বিশ টাকার আতর উবে যায়,
স্টিমারের পোড়া তেলের গন্ধে;
নদীর বাষ্প কেটে ঝাঁপসা চোখ,
ঐ দূরে অতীতের দিকে তাকায়;
সামনে তো শুধু অদৃশ্য চক্রব্যূহ!
ঘামভেজা জামা ভবিষ্যৎ দেখায়;
আবার যদি ফিরে যাওয়া যেত,
সময়-যন্ত্রের অদ্ভুত যানে চড়ে;
ঝুলে পড়া চামড়া সামনে ঝুঁকে,
জলের তলে নরক খুঁজে ফেরে;
যেখানে রাখা হয় পাপের খাতা!
কাঁধের ব্যাগ, হাতঘড়ি অট্টহাসে,
ব্যঙ্গ ছুঁড়ে দেয় ব্রীজের লোহাও;
মুক্তি?? চুল্লির খরচ হাজার দুই।-
মুখোশ নেবেন বাবু মুখোশ..
রাক্ষস,ঠাকুর,বানর,জোকার;
দুটো কতোয় দিবি রে?
যতোয় হয় ভাতের মাড়!-
প্রয়োজনে নেয় খোঁজ, আত্মীয়তার সুতোয় বাঁধে গিট 💞
দেখতে হুবুহু মানুষ হলেও এরাই আদপে হিপোক্রিট 🦎-
অনেকবার ছাদে গিয়ে উড়িয়ে দিতে চেয়েছি পাখিটাকে,
খাঁচার দরজা খুললেই রাগে চেঁচিয়ে ওঠে!
যত বলি, যা চলে যা, হুস! লাফিয়ে তত কাছে আসে;
ওর ডানা কাটা পড়েনি, ঘরের ভেতর উড়েছেও বারকয়েক,
খুদ খুঁটে খায় জোর করে, খাঁচার দরজা নিজে আটকে নেয়;
তবে কি বন্দীত্বই ভালোবাসা? নাকি অভ্যাস?
নাকি পুরোটাই নিরুপায় হয়ে মায়ায় আষ্টেপৃষ্টে যাওয়া?
যে টানে আঠাহীন অকেজো টিপ আরশি ছুঁয়ে থাকে,
ছেঁড়া শাড়ির আঁচলে গরম ভাতের ফ্যান ঝরানো হয়;
পাকদন্ডী বেয়ে ধেয়ে আসা ঝড়ে পিছুটান কাটে না।-
হাঁটতে শেখো অন্ধকারে হোঁচট খাওয়ার গল্প মেনে,
আলোর দিকে হাত বাড়াও, পুড়তে হবে খানিক জেনে।-
অনেক তো হলো হাঁটা,
এবার খানিক জিরিয়ে নেব নাহয়;
কুঁড়ি থেকে চার কুড়ি হওয়ার যাত্রায়,
জীবন রথ টেনে নিয়ে চলে সারথি মৃত্যুভয়।-
মস্তিষ্কের সবচেয়ে অন্ধকার কোনে বসে,
আমি চকমকি পাথর ঠুকে গেছি রাতদিন!
মদের পেয়ালায় ডুবসাঁতার দিয়ে দেখেছি,
সেখানে একফোঁটাও সোমরস লেগে নেই!
অন্ধের শহরে আয়না বিক্রির টাকায় যেন,
প্রথা পোড়ার বিশ্রী ভ্যাপসা গন্ধ মঁ-মঁ করে;
ধুম জ্বর অজান্তে খাটের কাঠে লেপে দেয়,
আমৃত্যু কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আয়ুর প্রলেপ;
মরচে ধরা ঘরে সন্তর্পণে রাখা আছে সেই,
বিবেকের চিতায় জ্বলা মোক্ষপ্রাপ্তির ছাই।-
জানি জানি...
ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক;
ভুল করে ভুলে যাওয়া যায়না,
আবার ভুল করেও ভোলা যায়;
ভ আর ল এর মাঝে যারা থাকে,
সে তিনকাঁধ আমার রাখা আছে!
তাইতো সেই চতুর্থকে খুঁজে ফিরি;
পঞ্চভূতের ভেতর যে উত্তাল সমুদ্র,
তার তল আর খুঁজে পায় কজন?
নিঃশব্দ কান্না শুষে নেয় অট্টহাসি;
ভূতের ভবিষ্যৎ শুনেছি অনেকবার,
সময়-কাঁটায় চড়ে এগিয়ে যাচ্ছি তাই,
যদি ভূত হয়ে ভবিষ্যতের দেখা পাই।-