কালার সন্ধান/তুলোশী চক্রবর্তী
আম বাগানে কোকিল ডাকে কুহু কুহু টানে / মনটা আমার অনুগত সোনা রোদের গানে।
চোঁখ বুলিয়ে বাগানময় ঘুড়ে বেড়াই যত / কুহু ডাক না শুনলে প্রানটা ওষ্ঠাগত।
কুহু ডাকে শুনতে পাই শুধুই কালার নাম / তাইতো আমি ছুটে আসি যেথায় বাগান ভরা আম।
কালার দেহ কালী যেমন কোকিলেরো তাই / তাইতো আমি কুহুর সাথে বন্ধুত্বতা পাতাই।
বনের ধারে গলির পাশে ছোট্ট একটা পুকুর / বন্ধু সেথায় আসে আমার
যখন পার হয়ে যায় দুপুর।
গাছের ডালে বসে বন্ধু শুধুই গাহে কুহুকুহু গান / আমি নদীর তীরে একলা বসে বৃথাই করি কালার সন্ধান।-
তবে কোথায় যাব আমি দাও বলে হে মদনমোহন।
জানি অনাথের নাথ তুমি ,আধারের আলো
অধনের ধন তুমি তাই তো তোমায় বেসেছিভালো,
একাকী জনের বন্ধু তুমি হে কৃপাসিন্ধু।
ওহে ঘনশ্যাম বলোতো আমায়
শুনতে কি পাবো আমি সেই বাঁশরী বাঁজে যমুনা পুলিনে রাধা রাধা ডাকে,
ধেনু চারণে সবুজ মাঠে,সেই কিশোর গোপাল
ত্রিভঙ্গ রুপে দেখা পাবো কি তোমার বলো বিশ্বের রাখাল।
বলরে আকাশ বলরে বাতাস কোথায় শ্যামের গৃহ
যাবো সেথায় যাবোই আমি জগতে কেউ নয়যে কারো কেহ।
খুঁজি তারে সকাল সন্ধ্যে পাবোই দেখা সেই আনন্দেই থাকি বিভোরে।-
শোন হে ঘনশ্যাম
তুলোশী চক্রবর্তী
শোন হে ঘনশ্যাম,দেখো বেলা বয়ে যায়,
যদি দেখা দাও একবার এই অভাগায়,
দু দিনের এই জীবন নামের মধুর গল্পটায়।
কোন দেশে তে থাকো তুমি_
কোথায় তোমার আবাস?
খুঁজে যাই দিবানিশি শুধু চরণ ধরার আশ।
হৃদয় বলে সেই চরণ জড়িয়ে কাঁদতে চিরকাল
কোথায় গেলে পাব তোমায় হে ব্রজের গোপাল,
ধন মান আপনজনের নেইতো প্রয়োজন
তুমিই আমার পাশে থেকো সদা সর্বক্ষন।
চলছে নাও ঘোর সাগরে _
উত্তাল ঢেউয়ে তরি চলে হেলে দুলে
ডুবে যে যাব কখন কে জানে এই পারাবারে।
শোন হে শ্যাম আমার
রাখো মারো আমায় যা ইচ্ছে হয় তোমার
নেই তবু রাগ অনুরাগ,অভিমান অভিযোগ
নেই কারো প্রতি ক্ষোভ
শুধু তুমি সাথে থাকো এইতো চাওয়া হে প্রানের মাধব।
নীরবে ডাকি বলে হে ঘনশ্যাম,
যদি তুমিও অবহেলা করো
আমার দিকে যদি না ফিরাও বদন_
তবে কোথায় যাব আমি দাও বলে হে মদনমোহন।
জানি অনাথের নাথ তুমি ,আধারের আলো
অধনের ধন তুমি তাই তো তোমায় বেসেছিভালো,
একাকী জনের বন্ধু তুমি হে কৃপাসিন্ধু।
ওহে ঘনশ্যাম বলোতো আমায়
শুনতে কি পাবো আমি সেই বাঁশরী বাঁজে যমুনা পুলিনে রাধা রাধা ডাকে,
ধেনু চারণে সবুজ মাঠে,সেই কিশোর গোপাল
ত্রিভঙ্গ রুপে দেখা পাবো কি তোমার বলো বিশ্বের রাখাল।
বলরে আকাশ বলরে বাতাস কোথায় শ্যামের গৃহ
যাবো সেথায় যাবোই আমি জগতে কেউ নয়যে কারো কেহ।
খুঁজি তারে সকাল সন্ধ্যে পাবোই দেখা সেই আনন্দেই থাকি বিভোরে।-
অপদার্থ মন-তুলোশী চক্রবর্তী
