অলস দুপুর চুঁইয়ে পরে জানলা দিয়ে,
উদাস মন যায়ে কোন সুদূরে হারিয়ে।
সাদা প্রজাপতি উড়ে উড়ে বেড়ায়,
তার পিছু পিছু এই মন ধায়...
শুকনো ঠোঁটে, লেগে আছে কোন এক গান,
ছেলেবেলার সেই অবাক জলপান!
জানলার শিকের জমা ধুলোয়,
পড়ন্ত আলো ঝলসিয়ে যায়।
গতিহীন দিন, তাও সে গতিশীল-
আকাশের রঙ আজ বড়ই ফ্যাকাসে নীল।-
প্রেমের দিনে, প্রেম দিলে না যে প্রাণে !
প্রেম যে কোথায়, কেমন আছে এই সন্ধিক্ষণে !
টাইটানিকের রোসের মত আমিও তাকে স্বপ্নে,
চিনি, জানি, বুঝি আর ডেকে আনি জীবনে।
শেষ হয়েছে আমার জীবনে প্রেমের সন্ধান,
শেষ হয়েও হয় না শেষ, সে এক অদ্ভুত টান।-
তুমি বটবৃক্ষ নাকি শুধুই মরীচিকা?
গন্তব্য যে বড়ই আঁকাবাকা।
ভয় ও ভরসার দোলাচলে,
সময় গড়িয়ে গড়িয়ে যায় পার হয়ে।
বড়ই কুয়াশা এই শীতের সকালে,
সকাল না সন্ধ্যা বোঝা দায় উঠেছে হয়ে।
সামনে ঘন কালো রাত নাকি নতুন দিন,
সব শেষ নাকি হচ্ছে জীবন রঙিন-
অনুভুতির অন্তরালে আজ ঢুকতে পারছি কৈ?
সবই ধোঁয়াশা, সবই কেমন দাড়িয়ে আছে ঐ।-
প্রেম চাই এবারে জমজমাটি,
যার সাথে বেশ করা যায় খুনসুটি।
ভালবাসা বাসি থেকে ঝগড়াঝাটি-
কোথায় খুঁজে পাব কে যানে এরম মানুষটি!
ঈশ্বরের আশীর্বাদে কর্ম আমার নিয়েছে ছুটি -
উনি যা দেন, তাই আমি নিয়ে নি লুটিপুটি।
মনের কোণায়, আশা জাগায় আমার এই মাথাটি,
ঈশ্বরেরও ইচ্ছা তাই, কেউ তো খুলবে এবারে খাপটি।
আসবে কেউ তো আলো নিয়ে, আমি খুলব দরজাটি-
হাসি কান্নার দোলায় দুলে, লেগে না যায় একেবারে দাঁতকপাটি!
প্রেম চাই এবারে সত্যিই এক জমজমাটি,
ব্যস্ত ভীষণ, ছটফট করে আমার এই মনটি।-
বাসা ছেড়ে বেরনোর সময় এল আজ।
আরাম হল অনেক, এবারে যুদ্ধসাজ।
ঘরের নরম ছায়ায় জুরলো প্রাণ,
অনেক ছবি আঁকলাম, গাইলাম গান।
কৃতজ্ঞতায় ভরে আজ আমি ঘরের প্রতি,
সেরে উঠল আমার সব ক্ষয় ক্ষতি।
ঘর ছেড়ে যাবার গানে লুকিয়ে আছে নিরন্তর টান,
এত সেই ছেলেবেলার কলতলায় দাড়িয়ে স্নান।
শেকড় ছেড়ার যন্ত্রনার মধ্যে দিয়েই বাইরে বেরোতে হয়,
জীবনে, আটকে না থেকে, এগিয়েই যেতে হয়।-
আকর্ষণ আর বিকর্ষণের অদ্ভুৎ এই খেলা,
মতের অমিল পাবেই খুঁজে মেলা মেলা।
এলেই কাছাকাছি, হবেই ভুল বোঝাবুঝি।
তাই বলে কি প্রেম দেব না?
তাই বলে কি মন নেব না?
মানুষের শত সহস্র সিমাবদ্ধতার মধ্যেই,
তাই বলে কি ভালবাসব না?
তাই বলে কি পিছু ডাকব না?
যার কথা ভেবেই পার হয় পুরো বেলা,
তার সাথে ঘুরব তো এই জীবনের মেলা।
তাই বলি তাকে হেসে, তেলেও জল মেশে।-
বসে বসে ভাবি একাই,
তুই আর এলি কোথায়!
দিন যায়, রাত যায়, যায় মাসের পর মাস-
বুঝিয়ে দিলি বুঝি, আমি নই কেউ খাস।
নিজের জায়গা বুঝে চলাই দস্তুর,
আমিও তাই সরে যাই দূর দূর।
জানি, খুব ব্যস্ত তুই, খুব চাপ বেঁচে থাকার-
তাই এই দূরত্ব টুকু আমার খুব দরকার।
না, রাগ নেই, আজ আর নেই কোন অভিমান,
করতে হবে না তোকে আর কোন মানভঞ্জন।
সম্পর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষের কাছে,
আমার সত্যিই আর কি পাওয়ার আছে!!-
গাড়ি গাড়ি আর গাড়ি !
গাড়ির ঠেলায় চলতে না পারি।
গতিতেই জীবন বাঁচে সবাই-
সময় তো কারো কাছেই নাই।
ধৈর্য, স্থৈর্য আবার কি এসব?
যা চাই, এখুনি চাই সব।
ছুটতে ছুটতেই মৃত্যুর দিকে পা বাড়াই-
নাই, নাই, হাতে সময় তো কারো কাছেই নাই।-
মাথায় নিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ,
দেখি নিজেই বানিয়েছি এই রাজপ্রাসাদ।
খালি খালি ঘরে ঘুরে বেড়ায় আর্তনাদ-
কেউ নেই, কেউ নেই, নিজের সাথেই বিবাদ।
ঈশ্বর ওপর থেকে মুচকি হেসে বলেন ডেকে,
"পাগলিনী হয়ে উঠিস কেন থেকে থেকে?
এক আকাশ তারার মাঝে একলা হল চাঁদ-
তাই বলে কি জীবন থেকে যাচ্ছে কিছু বাদ?"
ভাবি বসে মাঝরাতে, একাই আমি, কি হল তাতে-
দিনের শেষে, শুধু ভাল থাকাতেই যায় আসে,
এ যে আমার ঘামের দামে কেনা রাজপ্রাসাদ,
এ সকলই তো হল ঈশ্বরের আশীর্বাদ।-
ঐ দেখ সামনে সূর্য, এ এক নতুন ভোর-
পেছনে সব অন্ধকার, জীবনে এক নতুন মোড়।
অদ্ভুত আনন্দ, অদ্ভুত সব অনুভূতি,
অদ্ভুত ভাবে মন শান্ত আমার, অদ্ভুত এই শান্তি।
সত্যিকারে নিজের পায়ে দাড়িয়ে আজ আমি,
নতুন জীবন দিচ্ছে ডাক, জানে অন্তর্যামী।
সেই হাতছানিতে সাড়া দিয়ে সূর্য ওঠে আজ-
ব্যস্ত আমি, সামনে এখন পড়ে আছে অনেক কাজ।-