ব্রিজ
পাহাড়ের বুক ফুড়ে দাঁড়িয়ে লুপ ব্রিজ খানা,
আমাদের উত্তরের পাহাড়ের নতূন ঠিকানা-
নতূন বলে সে আজ অনেকের কাছে অচেনা।
-
শিশির ভেজা ঘাসে
তোমার জীবনের
প্রতি মুহুর্ত যেন
সুন্দর ভাবে আসে।
তোমার শুভ ক... read more
গ্ৰীস্মের তপ্ত দুপুরে এক টুকরো কালো মেঘ,
বাদল হাওয়া ধীরে ধীরে বাড়ালো গতিবেগ।
চারিদিকে শো-শো, বো-বো কট্ কট্ কটাশ,
আকাশ ভরা কালোমেঘে ঘনঘন বজ্রপাত।
টাপুর টুপুর সারা দুপুর অঝোড়ে বৃষ্টি এলো,
নদী নালা পথ ঘাট সব জল থৈ থৈ হলো।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ খুশিতে গান গায় ব্যাঙ,
পিচ্ছিল পথে হাঁটতে গিয়ে ভেঙ্গেছে দাদার ঠ্যাং।
বৃষ্টি যেমন টাপুর টুপুর ঝড়ছে যেনো সারা দুপুর,
পেটৈর টানে ঘুরে বেড়ায় অবলা সব পথ কুকুর।
চারিদিকে বন্যা এলো সকলে ঘর বন্দী হলো,
পথ ঘাট সব বন্ধ হলো গ্ৰীস্মকাল হারিয়ে গেলো।
সকাল সন্ধ্যা একইরকম, ভেজা পায়রার বকম্ বকম্,
খিচুড়ি রান্না ঘরে ঘরে, ইলিশ ভাজা তার উপরে।
জমে গেলো খানাপিনা, বড়শী ফেলেছে ছোট্টো আমিনা,
আবদুল মাজি খুব খুশি আজ ধরেছে সে অনেক মাছ।
বৃষ্টি একটু ধরে এসেছে পানকৌড়ি ডুব দিয়েছে,
এমনি করেই সন্ধ্যা হলো সন্ধ্যা তারা উঁকি দিলো।
বৃষ্টি যেমন রাজার মতো, ঝড়ছে তার খুশি মতো,
গ্ৰীস্ম তোমায় দিলাম বিদায়, এই বৃষ্টতেই আনন্দ হয়।
-
দু চোখের আঁকা ছবি মনের আয়নায় ধরা দিয়ে যায়,
ভারসাম্য হারিয়ে নীরব প্রকৃতি আজ খুব অসহায়।
-
বুকের ভেতর জমানো ব্যাথা কুড়ে কুড়ে খায়,
সব পেয়েও জানিনা কেন লাগে শুধু অসহায়।
যে বীজ বপন করেছিলাম আজ সে মহিরুহ,
ফুল ফল ছায়া সে সবই দিচ্ছে শুধু অহরহ।
তবুও মনে অজানা ভয় কাজ করে সবসময়,
যদি কখনো ঝড় এসে উপড়ে ফেলে তারে,
ভালোবাসার পরগাছার মতো জড়িয়েছি যারে।
তাই আজও মনে পরে সেই প্রথম দেখার কথা,
প্রথম কলির মতো লাজুক মনের ব্যাকুলতা।
একটি হলুদ গোলাপ ছিলো তোমার হাতে,
সত্যি কথা বলতে আমার লোভ হলো তাতে।
সেই ভালোবাসার প্রতীক এই লাল গোলাপ,
হয়তো তোমার মনে হবে শুধু পাগলের প্রলাপ।
প্রথম কলির মতো লাজুক তোমার মুখখানি,
আজও তেমনটি ই মনে রেখেছি আমি।
সংসার সাগরে এসব অনুভূতি বাতিলের খাতায়,
সময় সেতো শুধু জলের মতো করে বয়ে যায়।
প্রেমিক মন এখন দায়িত্বের বেড়াজালে বন্দি,
