এই শহরের ভিড়ে ; সে আজ অন্য কারো ঘরে
অন্য কারোর সাথে বাঁধছে রঙিন এক বাসা -
কতটা রাত হলে নিঃঝুম হয় মন পাড়া ,
চোখের গলি বেয়ে চুয়ে পরে আমার পেলব ভালোবাসা ।
তাই,
মরে গিয়েও বেঁচে থাকার অমরত্ব আমি চাই
অভিমানী পুরুষের নীরবতা তোমায় দিতে চাই ...
-
|| আনকাট ||
রুক্ষ শহর রুক্ষতা বোঝে ।
মলিন আবেগ সস্তা দরে রাতের অন্ধকারে বিকিয়ে যায় ...
মিলিয়ে যায় প্রেমিকার নিরাভরণ আদর !
নিলামে ওঠে ভালোবাসা ...
যৌনতার গন্ধে এ শহর জেগে থাকে ।
খুব শুষ্ক , পলকা বাতাস বয় !!
ওয়েসিস হয়ে গেছে প্রেমিকের বুকের জমি ।
হ্যামলিনের বাঁশি ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে প্রতি জ্যোৎস্নায় ,
আনাচে কানাচে প্রিয়তমারা , আঁচল খসিয়ে ট্রিগার করে একরোখা কিছু জেদের ।
ভালোবাসা এক তোড়া গোলাপে মুড়ে হাতে হাতে ঘোরে ।
খুব জীর্ন , শীর্ন বাতাসে মোড়া শহুরে জলবায়ু ।
পারদে কাঁচেতে টক্কর চলে ;
জ্বরের প্রলাপে প্রেমের বাষ্প ঘনীভূত হয় দেওয়ালে দেওয়ালে ।
অসুখের খোঁজে শহরের বুকে ম্যারথনে যায় রাতের তারারা প্রতি প্রহরে !
এনে দেবো বলে ; কত না দেওয়া , ভাইরাস হয়ে শরীরের ভাঁজে
লুকিয়ে থাকে ক্রনিক হয়ে ।
অপেক্ষারা উপেক্ষার বারান্দায় দুলকি চালে পায়চারি করে অহরহ ।
নিলামে ওঠে রোজ ভালোবাসা ,
প্রেম তো বিকোয় রোজ কিলো দরে ।
-
চাইলে হেরে যেতেই পারি ..
যেমন ভাবে ফেলে আসা দিন গুলোতে হেরেছি তোমার হাসির জন্য ..
কিন্তু আজ প্রশ্নটা হার জিতের নয় ,
শিঁড়দারা শক্ত রাখার জেদ ।।-
হঠাৎ করে ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য কি রাখবো ?
শোক নাকি অপেক্ষা ?
নাকি পাথর হবো টুকরো টুকরো অভিমানগুলোকে বুকে চেপে .....-
|| রাজার চিঠি ||
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এক মুহুর্তে ছুটে যাই ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রহরীর কাছে । তার ঘাড়ে প্রতিমুহূর্তে নিঃশ্বাস ফেলে জিজ্ঞাসা করি , কবে আসবে আমার রাজার চিঠি ? ফটিকের মত একলা একলা গুমড়ে , " এক বাঁও মেলে না , দো বাঁও মেলে না " বিড় বিড় করা ঠোঁট দুটো ক্লান্ত অবসন্ন ! পাংশুটে চোখের কোনে প্রহরীর ঘন্টা না শোনার আর্ত বলিরেখা আমায় জাগিয়ে রাখে বহু রাত ! পাঁজা পাঁজা প্রশ্নের ভিড়ে অসহায় উত্তর গুলো এ ওর গা বাঁচিয়ে চলে । আমি রাত জেগে থাকি ...
অপেক্ষা করি কোনো এক অমলের মতো রাজার চিঠি পাওয়ার !-
|| আগুন পাখি||
সৌরভ শুধু নাম নয় , সৌরভ কলকাতার অপর নাম ।
সৌরভ শুধু বাইশ গজের তেজ নয় ,
সৌরভ বাউন্ডারি হাঁকানো শক্তির ধাম ।
সৌরভ শুধু বাঙালির নয় , সৌরভ ভারতবর্ষের মুখ ...
