ভাঙা - গড়া
(গল্পটা ক্যাপশনে...)
-
ঝড়ে জানলার পাল্লাটা দড়াম্ করে উঠল। বৃষ্টির ছাটে বিছানাটা ভিজে যাচ্ছে! ভেজা বিছানায় দুটো শরীরও উথালপাথাল হচ্ছে -- সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ জেগে ওঠা নিয়ন শহরের মতোই!
"বৃষ্টিবেলার শেষে, আমাদের ধূসর হাওয়ার জীবনেও ঠিক এমনই থাকবেতো?"-ঐন্দ্রিলার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো পার্থ!
ঝড় থেমে এখন সব শান্ত --- পার্থও গভীর ঘুমে! ঐন্দ্রিলা বুকের কাছে কাপড়টা জড়িয়ে ধরল -- ভালোবেসেও কখনও খুব একলা লাগে!
-
পুরো পঞ্চাশটাকা কম ছিল! আর ট্যাক্সিড্রাইভারও টাকা না নিয়ে ছাড়বেনা! অসহায় লাগছিল কেয়ার। তখনই ছেলেটা হাসিমুখে পঞ্চাশের নোট বাড়িয়ে দিয়েছিল।
"ফেরত দেব কিভাবে?"
"এভাবেই হঠাৎ আবার যেদিন দেখা হবে!"
তিন বছর বাদে ওলা শেয়ারে উঠে আবার ছেলেটাকে দেখল কেয়া। অদ্ভূতভাবে ট্যাক্সিতেই!
"বলেছিলাম না আবার দেখা হবে? পৃথিবীটা খুব ছোট...."
"ভাবিনি, আবারও প্রথম দেখা হবে এভাবেই!!"-
রাতের বেলা জানলা খুলে কখনও আকাশের দিকে উঁকি মেরে চাঁদ দেখেছেন? না, না; আমি পূর্ণিমার চাঁদের কথা বলছিনা। অর্ধেক, ক্ষয়াটে, জৌলুসহীণ চাঁদের কথাই আমি বলছি। সেই একটু ফ্যাকাসে হওয়া চাঁদকে কি পূর্ণিমার চাঁদের মতোই ভালো লাগে? যদি লাগে, সেটাই ভালোবাসার মানে! একসাথে হাতে হাত ধরে হাঁটতে থাকা প্রেমিকযুগল যখন সময়ের পথ দিয়ে চলতে চলতে বৃদ্ধ হয়, তখনও যদি তারা সেই একইরকমভাবে হাতে হাত ধরে রাখে, তবে সেটাই ভালোবাসার মানে।
ভালোবাসা মানে অনেক অনেক অপেক্ষা। প্রিয় মানুষটির একটি মেসেজ বা ফোনের অপেক্ষা করা কিংবা স্বামীর অফিস থেকে ফেরার অপেক্ষা! ভালোবাসা তো অপেক্ষাতেই বাড়ে!
ভালোবাসা মানে একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা, টিউশন ক্লাসে লুকিয়ে তাকে দেখা, ভালোবাসা মানে টিফিন কেনার পয়সা বাঁচিয়ে তার জন্যে কেনা ডেয়ারি মিল্ক, ভালোবাসা মানে হাজার ঝগড়ার পরে একটু জড়িয়ে ধরা!!
তবু সত্যি কি এগুলোই ভালোবাসার মানে? নাঃ ভালোবাসার কোন মানে হয়না। ভালোবাসা হয়ে যায়, হঠাৎ করে। কেউ হয়তো ভালোবাসা ফিরে পায়, কেউ পায়না! কিন্তু তবু সবাই ভালোবাসতে ভালোবাসে।
"কিচ্ছু চাইনি আমি আজীবন ভালোবাসা ছাড়া, আমিও তাদের দলে বারবার মরে যায় যারা...."-
কাপড়টা পড়ে কোনমতে টলোমলো পায়ে ঝুপড়ির বাইরে বেড়োল সুশীল।
"ছেলেটার খুব জ্বর। একটু বেশি যদি......"
দুহাজার টাকার একটা নোট ছুঁড়ে দিল সুশীল।
"কাকু তুমি নাকি সুপারহিরো? আমায় বাঁচিয়েছ!"
বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিল সুশীল। সুপারহিরো তো!-
পরাজিত সেনানায়ক সহস্র চিতার সামনে। চোখে জল।
প্রতিধ্বনি: "যোদ্ধারা চিরকাল অপরাজিত।"
-
ছেঁড়া চটি আর দগদগে ফোস্কাটা কানে কানে বলেছিল,
'একবাক্স সত্যি নিয়ে ফিরবো বাড়ি বিকেলে।'
বিকেল গড়িয়ে রাত নামে, হয়তো সত্যিকারের ভোরের অপেক্ষায়।
-
মুখ- ও- পুস্তিকা
গল্প শুরুর আগে:
ঘরের ঠিক মধ্যিখানের গোল টেবিলটায় রাখা মোমবাতিটা জ্বলে উঠল। মোমবাতির আগুন। আগুনের আলো। উফ্ শান্তি! পাশেই ল্যাপটপটা আধখোলা। হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন সাউন্ড এলো। কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। প্রোফাইলটা খুলতেই একটা শাহরুখ খানের ছবি ভেসে আসল। বোঝাই যাচ্ছে কোন ছেলের একাউন্ট। নাম The Glacier! আজকাল অনেক ছেলেই ফেক নামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। আর সবার দাবিই এক। সবাই ভালোবাসতে চায়! সবাই আগুন জ্বালাতে চায়!
ল্যাপটপে একটা হাত আস্তে আস্তে টাইপ আরম্ভ করল," হিমবাহ? তোমার মধ্যে কি পুরোটাই হিমশীতল? নাকি ভিতরে আগুন এখনও জ্বলছে?"
(সম্পূর্ণ গল্পটা ক্যাপশনে রইল...)
-
কিগো আজ হঠাৎ আমার ধুর!বাড়িতে কিসব
কাছে? বৌ কে সিরিয়াল চলছে।ঘুমাতে পারছিনা!
এখন একঘেয়ে লাগছে বুঝি! তাই ঘুমাতে তোমার
বাড়ি এলাম।-