-
শহর - "তোমাদের একমুঠো উষ্ণতা দিলে
আমায় এক ফোটা বৃষ্টিতে ভিজতে দেবে?"-
বর্ষাকে চিঠি লিখেছে মেঘ,
গগন জুড়ে শুরু হয় গর্জন
আর ঘনকালো করে আসে নিমেষে।
মেঘের স্বরে বাদল ঝরে
সাগরের কিনারা হতে,
চাতক পাখি আনন্দে আজ
তাকিয়ে আছে জল ভরা দৃষ্টিতে।
মন বেদনা আর ব্যাকুলতায় চেতনা
বন্দী চার দেওয়ালের মাঝে,
মাঝে মাঝে ভাবি যদি বৃষ্টি হতাম
ঝরতাম এই শ্রাবণে মুষলধারে।-
তোমার যখন তছনছিয়া স্বভাব
আমার তখন খরগোশীয় মন,
আলটপকা দিচ্ছো যখন জবাব
পাঁজরজোড়া ভাঙতে কতক্ষন।
তোমার যখন আকাশ ভীষণ প্রিয়
মেঘ সাজাবো তোমার ছাদে এসে,
কবিতা গুলো সত্যি হবে সেদিন
বৃষ্টিছাঁচে তোমায় ভালবেসে।-
তবুও পুরোনো 'হার মানা হার'
ছুঁয়ে থাকি কড়ে আঙুলে
কয়েকটা সকাল একলা ভিজলে
রাস্তাও খবর রাখে না, বেখেয়ালে l-
বৃষ্টিটা অবিকল তোমার মতো,
তুমিও তো কখনো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করে দাও সুখ-দুঃখ...নূপুর জড়িয়ে
সামলাতে চাই ঢেউ... কখনো আবার ভীষণ মনখারাপে
মোমবাতি জ্বেলে অপেক্ষা করেছি জীবনটুকু ফিতেয় মেপে
তুমি তখন প্রচণ্ড কুয়াশায় মেঘ হতে ব্যস্ত! অভিমান নয়, অভ্যাসে
হয়তো সাজাই রোজকার ঘরকন্না ব্যথায় ব্যথা চষে
হঠাৎ চুপ করিয়ে দাও কদমফুলের ভিড়ে টেনে!
তাই যখন দীর্ঘ বৈশাখে একদিন, চলতে গিয়ে বিক্ষত হয়েছিলাম তোমাকে ছাড়া
নির্ঘুম চোখের পাতায় অঙ্গারে জ্বলেছিল মনেরও পারে আরেকটা পাড়া
তুমি কি করে নিজেই বন্যার দাপটে মুছে দিয়ে গিয়েছ খরার জ্বর
তবে অবাক হইনি একটা আকাশ বর্ষা ধরেও আর!
তোমাকেই এখন বৃষ্টি হিসেবে চাইতে শিখে গেছি বলেই হয়তো!
-