ছুঁড়ে ফেলে দেব লাল-নীল সব আড়ি।
বেরঙিন হব, একদম সাদাকালো।
ছেড়ে যেতে যেতে জমকালো কোনো রাতে
নরম পেরিয়ে তরবারি হওয়া ভালো।
পথের ওধারে আস্ত মরুভূমি,
বাষ্পীভূত জলের ওজন ভারী।
কোনো মধুরাতে কলঙ্ক হই যদি,
ছেড়ে রেখে যাবো আলতাপেড়ে শাড়ি।
মেখে নেব এক হলুদ বিকট আলো
পাতাঝরা কালে মশাল জ্বলন্ত।
কয়লা পড়ানো গন্ধ ঢেলে দিও
সাজিয়ে নেবো ধূসর বসন্ত।-
কোনো এক নীল রঙের ছোঁয়ায় আমার দুজন
কবিতার ছন্দের মিলটা না হয় নাই বা হল চিরন্তন
তুমি বলেছিলো ,"তোমায় নিয়ে বাঁধব আমি তোমার সুখের ঘর
আগলে ধরে রাখব আমি আসুক যতই ঝড় "
শেষ নৌকায় পাড়ি দেবো ,তবে আজ আমি বেশ ক্লান্ত
তোমার পাঞ্জাবির কোনো এক ভাঁজে আজও লেগে থাকে বসন্ত
-
রাহুল নিশাকে কোলে করে হেঁটে হেঁটে নিয়ে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিল।
যতক্ষণ কোলে ছিল নিশা ততক্ষণই রাহুলের গলাটা জড়িয়ে ধরে মোহময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল ওর দিকে।তেমনি রাহুলও তাকিয়ে ছিল নিশার ঠিক চোখের দিকে। নিশাকে বিছানায় শুইয়ে দিতেই ওর আঁচলটা পেটের ওপর থেকে সরে গেলো।এই দৃশ্য দেখামাত্রই রাহুল যেনো সব কন্ট্রোল হারিয়ে ফেললো।নাভিতে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিল কতক্ষন।তারপর ঠোঁট না সরাসরি জিহ্বা দিয়ে আদর করতে লাগলো ওর নাভিতে।নিশা রাহুলের চুলগুলো খামচে ধরে সাপের মত মোরামুরি করতে লাগলো।উফফ কি করছে রাহুল! ও তো সুখে মরেই যাবে।কিছু বলতে গিয়েও নিশা একটা কথাও বের করতে পারলো না।হঠাৎ রাহুল ওর খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো ঘষে দিল নিশার পেটে।
নিশা ব্যথায় একটা চিৎকার দিল।রাহুল ওর ঠোঁটে চুমু দিয়ে চিৎকার থামালো।তারপর তাকিয়ে রইলো নিশার দিকে।
কি মায়া!!!-
একটা রেলিং এর গায়ে নীল চাদর
ফুটপাথে লাল শালু
মড়ার খুলির দাঁত বের করা
বাসের জানালায় যুবক
সেলাই করছে সাদা বেদনা
বেকার ভাবনায় ডুবে
যুবতীর নাভি হারিয়ে ফেলেছে
সবুজ শাড়ি
ফাঁস বসে যাচ্ছে অন্ধকারের
গেম জমে গেছে
আঙুল ছাপ মোবাইলে।।।-
শাড়ি ভাজ করা, নাড়াচাড়া করা তোমার প্রিয় কাজ
তোমার একেকটা শাড়ি যেন একেকটা ইতিহাস
শাড়ি কেনার ইতিহাস,শাড়ি পরার ইতিহাস,
শাড়ি নিয়ে স্মৃতির ইতিহাস,কত আলোচনার ইতিহাস
এসব ইতিহাসের পাতা উল্টাতে উল্টাতে
সময়টা তোমার খুব দ্রুত কেটে যায়
ক্লান্ত হোয়ে একসময় তুমি শাড়িগুলো
না গুছিয়েই ঘুমিয়ে পড়ো
নরম বিছানায়, গালে হাত দিয়ে,কোনো বালিশ ছাড়াই।।।-
অনেক বছর পর সীমার সাথে রাস্তায় দেখা হলো।সীমাকে এই সে প্রথম দেখল নাভির নিচে শাড়ি পরতে,যদিও সীমার পেট এখন আর পাতলা নেই।
সীমার সেই অনাবৃত পিঠ ও পেট এর কথা ভেবে মুচকি হাসলো।কি অদ্ভুত মাদকতা মিশ্রিত সেই মুহূর্ত যখন সে প্রথমবার সীমাকে দেখেছিল শাড়িতে।
তখন সীমা ছিলো তার একান্ত আপন।
-
সত্যি বলছি
শাড়িতে বড়ই অদ্ভুত সুন্দর দেখা যায় তোমাকে
হটাৎ করেই যেন কিশোরী থেকে ষোড়শী নারী হয়ে ওঠো
আর তখনই
তোমার আঁচলের নিচেই বিচিত্র ভঙ্গিতে খেলা করে যৌবন।।।-
শাড়ির আঁচল কোমরে পেঁচিয়ে
অমন কঠিন ঝগড়া করতে হবে?
না হয় আমি একটু বেখেয়ালি,
তাই বলে অমন ঝগড়া!
চশমা পড়ে ভেঙ্গে গেলে,কাজল লেপ্টে গেলে,
বলতে কিন্তু পারবেনা - " সব দোষ তোমার"।।।-
আচ্ছা কাল না হয় কালো শাড়িটাই পড়ে এসো
হাতে পড়ো কাচের চুড়ি আর কপালে টিপ কালো,
আসতে যদি দেরীও হয়
রাগ না করে একটু ভালোবেসো।
কালো শাড়িতে তোমায় বেশ মানায়
তুমি সত্যিই আজ সেজেছো একি মায়ায়,
চোখে কাজল আর মাথায় খোলা চুল
তোমার ওই মায়ায় পরে আমি করবো শত ভুল।
বৃষ্টির রাতে চলে এসো অন্ধকার এক মোড়ে
দুজন মিলে ভিজবো অনেক পুরো শহর ঘুরে,
নিয়ন আলোয় দেখে তোমায় পাইনি কিছু ভেবে
ভেজা চুল আর কালো শাড়ির মায়ায় গেছি ডুবে।
ওই কালো শাড়ির ভাজে আমি গেছি হারিয়ে
কাল না হয় ভালোবাসাটা দিও বাড়িয়ে,
যদি আমি রেগে থাকি, পড়ে এসো শাড়ি
খুব করে বকে দিলেও নিবোনা আর আড়ি।-