বেড়েছে ক্ষত মন পাড়াতে হৃদয় ভেঙেছে এমন
মধ্যরাতে ঘুমের ঘোরে কেঁপে ওঠে এ শরীর-মন।
-
ডুবেছে সূর্য নদীর ওপারে, কমেছে অভিমান
দিনের শেষে তুমিই কবিতা, সন্ধ্যা নামার গান।-
যে সকালে দেখা হয়েছিল
তখন আমি পাথর ছিলাম
তুমি ছিলে স্নিগ্ধ...-
আমি বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিলাম বারংবার
তুমি না হয় শিশির হয়ে এসো
আমি জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের বেশে ছিলাম
তুমি ঈশ্বর হয়ে ছুঁয়ে যেও আলো।
-
পথ চেয়ে বসে আছে মা
বয়স তখন চোদ্দ কি পনেরো
সদ্য বুঝতে পেরেছিলাম প্রেম ভাঙার আঁচ
প্রিয় বন্ধুর বুকের বাম পাশটা
ভিজে গিয়েছিল আমার অশ্রুজলে,ভীষণ কেঁদেছিলাম
এমনকী আমার হাত কেটে বেরিয়েছিল অনেকখানি রক্ত
লাল হয়ে গিয়েছিল আমার সাদা স্কুল শার্টের হাতা
অথচ সে মেয়েটি আমার হাফ ইউনিট রক্তের
কোনো দাম রাখেনি
চোখের সামনে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিল
দীর্ঘ ছয় পাতার রক্তাক্ত চিঠি।
আর আমি সেই প্রথাগত নিয়মে
জীবনের কাছে হেরে গিয়েছিলাম
শেষমেশ আত্মহননের উপলব্ধি !
ঘরের দরজা বন্ধ করে উঠে পড়লাম কাঠের চেয়ারে
আর গলায় দড়ি দিতে গিয়ে তখন দেখি
পথ চেয়ে বসে আছে মা।
-তৌফিক
-
কোনো এক মনখারাপের রাতে
নিঃসঙ্গ আমি বালিশ ভেজাব কান্নায়
মধ্যরাতে পথ হাঁটব একাকী
তুমিহীন বিষন্নতায়।-
পথের বাঁকে হয়না দেখা তোমার সাথে
বাক্যালাপে হারাইনি বহুদিন
চিঠি লিখতে নিষেধাজ্ঞা শহরে
তোমায় নিয়ে কাব্য করি তাই রাত-দিন।
-
ছাদ ভেঙেছে ঝড়ের আঘাতে
পাড়া জুড়ে তাই নেমেছে শোক
স্রোতের টানে ভেসে গেছে কত বই
ছিঁড়েছে কত স্তবক।-
প্রতি হৃদস্পন্দনে
খুঁজেছি তোমায় বারংবার
তুমি অন্যের তরে থেকো ভালো,
জমানো চিঠি উড়ে গিয়েছিল
কোনো মহাপ্রলয়ে
এবারের মতো তবে
ঝড় সামলে নিও তুমিও।-
তোমার সাথে হয়নি আলাপ
তুমি আছো বহুদূরে
ব্যর্থ আমি অপেক্ষারত
একলা চিঠি ডাস্টবিনে।-