যা কিছু ছিলো আমার,
সেসব আগলে রাখার চেষ্টা বারবার।
তবুও হারানোর ভয় কাজ করে মনে,
সে কথা তোমায় বল বোঝাবো কেমনে?
পাল ছেঁড়া নৌকা ভাটির টানে যায়,
মল্লারের হাল ধরা তাই বৃথাই হয়।
যে পাখি মুক্তো আকাশে মেলেছে ডানা,
সে পেয়েছে তারই খুশির ঠিকানা।
হারানোর ভয় ছিলোনা তার কোনো,
তাই সে নিজেকে মুক্তো ভাবে এখনো।
জানিনা শুধু আমার মনে কেন এমন হয়,
যা ছিলো, আছে তা কেন হারানোর ভয়।
আজ আমাকে মনে হয় খুব অসহায়,
পেয়েও হারানোর ভয় কুড়ে কুড়ে খায়।
হারানোর যন্ত্রনা কেউ তো বোঝেনা,
হারিয়ে যাওয়া সম্মান কখনো ফেরেনা।-
শিশির ভেজা ঘাসে
তোমার জীবনের
প্রতি মুহুর্ত যেন
সুন্দর ভাবে আসে।
তোমার শুভ ক... read more
চারিদিকে দেখি শুধুই আঁধার,
কোন পথে চলতে হবে এবার।
রাত জাগা পাখি শুধু চেয়ে রয়,
আঁধার শেষে কখন ভোর হয়।
রাতের শিশিরে শরতের আবেদন,
ঝরা শেফালীর আত্ম নিবেদ।
নির্জন পাহাড় দাঁড়িয়ে নিরবে,
কেউ যদি আসে সে পথ ধরে।
খেই হারানো আঁকা বাঁকা পথ,
সেখানেই থেমেছে আলোর রথ।
সেই আলোর কাছে যেও তুমি,
যে পথ আগলে রেখেছি আমি।
আলোর দিশায় পৌঁছে দেবো,
কষ্ট গুলো আমি না হয় নেবো।
আঁধারে আলো খুঁজে নিতে হয়,
আলোর খোঁজ অতো সহজ নয়।
বলে বোঝানো যায় না সব কথা,
বুঝেও বোঝোনা মনের ব্যাথা।
-
মন্ত্র
ভালোবাসার মন্ত্র শেখো মায়ের কাছে,
পৃথিবীতে তারাই শুধু ভাগ্যবান-
যাদের কাছে সব সময় মা আছে।
-
ঘাসের ডগায় শিশির ঝরেছে,
এবার বুঝি শরৎ পরশ লেগেছে।
বর্ষা এখনো হয় নি বিদায়,
আকাশে কালোমেঘ ঐ দেখাযায়।
পদ্ম পুকুরে পদ্ম হাসে,
শাপলা হাসে তার ইশারাতে।
পাহাড়ী নদীতে হরপা বান এলো,
সবুজ সাদাকাশের বন ভেসে গেলো।
এবার শরৎ পরশ শিউলি গাছে,
সকাল সকাল সব ঝরে আছে।
পল্লি মেয়ের শাপলা হাতে,
মালা গেঁথে পরেছে গলাতে।
সবুজ সবুজ ধানের ক্ষেতে,
শরতের পরশে উঠেছে মেতে।
বৃষ্টি শেষে রৌদ্রের খেলা,
নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা।
শরৎ পরশ লেগেছে প্রানে,
মাঠ ঘাট ভরেছে সবুজ ধানে।
-
ফুল ফুটবে বাতাস বইবে,
সকাল সন্ধ্যায় পাখিরা গাইবে
মনের সুখে,ঘরে ফেরার গান।
শুধু প্রকৃতি সবুজ সতেজ হলে-
কাশ ফুল ফুটবে-শাপলা পদ্ম-
দুলবে,টলটলে দিঘির জলে।
গোষ্ঠে চলেছে গোঠের রাখাল,
শক্ত হাতে মল্লার ধরবে হাল।
প্রকৃতি সবুজ সতেজ হলে,
পেজা তুলোর মেঘের ভেলা-
ভাসাবে সুনীল আকাশ মাঝে।
কে দেখবে আয়রে চলে আয়,
সবুজ সতেজ হলে প্রকৃতি,
আমাদের মনটি ভরে যায়।
দুখঃ কষ্ট ব্যাথা বেদনা,
এই হৃদয়ে কম তো ছিলোনা।
সুখের হাওয়া লাগলো প্রানে,
মন যেতে চায় চল সেখানে।
মন্দ যা ছিলো সব ভুলে আজ,
পৌঁছে যাবো খুশির ঠিকানায়।
-
সুনীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,
ছুটোছুটি করে কাটিয়ে দেয় বেলা।
ভোরের শিশির ঘাসের উপর ঝরে,
পাখি গাইছে গান তোমার সুরে সুরে।
আবার দেখি সবুজ ধানের ক্ষেতে,
বাউল বাতস কেমন উঠলো মেতে।
মুক্তো বিন্দু ঘাসের ডগায় ডগায়,
প্রভাতী আলো খেলা খেলে যায়।
যে কথারা পাখির সুরে ছিলো,
সে কথারা আবার গান হয়ে গেলো।
শাপলা পদ্ম আজ বেজায় খুশি,
ঝরা শিউলিরা একটু না হয় বেশী।
রাত জাগা পাখির দু চোখে ঘুম এলো,
আগমনীর সুরে তার সুর মিলে গেলো।
নদীর দুধারে দুলে ওঠে কাশ বন,
তোমার সুরে সুর মেলাবে এখন।
-
দেশ গড়ার কারিগড়ের দায়িত্ব যাদের হাতে,
শুধু সম্মান রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে তারা রাজ পথে।
শিক্ষক সমাজের প্রতি এ কেমন শ্রদ্ধা নিবেদন?