পাষাণেরে মন দিয়ে
হয়োনা গো সর্বশান্ত,
বরফ গলে সাগর হবে
তবু পাষাণ গলবে নাতো।
পাষাণ শুধু বাড়িয়ে যাবে
তোমার মুক্ত মনের যন্ত্রনা,
অবহেলে চলে যাবে
তারে তুমি আর ডেকোনা।
তিলেক দয়া নেই পাষাণের
মনে তিলেক দয়া নেই,
তোমার নয়নে দেখলে অশ্রু
মুচকি হাসবে সেই।
কার মনেতে কি যে আছে
হে হরি,বোঝা যে না যায়_
স্নেহভরে ডেকে কেউ
অঘোরে কাঁদায়।
যে তীর বিঁধে চলে যায়
তবু মন তার পানে ধায়
এ অপদার্থ মন আমার
রাখি যে কোথায়।।
-
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু_/কলমে_তুলোশী চক্রবর্তী
প্রথমে জানাই তোমার প্রতি
স্বশ্রদ্ধ প্রনাম সহস্র কোটি,
হে ভারত মাতার বীর সন্তান
শুনতে তো পারছো?বুভুক্ষু নরনারীর কলতান,
তোমায় ছাড়া যেনো মনে হয় পিতৃহীন আমরা
ভারতভূমে কুরুক্ষেত্রের অর্জুন রুপেই তুমি আবির্ভাব হও তরা,
তোমার মতো যুগাবতারের আগমনের অপেক্ষায়,
দেশের সবাই রাত্রিদিন রয়েছে প্রতিক্ষায়,
সত্যযুগে পালনকর্তা ছিল নারায়ণ ভগবান
তুমি ও কলির ভগবান রুপে আজো হৃদয়ে রয়েছো বিদ্যমান,
হে বিশ্ববাসীর সন্মানীয় বীর,
তুমি পুনরায় আবির্ভূত হও, না করে ধীর
ফিরে এসো, কেউ ভুলেনি আজো তোমার অবদান
মনেপ্রানে তুমিই রাখতে পারো ভারতমাতার সঠিক সন্মান,
নররুপে স্বার্থলোভী কিছু পিশাচেরা
প্রানের মাতাকে আজো পরাধীন করেই চলছে যে তারা,
আপন জননীকে রক্ষার জন্য দিবারাত্র কতো কষ্ট সয়েছো
জানিনা শেষে কেনো কিছু অমানুষের জন্য
এতো অবহেলা পেয়েছো,
পৃথিবী নামে গ্রহটি যতদিন সৌরজগতে থাকবে
বিশ্বাস করি তুমিও ততদিন
ভারতবাসীর প্রানে মনে অমর রবে।
-
মকর সংক্রান্তির সেকাল একাল/তুলোশী চক্রবর্তী
শীতে সাদা চাদরের মতো
চারিদিকের কুয়াশা ভরা পরিবেশ
মাঝে মাঝে মনে হয় এ যেন
ধোয়াময় স্বর্গ রাজ্য বিশেষ ,
সেই কয়েকটা বছর আগের
গ্রামের শীতের কথা খুব মনে পড়ে,
সেকালে সবার বাড়িতে বাড়িতে
মকর সংক্রান্তির নিমন্তন করে,
অগ্রায়নের নতুন ধানের উৎসব
শেষ হলে পরে
ধানের বিনীময়ে মাটির হাড়ি পাতিল কিনতো
আমাদের গ্রামের প্রতি ঘরে ঘরে,
মকর সংক্রান্তির আগের রাতে
পিঠা বানাতো বাড়িতে বাড়িতে
বহু রকমের পিঠায়
পরিপূর্ন থাকতো মাটির হাড়িতে হাড়িতে,
সংক্রান্তির ভোরে উঠে
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় স্নান আর পুজা সেরে প্রত্যেকে,
শুকনো পাতার গাদায় আগুন জ্বালিয়ে
চারধারে গোল করে বসতো একে একে,
অতপর গল্পের সঙ্গে সমান তালে
চলতো পিঠা খাওয়া
মিঠা পিঠার গন্ধে ভরে যেতো
শীতের শীতল হাওয়া,
আর একালে_
মানুষ বিলাসিতায় কাটায়
লুপ্তপ্রায় সব সংক্রান্তি,
মন ভরেছে হিংসায়,
তাই মকর সংক্রান্তির মিলনোৎসবের সুখ
আর আসেনা এই দরজায়।-