্ডারে তারিখের নামকরন।রবির উদয়ে নববর্ষ কিংবা সংক্রান্তি ,আবার আপেক্ষিক ভাবে দেখলে সারাদিনে তাঁর স্থায়ীত্ব টুকু হল সকালের চায়ের পেয়ালা থেকে পশ্চিমের পড়ন্ত বিকেল ।কিন্তু আমি যদি পৃথিবীর এই প্রান্তে বসে রবির পশ্চিমের অস্তাচলটা দেখে থাকি আর আমার ঠিক উল্টো দিকে, পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বসে থাকা মানুষটা যদি পূর্বে রবির উদয় দেখে থাকে ঠিক একই সময়ে তবে তাকে অস্তাচল বা উদয় কোনোটাই কী বলা যায়?প্রচন্ড কুয়াশা, কিংবা মনমরা মেঘলা দিনে যখন বাড়ীর সামনের ভীটে খানি ভিজেছে শ্রাবনের ঐ অঝোর ধারায় ,তখনও কিন্তু রবি বাঁচে ঐ মেঘ বালিকার আড়ালে।হ্যাঁ জানি বাস্তবে রবির উদয় নেই, রবির অস্তাচল নেই, তবু আপেক্ষিক দৃষ্টিতে, ঐ যে প্রথমেই বলেছি ক্যালেন্ডারে তারিখের নামকরন রবির উদয়েই হয়, তাই "২২শে শ্রাবনের" জন্ম কিংবা নামকরনও রবির উদয় কালে।কিন্তু তারিখ পেরিয়ে গেলেও তো রবি বাঁচে,মধ্য আকাশে ,জ্বল জ্বল করে।আসলে আমরা ভুলে যাই যে রবির অস্তাচলটা হল আপেক্ষিকতা,আর বাস্তবটা হল চিরস্থায়ীতা।
-
দুঃখই হোক কিংবা ক্লেশ
তুমিই সহানুভূতি
তোমার কলমে জীবন্ত যেন
প্রতিটা অনুভূতি...-