বেঁচে থাকাই জীবন, জীবন মানে ভালোবসার ফন্দি।
সীমার পাতায়-
লোকের ব্যাস্ততায় সময় গড়িয়ে যায়,
কারো হারিয়ে যায় কেউ হয়তো খুঁজে পায়।
উন্নয়নের তালে তাল মিলিয়ে চলে প্রযুক্তি,
বিঞানের প্রতি মানুষের আছে শুধু ভক্তি।
চেনা পথ ধরে অনেক হেঁটেছি রোজ রোজ,
সেই চেনা পথে আজ পেলাম অচেনার খোঁজ।
সেই তাল সুপুরী বন দাঁড়িয়ে ছিলো যখন,
বুড়ো বটের তলায় তখন কতো বিশ্রাম নিয়েছি।
জীবন জীবিকার টানে একে একে সব ছেড়ে আসা,
সেই ছেলেবেলা হারিয়ে গেলো সব ফিকে হয়ে এলো।
এখানেই জীবন বড় অসহায় ভালোবাসা নিরুপায়,
মানুষ এবার অসহায় কর্ম ব্যাস্ততায় সময় চলে যায়।
মাঝে মাঝে ছুটে যাওয়া সেই পুরোনো সেকরের টানে,
যেখানে চিনবেনা কেউ হয় তো আর আমারে।
শুধু সেই বুড়ো বটের ঝুড়ি মাথায় হাত বুলায়,
কেমন আছো বাপু? আমকেই যেনো বলতে চায়।
ডুয়র্সের বুক চিরে,চেল লিস ঘিস সেই চেনা নদী,
পাহাড়ী হড়পা বানে আমার মন ভাসিয়ে দেয় যদি-
সেই আশায় ফিরে যাই বার বার, এই পৃথিবীতে কে কার?
তাই হয় তো এখানে চিনবেনা কেউ আমাকে আর।
এই জলবায়ু এই আবহাওয়া, খেয়াল খুশি মতো চলে,
আমাদের ভুগোল আজ দেখি এমনটাই শুধু বলে।
-
আমি তো থাকতেই এসেছিলাম তোমার সাথে,
তুমি অস্বীকার করে হাত রাখলেনা আমার হাতে।
আকাশে চাঁদ উঠলে সকলেই দেখতে পায় জানি,
বুঝতেও পারলেনা তুমি কেন ছিলাম অভিমানী।
আজ এক টুকরো মেঘ এসে চাঁদ ঢেকে গেলো,
এ যেনো অকস্মাত্ ধ্রবতারার খুব হাসি পেলো।
রাতের আঁধারে জোনাকির মিটিমিটি আলো,
তারাতো চাঁদকে আজও বাসে ভীষণ ভালো।
আমি তো থাকতেই এসেছিলাম সারা জীবন,
বুঝতে পারিনি তুমি নেই আর আগের মতন।
তাই দুচোখ ভরা স্বপ্নগুলো ঝাপসা হয়ে এলো,
জানিনা আমার এতে কিই বা আর দোষ ছিলো।
আমার এখানে থাকলে তুমি বুঝতে পারতে শুধু,
আমার ভালোবাসায় কোথাও খাদ ছিলোনা কভু।
বলবো বলবো বলে যে কথা আজও হলোনা বলা,
ভালোবাসা মানে হয়তো শুধুই আজ ছলাকলা।
সীমার পাতায়
-
জাহাজ থেমেছে বন্দরে-অনেক দেশ ঘুরে ঘুরে,
ঠিকানা হারিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে দেশান্তরে।
অনেক খুঁজেছি তারে পথে প্রান্তরে -
অনেক শুধিয়েছি নির্জন বাতি ঘরটিরে।
একটু মুচকি হেসে ঢেউ তুলে গেলো সমুদ্দুর,
ঢেউ এর পর ঢেউ চলে গেলো দূর- বহুদূর।
নাবিক জানেনা কোথা তার ঠিকানা,কি আছে শেষে