নখ কামড়ানো সহস্র মানুষের , সৌরভ ছক্কা মারার সুখ ।
যারা ব্যর্থ দিনে লড়তে লড়তে মিলিয়ে যায় রোজদিন,
সৌরভ সেই মানুষের সাহসী বুকে আশ্চর্য আলাদিন !
সৌরভ মানে পড়ন্ত বিকেলে শেষ জ্বলন্ত সূর্য ,
ইডেন ,লর্ডসে গাঙ্গুলি নামের আগ্ৰাসন আর শৌর্য ।
সৌরভ মানে ময়দানে জিত ; জার্সিতে থাক না
"অ্যাথলেটিকো ডি কোলকাতা "
দাদাগিরিতে দাদাই পারে গড়তে নতুন রূপকথা ।
সৌরভ মানে স্পর্ধার জয় , প্রতিবাদী ইনিংস..
কুর্নিশ তোমায় মহারাজা ; ক্রিকেট প্রেমীর ফিনিক্স ।।-
|| রবি বরন ||
১৬০ টা বৈশাখ এসে আবারও রক্তিম আকাশে রবি বরন । যতগুলো বৈশাখ ফেলে এসেছি নিছকই অবহেলায় , ততগুলো বৈশাখের অর্থ ; না , শুধু অর্থ নয় , নিগুঢ় অর্থ লেখা হয়ে গেছিলো তোমার দোয়াতে কালিতে । বাকি যেটুকু পরে আছে আমার বৈশাখী চিত্রপট তাতেও কেমন যেন তোমার আঁকা জীবন দর্শন । ছোটবেলায় আমাদের পড়া ছোট নদীটা কেমন যেন আসমুদ্র হিমাচল হয়ে প্রতিদিন প্রতিক্ষনে ঢেউয়ের আঘাত করেছে আমার মননে , আমার চেতনে , আমার রোজনামচার ভাবাবেগে । তোমায় আমি কবি বলে চিনি না । তোমায় আমি জীবন পিপাসু তৃষ্ণার্ত পথিক বলে জানি । আমি তোমায় চিনি আমার রাজার চিঠি রূপে ... আমি তোমায় বাঁশিওয়ালা বলে জানি , আমি তোমায় রঞ্জন বলে মানি । তুমি এমন বৈশাখী হয়ে থেকো । তুমি আমার অকাল বসন্ত হয়ে এসো । তুমি এসো আমার সমস্ত ঋতু, যুগের হাওয়া হয়ে । বৈশাখ তো উপলক্ষ্য মাত্র ; জীবনের পরতে পরতে আমি ,আমরা ,আমাদের মতো অমল , সুধা , নন্দিনী , চন্ডালিকা , মহামায়ারা তোমার দিকে দু হাত বাড়িয়ে যেন বলতে পারি ,
" রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন ।
ব্যক্ত হোক জীবনের জয়,
ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময় ।
উদয়দিগন্তে শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে
চিরনূতনেরে দিল ডাক
পঁচিশে বৈশাখ ।। "-
থাক না বেশ কিছুটা অগোছালো ,
থাক না চোখে চোখ রেখে কথা বলার স্পর্ধা ,
ঝগড়া থাক , অশান্তি থাক , অভিমানও থাক অনেকটা ...
শুধু গল্পের শেষ পাতায় " ভালো থেকো " বলার অভ্যাসটা মুছে যাক চিরতরে ।।-
আগলে রাখতে গেলে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে " ঐ কিরে " বলাটাই যথেষ্ট । অভিযোগের ঝাঁপি খুলে দেনা পাওনা মেটানো আর আঙুলের মাথায় তর্ক নিয়ে আসলে সম্পর্কে বার্ধক্য আসাটাই স্বাভাবিক ....
🖤🖤-
কান্না গুলো বরফ হয়ে জমছে ।
শোক পাহাড়টা লুটছে না কোনো হুন ,
প্রতিদিন যারা দ্বন্দ্ব মুছে চলছে -
তারা কেউ বা মরছে ; কেউ বা হচ্ছে খুন ।।-