ধূসর স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিতে
আবেগী মেঘমালা এখনো বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরে—
সময়ে অসময়ে।
হৃদয়ের বন্ধ জানালায় যখন ঝিরঝির করে বাজে—
অতীতের ধ্বনি,
ভেজা বাতাসে তখন ভেসে আসে
নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাসের সুর।
এখনো বৃষ্টিতে ভিজি, ভেবে—
তোমার অস্তিত্ব বুঝি এই জলধারায় লুকোনো,
প্রতিবারই ভেজা শরীর নিয়ে ফিরি
এক শূন্যতা বুকে।
তবুও সেই অন্তহীন অপেক্ষার শেষে শুধু
প্রশ্ন জাগে—
তুমি নামের তৃষ্ণাটা আর মিটলো কই?
~জিসান-
ইতিহাস আর পলিটিক্যাল সা... read more
পাশে থাকলে কথারা যেনো থমকে যায়!
তার আঁখিজোড়ায় হারিয়ে যেতে যেতে, প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তে বলার মতো যত কথাই জন্ম নেয়, তারা যেনো নিজের অস্তিত্ব ভুলে বসে।
আর হৃদয়ের গভীরে জমে থাকা ভাষাগুলো শুধু তাকিয়ে থাকতে চায়— নিঃশব্দে, নির্নিমেষে।
কিছু অনুভূতি শুধু অনুভব হয়, বলা হয় না!
~জিসান-
শেষবার অনেক কিছু বলার ছিল,
অথচ ঠোঁটের কোণে ফিকে হয়ে আটকে রইলো শব্দেরা।
ফিরে এসে শুধু মনে হয়— কত কিছু বলা যেতো !
অথচ, শব্দশূন্য !
হৃদয়ের গভীরে অব্যক্ত কথাগুলো তোলপাড় চালায়,
অভিমান জমে থাকা নিঃশব্দ বিস্ফোরণের মতো।
বিষাদ ! অস্থির !
~জিসান-
শেষবার অনেক কিছু বলার ছিল,
অথচ ঠোঁটের কোণে ফিকে হয়ে আটকে রইলো শব্দেরা।
ফিরে এসে শুধু মনে হয়— কত কিছু বলা যেতো !
অথচ, শব্দশূন্য !
হৃদয়ের গভীরে অব্যক্ত কথাগুলো তোলপাড় চালায়,
অভিমান জমে থাকা নিঃশব্দ বিস্ফোরণের মতো।
বিষাদ ! অস্থির !
~জিসান-
একদিকে স্মৃতির দরজা বন্ধ করতে চাই,
অন্যদিকে হারাতে বসা সেই চন্দ্রখানি
আবার ফিরবে আশায়
ভাসতে থাকি নিভৃত বেদনার মায়াজালে।
ভুলে যাওয়ার প্রতিটি চেষ্টায় যেনো
আরও গাঢ় হয়ে যায় তার ছায়া।
মনে হয়, আমি তাকে বিদায়ও দিচ্ছি,
আবার অপেক্ষাও করছি!
যেনো হৃদয়ের দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে
বিদায় আর প্রত্যাবর্তনের এক নিঃশব্দ দ্বন্দ্ব।
এ এক অদ্ভুত অনুভূতি!
না ভোলা যায়, না ঠিক ফিরে পাওয়া যায়।
~জিসান-
সময়ের পরিবর্তন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি!
ক্যালেন্ডারের দিনগুলো কেটে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমি যে
জীবনের প্রথম পৃষ্ঠাই আটকে আছি এখনো।
এই যে আরেকটা বছরের অর্ধেকটা শেষ। আর আমার
প্রাপ্তি, শুন্য!
মাঝে মাঝে মনে হয়, ঘড়ির কাঁটা শুধু সামনে এগিয়ে
যাচ্ছে আর আমি দাঁড়িয়ে আছি এক অদৃশ্য দেয়ালে ঠেকে,
চেয়ে আছি সময় পরিবর্তনকারীর পানে।
~জিসান
-
একজন হোক, ঠিক গোধূলির শেষরেখায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই আলোছায়ার মতো,
যে আমার আবছা ছায়াতেও আশ্রয় খুঁজে পাবে,
যার চোখে আমি হব চিরন্তন বসন্ত, রুক্ষ শীতে যার একমাত্র উষ্ণতা, বর্ষার মেঘবিধৌত বর্ষণের প্রতিটি বৃষ্টিবিন্দুতে খুঁজবে আমার স্পর্শ।
একজন হোক, যার অন্তরে আমি কোনো বিকল্পহীন মৌনতা, যার তৃষ্ণা আমি, আর শান্তিও।
যে অন্য কারো দীপ্তিতে নয়, আমার ম্লান আলোতেও শান্তির পূর্ণতা খুঁজে নেবে।
~জিসান-
নির্জন রাতের এই রিমঝিম বৃষ্টিতে, আকাশ থেকে মেঘমালা অশ্রু হয়ে নামছে, যার প্রতিটি ফোঁটা যেন তোমার না বলা দীর্ঘশ্বাস। তোমার অব্যক্ত কথারাও, এখন আকাশের মেঘে জমে থাকা অশ্রুর মতো। বলার ছলে আকাশটা আজ ভিজিয়ে দিচ্ছে দূরত্বের অভিমানে!
সেদিন চোখ রাঙিয়ে হারিয়ে যাওয়ার অধিকার দিয়েছিলাম অচেনা নীরবতায়, অথচ স্মৃতির ভেজা ক্যানভাসে এখনো আঁকা তোমার অব্যক্ত মুখ! কেনো জানি, ভেতরের গোপন প্রান্তর এখনো খুঁজছে সেইরূপ এক মুখ, যেখানে ভালোবাসা ছিল চুপচাপ, অথচ গভীর।
তোমার অভিমান ছিল বসন্তের মতো, রঙে রাঙিয়ে দিত কিন্তু স্পর্শ দিত না, আর ভালোবাসা ছিল হাওয়ার মতো, যা থাকত আমার চতুর্দিক ঘিরে, অথচ ধরা দিত না কোনো ছোঁয়ায়। আজও সেই অসমাপ্ত বিকেলে মাঝেমধ্যে নিঃশব্দে বসে থাকি, আর দেখি সময়ের সরণিতে তোমার হেঁটে যাওয়া ছায়া। তুমি হয়তো অবহেলাকে আয়ত্ত করতেছ, কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি সেই দৃষ্টির দিগন্ত, যেখানে শেষ হয়েছিল একসাথে হাঁটার প্রতিজ্ঞা!
আজ এই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো দেখে মনে হয়,
আকাশও কি তবে তোমার অভিমানের ভাষা বুঝেছে?
যার কারণে নীরব প্রতিধ্বনি হয়ে ঝরছে আর্তনাদগুলো...!
~জিসান-
নিজেকে এখন ব্যস্ত রেখেছি এক নিঃশব্দ নির্বাসনে,
যেখানে শব্দেরা এসে থামে, কিন্তু কোনো উত্তর চায় না। মানুষের ভিড়, অপূর্ণ প্রত্যাশা, আর গন্তব্যহীন ছলনামাখা ভালোবাসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
এখন আর কারো দৃষ্টিতে নিজেকে ব্যাখ্যা করার ইচ্ছে নেই, ভালোবাসার ভিক্ষে চাই না কারো দরজায় দাঁড়িয়ে।
এই নির্জনতা এখন আমার বাঁচার সাময়িক আশ্রয়,
যেখানে অনুভূতিগুলোও শব্দহীন হয়ে ধূলোমাখা পাথরে বদলে গেছে।
~জিসান-