দিগন্ত রেখা হাত বাড়ায় একটু মুচকি হেসে।
শুধু বিশ্বাস ছিলো বাতি ঘর ঠিকানা বলে দেবে,
জাহাজ থেমেছে বন্দরে অনেক দেশ ঘুরে ঘুরে।
উদভ্রন্ত নাবিক খুঁজে পেলো তার সঠিক ঠিকানা,
কখন কোথায় ভেসেগেছে সে কেউ জানেনা।
বাতিঘর সব জানে কোন জাহাজ কোনখানে,
আলোর ঠিকানা ছিলো তার কাছে গোপনে।
জাহাজ থেমেছে বন্দরে, কে জানে কিসের তরে-
বাতি ঘর তাই আজও নিরবে একা অপেক্ষা করে।
-
ইচ্ছে গুলো নিজের কাছে,
দুচোখ ভরা স্বপ্ন আছে।
সঠিক পথে এগিয়ে চলো,
সাফল্যের সাথে কথা বলো।
বাঁধা বিঘ্ন আসবে অনেক,
থমকে দাঁড়াতে হয় খানেক।
মনের গোপন ইচ্ছে গুলো
স্বপ্ন নেই যেন মনে হলো।
বিনামেঘে বজ্রপাতে,
কাপন ধরায় বুকে তাতে।
মড়া গাঙ্গেও জোয়ার আসে,
আশায় আশায় চাষা বাঁচে।
ইচ্ছে গুলো নিজের কাছে,
অনেক স্বপ্ন বুকের মাঝে।
আকাশ মাঝে আশার আলো,
মেঘ জমেছিলো ঘন কালো।
স্বপ্ন গুলো সত্যি হোক,
দূরে যাক দুঃখ শোক।
-
আকাশের কালো মেঘে নির্জন পথ ঘাট,
বনানীর হাসিতে প্রকৃতির নতুন রাজ্যপাট।
আজ পাহাড়ের গায়ে মেঘেদের হাতছানি,
কালোমেঘেও বৃষ্টি হলোবা আর কতোখানি।
আকাশের গায়ে কালোমেঘ ঘুরে বেড়ায়,
কে জানে কোন মেঘ কোথায় হারিয়ে যায়।
মনের গহিনে দুঃখ গুলো উশখুশ করে,
বৃষ্টি যেমন দুঃখ গুলোর দুহাত আছে ধরে।
এলোমেলো হাওয়ায় বৃষ্টি ঝেঁপে এলো,
কৃষান এবার তার প্রান ফিরে পেলো।
যে ঠিকানার খোঁজে পথে চলেছি একা,
জানি সে পথে হবেনা কারো সঙ্গে দেখা।
না পাওয়ার যন্ত্রনারা আজও অক্ষত আছে,
জানি সুখ গুলো জীবনের খুব কাছে আছে।
সুখের ভাগ সেতো সকলেই নিতে চায়,
এই পৃথিবীতে সত্যি মানুষ চেনা বড়ই দায়।
-
গ্ৰীস্মের তপ্ত দুপুরে প্রান হাসফাঁস,
এতো গ্ৰীস্মনয়, জীবন্ত এক ত্রাস।
কালো মেঘ জমে আকাশের কোনায়,
তবুও জ্বলছে আগুন আকাশ খানায়।
এই রোদ্দুরই আজ মেঘের দেয়াল,
কে জানে কি মেঘেদের খেয়াল।
খামখেয়ালীর আর শেষ নেই যেন,
কালো মেঘেও বৃষ্টি হচ্ছেনা কেন?
কট্কট্ কটাশ শুধু মেঘ গুর গুর,
ডাকাডাকি করে চলেযায় বহু বহুদূর।
কৃষাণ ভায়ার তাই মাথায় হাত,
কৃষিকাজ তার হচ্ছে শুধু বরবাদ।
আশায় আশায় তাবুও চাতক থাকে,
মেঘ নামানো দিন হঠাৎ যদি ডাকে।
মাঠঘাট আবার সবুজ হবে,
মাটির তৃষ্ণা মিটতো তবে।
মেঘ নামানো দিন আসবে কবে,
তপ্ত ধরনী তবেই তো শীতল রবে।
-