অন্যের সন্তানের সাফল্যে আজও তারাই খুশি হন।
দেশের কিংবা সমাজের দন্ড মুন্ড তৈরী যাদের হাতে,
শিক্ষকদের জীবন কাটছে আজ শুধু হা- হুতাশে।
সীতার অগ্নি পরীক্ষায় ধরনীও দু ভাগ হয়ে ছিলো,
জানিনা ঈশ্বর,শিক্ষকদের সাথে শুধু এমন কেন হলো?
আজ যে হাত পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার কথা,
সে হাতেই লিখতে হলো শিক্ষকদের দুরভাগ্যের কথা।
লোকে বলে পিতা মাতা গুরু জন নাকি ঈশ্বর সম,
তবে শিক্ষক দের সমাজে আজ এই অবস্থা কেন?
কেউ দেবে না এর উত্তর শুধু কাঁদা ছোড়াছুড়ি,
দুচোখ ভরা জলে নেমে আসে বৃষ্টি ইলশে গুড়ি।
দেশ গড়ার কারিগর আজ নিজেই ভেঙ্গে খানখান,
সমাজের চোখে আজ প্রশ্নের মুখে শিক্ষকের সন্মান।
এ তো শুধু দু দন্ডের স্বপ্নের মতো লাগে যেনো,
শিক্ষকের ভাগ্যে ঈশ্বর এমনটি লিখেছেন কেন?-
দু চোখ ভরে স্বপ্ন দেখে মন,
স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকা এখন।
কতো স্বপ্ন কখনো সত্যি হয়,
আবার কতোইনা অধরা রয়।
দু দন্ডের স্বপ্ন মনের অবচেতনে,
কতো সুখ দুঃখ আনন্দ সেখানে।
স্বপ্নের বীজ বপন করি দু হাতে,
দু বেলা আমি জল দিয়েছি তাতে।
অঙ্কুর থেকে চারাগাছ হবে একদিন,
ফুলে ফলে ভরে উঠবে সেদিন।
এ ভাবেই এগীয়ে চলছে জীবন,
অবচেতনে স্বপ্ন দেখে আমাদের মন।
অবহেলা না চাইলেও পাওয়া যায়,
সম্মানের স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
দু দন্ডের স্বপ্নেরা এ ভাবেই থেকে যায়,
পরিশ্রমে সাফল্য অবশ্যই ধরা দেয়।
-
কলম শুধু কাগজের সাথে কথা বলে,
মন সে তো নিজের মতো করে চলে।
কুঁড়ি থেকে আজও শুধু ফুল হয়,
প্রতিটি ফুলেই ফলের অস্তিত্ব রয়।
বাদল বাতাস হারিয়েছে গতিবেগ,
গ্ৰীস্মের দুপুরে এক টুকরো কালো মেঘ।
জানিনা কি ছিলো কি হলো,
সব কিছু শুধুই কেমন এলোমেলো।
তপ্ত দুপুরে শান্ত দিঘির জলে,
মেঘেদের ছায়া কতো কথা বলে।
কবির কবিতায় এ সব নিয়ে লেখা,
তপ্ত ভাদরে শরতের পেলাম দেখা।
শাপলা পদ্ম পাঁপড়ি মেলেছে,
মর্তের পারিজাত শিউলিও ঝড়ছে।
শিশির ভেজা ঘাসে গঙ্গা ফড়িং হাসে,
অকালের শরৎকাল কে না ভালোবাসে।
কাগজ কলম এ সব নিয়ে কথা বলে,
এভাবেই আমাদের সময় এগিয়ে চলে।-
আমি তোমাদের প্রানের শহর বলছি শোন,
তোমরা আমাকে আর বুঝতে চাওনা কেন?
অনেক বার বলেছি প্রায় প্রতি জনে জনে,
আমার কথাগুলো কি কেউ কখনো শোনে?
পরিবেশ রক্ষা করো, বন্ধ হোক জলের অপচয়,
তবুও এদিক ওদিক জল নষ্ট হতে দেখা যায়।
ব্যাবহার করোনা প্লাস্টিক, ফেলোনা নালায়,
এমনটি হলে সব জল নর্দমায় জমে যায়।
যতই থাকুক এসবের জন্য জরিমানার ভয়,
ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়া এসবও তো কম নয়।
শহরবাসী শুনতে চায়না কেন আমার কথা,
অভিমানী শহর হয়ে সইতে হলো মনের ব্যাথা।
শহরবাসী একটু ভাবো এখনো আছে সময়,
এ শহর শুধু তোমদের অন্য করো কিন্তু নয়।
সীমার পাতায়
-