মাঝে মাঝে কাপে কফি পাই, সবদিন কেন পাইনা।
কেন হরলিক্স আসে, কাপে, প্রাতরাসে,
কফি কেন কাপে দেয়না।
(প্রাতরাসে তোমারে খাইতে দেয়না,
হরলিক্স দিয়ে রাখে,
তোমারে খাইতে দেয়না)
কোনো এক সকালে, থাকলে কপালে,
কফি যবে পাই কাপেতে,
ওহে 'হারাই হারাই' সদা ভয় হয়,
হারাইয়া ফেলি চকিতে।
( আশ না মিটিতে হারাইয়া–
পলক না পড়িতে হারাইয়া–
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে। )
আর কিছু যে খাবোনা আমি,
করিব এ আমি প্রাণপণ-
ওহে কফি খেতে গেলে,
চেটে চেটে খাওয়া
হরলিক্সকে দেব বিসর্জন।
( দিব কৌটো-সমেত–
দিব জলেতে ফেলে-
দিব কফির লাগি সব হরলিক্স বিসর্জন। )
-
অন্ধকার রাতের তলে জেগে স্বপ্ন দেখা,
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব আজ যে মূল্যহীন,
হায় রংবাহারি,
দূরে গেছো তুমি, তবু রাতের নিস্তব্ধতায় হানা দাও এই চোখের তারায়,
এ বুকের আঁচরগুলো যে আজও শুকায়নি!
-
শুনেছি কাকু তোমার নাকি
মস্ত hypertension,
ওড়না সরালে হয়ে যায় যদি
Myocardial infraction...
-
।।যান্ত্রিক।।
তারের জালে জর্জরিত তারা,
আকাশ ফুঁড়েছে যত বহুতল,
পিচের আড়ালে লুকিয়েছে মাটি,
হৃদয় আজ কেবলই রক্ত-কল।
হাতের মুঠোয় বন্দি জগৎ,
জগৎ থেকে বিমুখ তারাই,
যান্ত্রিক এই সভ্যতা মাঝে
অ-জন্ত্রিকদের বাঁচার লড়াই।
স্মৃতিরা আজ লুটায় ধুলায়
বছর ঘুরলে status-পরে
আঙুলের কিছু স্পর্শ দূরে
ফোনের screen-এর ঠিক ওপারে।
-
ব্যথার শ্রাবন সিক্ত হলো অশ্রু বারি পেয়ে,
তবুও শরৎ বাঁধছে যে বুক নির্জন পথে চেয়ে।-
মনের সেতার বাজে অবিরাম, নেই বাদকের ক্লান্তি,
সুরে সুর মেশে নুপুরের তালে, ইমন থেকে জয়জয়ন্তী।-
।।ছেঁড়া চিঠি।।
কাশফুলে আজ মাঠ ভরেছে
দুলছে হওয়ায় মন্দমধুর,
"পুজো এলো যে!" ডাক দিয়ে যায়
শরতের নরম রোদ্দুর।
নদীর ঘাটে নৌকো বাঁধা,
মাঝি তার আজ গেছে কোথায়,
বল না মেঘ, আকাশের কথা
ভাসে না তোর স্মৃতির পাতায়?
সুদূর কোন মণ্ডপ থেকে
ঢাকের সুর আসছে ভেসে
মন ডুবছে স্মৃতির গভীরে
তলিয়ে যাচ্ছে মিঠে আবেশে।
বৃষ্টির পর সিক্ত মাটি,
স্নানের শেষে তোর ওই চুল,
কাশের মতো দুলছে তোর ওই
সদ্য পরা কানের দুল।
টোল পড়া গালে মিষ্টি হাসি
মিষ্টি রোদের খেলা চলে,
বল না মেঘ, ভালো কেমন আছিস,
তোর সেই আকাশটাকে ভুলে?
ছিঁড়ে ফেলা চিঠি নদীর জলে
ভাসবে স্রোতে, যাবে যে বয়ে
হয়তো তারই প্রতিচ্ছবি
উড়বে আকাশে মেঘ হয়ে,
হয়তো তো তোমার ঠিকানা পাবে
মেঘপিওনরা অবশেষে,
পৌঁছে দেবে টুকরো-গুলো,
সযত্নে আর ভালোবেসে,
হয়তো সেদিন স্মৃতির ভাঁজে
পাবে সেই হারানো পাতা,
হয়তো সেদিনই শেষ হবে
মেঘ-আকাশের গল্প কথা।
-
- হ্যালো! শ্রী আছে?
একটা দীর্ঘ নিস্তব্ধতা...তারপর উত্তর এলো
- এ-এত দিন পর মনে পড়লো বুঝি?
- বা রে! ক-কথা দিয়েছিলাম যে... সাত বছর পর...
- জানি তো, জানতাম ও। তাই তো আজকের এই ফোনটার অপেক্ষায় ছিলাম।
- তাহলে, আজ থেকে আবার নতুন স্বপ্ন দেখা, কি বলো?
- সে তো নিশ্চই, হ্যা গো! আজকের তারিখ তা দেখেছো?
ক্যালেন্ডারে চোখ গেল দুজনেরই, ভিজে গেল চোখ....
তাদের সম্পর্কের আজ দশ বছর পূর্ণ হলো।
-
।।থাক না গোপন।।
দূর পাহাড়ের কুয়াশা মাখানো বন,
নরম সূর্য, শীতল সমীরণ,
ভেজা ঘাস আজ বলে সবুজের ভাষা,
নদীটির নাম থাক নাহয় গোপন।
পথ সেখানে হরেক সুরে গায়,
গান গেয়ে যায় মেঘ-পাহাড়ি বন,
সে সুর বয় স্রোতের হাত ধরে,
সে নদী আজ থাকুক না গোপন।
আগুনের ধারে, হিমেল কোনো রাতে,
হাতটা নেয় ঠাঁই তোমার নরম হাতে,
সযত্নে ওই নরম আঙুলগুলি
ভোলায় ক্লান্তি উষ্ণ স্পর্শ-সাথে।
রাত ঘন হয়, নিভে যায় আগুন,
নিঃশব্দে গান গেয়ে যায় বন,
নিরলস চলে নদীর কলতান,
নদীটির নাম?
...তা নয় থাকুকই গোপন।
-