পাঁজরের খামে আয়াতের চিঠি; পোস্টমর্টেম করতে দেয়নি ওরা
সব জানিয়েছি মেঘের কাছে শুধু তোমার বিচ্ছেদের গল্প ছাড়া।
শোকের আগুন পোহায় রোজ; মালুম নেই হারানোর ভয়,
সে বলেছিল 'প্রেমিকের মৃত্যুই কবির জন্ম দেয়' !-
চাবুক দিয়ে মারবে? বেশ!
এমন ভাবে মেরো, অন্তিমে যেন
ডোরাকাটা বাঘের মত দেখায়.
ফ... read more
মনমৃতের দলে দাখিল নাম,মায়ার আবেশে ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত,
ক্ষতর পাহাড়ে পাথর হওয়া মানুষ,করতে পারে বিপদসীমা অতিক্রান্ত ।
ওদের হৃদয় মৃত্যুর ফুল ফোটে,কারফিউ জারি করা মগজে বিধ্বংসী লীলা সমাপ্ত,
মরচে ধরে যাওয়া আমার প্রিন্টিং প্রেস; একদা শহরে প্রেমের কবিতা ছাপতো।-
টিনটেড ফটোফ্রেম,জন্মদৃশ্য প্রতিফলিত,কিছু চরিত্র হারালো শেষ পর্যন্ত,
দায়িত্ব বিকিয়ে দিয়েছে এখন জীবন;আমাদের যৌবন একপ্রকার বিকৃত ।-
একলা শহরে বিষন্নতার বিলবোর্ডে বহুবার দেওয়া হয় ক্ষতর বিজ্ঞাপন,
সহস্র প্রেম বিষাদে বিলুপ্ত হয়, রীতি রেওয়াজ মেনে হয়না মায়াদের সমাপন ।
নিয়তি মৃত্যু; সময়মাফিক বুঝে নিয়েছে যারা
' পরজন্মে নিজের জন্য বাঁচবে ',এখন দায়িত্ব পালন করছে তারা ।-
অনেক যন্ত্রণা শেষে আমাদের যখন বিচ্ছেদ এসেছিল,
অধরা স্বপ্নের ফিরিস্তি চার দেওয়ালে ভীষনরকম হেসেছিল।
পাঁচ বছর অনেকটা সময়,
মানুষ দায়িত্ব নেয়,বুঝতে শেখে,হাঁটতে শেখে,আছাড় খায়,
সব শেষে জাপ্টে ধরার মত কাউকে খোঁজে।-
"চলতে থাকা জীবন বন্দী হোক ফটোফ্রেমে" ,একবার বলেছিল সে হেসে
তোমার আমার নিয়তি অবশ্যম্ভাবী;মানুষ বুঝে নিয়েছে সব প্রার্থনার শেষে।
(যে মেয়েটার দু'চোখে তাকালে নবমীর রাতের মতো শঙ্কায় বুকটা মুচড়ে ওঠে, সেও চলে যাবে...দশমীতে মা যেমন যান)-
ফিরেই আসো একবার তবে
সাথে নিয়ে একরাশ অভিমান,
শহরে রটিয়ে দাও বিচ্ছেদের কথা
ভ্রুর মাঝে কালো টিপ;এখনো লেগে প্রেমের প্রমাণ।
ভুলে গেছে অবনীর মুখের আদল,ঠাহর হয়না কেমন ছিল কন্ঠস্বর,
সময় লেগেছে বুঝতে বনলতার;ভালবাসা ভালোরাখায় তফাৎ বিস্তর।
যুদ্ধ চলছে এখনো,জিতে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা
নিয়তির দ্রোহের দেখে যাওয়া বাকি শেষটা ।-
ফেলে আশা পথ;মনখারাপী আকাশ,অবসন্নতায় ভালো নেই যারা,
অবহেলার পদচিহ্ন রেখে বুকের করিডোরে,কিছুই চায় না; মৃত্যু ছাড়া।
ভেতর থেকে তুমিও ভেঙেছ নিশ্চয়ই,আর্তনাদ শোনা যায়নি মুখ হতে,
চিতায় আগুন পোহানো মানুষ ভয় পায় না আর তীব্রতর আঘাতে।-
তোমার নাভির শিরায় চুঁইয়ে পড়ে যৌবনের ঘাম
চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দাও শিহরণ,
শরীরের লাস্যময়ী ভাঁজ চোখের কর্নিয়ায় প্রতিবিম্ব
খোলা চুলের সৌরভে এলোমেলো চর্যাপদ...
আদরের প্রকোপে শক্ত হ্যামস্ট্রিং ছাড়িয়ে যায় স্পর্ধা
যৌবনের আরশিনগরে উত্তেজনার পারদ,
কর্ণলতিকায় নাসারন্ধ্রের উষ্ণতা মাপো আদরের ;
কথা দাও,কথা রাখবে...সব আবদারের-
অথচ তোমার থাকার কথা ছিল,
আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম তোমার চলে যাওয়া
অপেক্ষাতেই চলতে থাকে একাকীত্বের অবক্ষয়,
তুমি আমি আলাদা ভাবে এখন বাঁচতে শিখেছি
আক্ষেপের প্রশ্রয়!
অথচ তোমার থাকার কথা ছিল।
একটা জীবন শেষ হয়ে যায়,অহমিকা মিলিয়েও যায় ধীরে ধীরে
তোমার আমার কোনোদিন কথা হবে না; গল্পের শেষে লেখা ছিল পুত্রের তকদীরে।
সব বাবারা বাইরে থেকে পাথর,ভেতর থেকে মানুষ না?
আমাদের বিচ্ছেদের ছিল হাজারো কারণ,সাথে থাকার একটাও না...-