আমার সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা ছিল তোমার চোখের জল, যা কোনোমতেই সহ্য করতে পারতাম না। তাই জন্য আমার কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও বারবার তোমার ভূলগুলো ভাঙ্গতে যেতাম, কিন্তু বিচ্ছেদের ভয় সবসমই তাড়া করে ফিরত আমায়।
সেদিন তোমার কান্নায় আমিও কেঁদেছিলাম, শুধু ফোনের এপারে বসে ফোনটাকে মিউট করে রেখেছিলাম যাতে আমার বুকফাটা আর্তনাদ তুমি অব্দি না পৌঁছায়, যাতে এটা ভাব যে তোমার চোখের জলে আমার সত্যিই আর কিছুই এলো বা গেলো না। সেই প্রথম তোমায় ভুল বোঝালাম, অনেকটা ইচ্ছে করেই, যাতে ঘেন্নায় আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি নিজে ভালো থাকতে শুরু করো...

-

ছেলেটা মনস্থির করলো ন'শো কিলোমিটার জার্নি করবে মাত্র দু ঘণ্টার জন্য। কথা হয়েছিল স্টেশনেই থাকবে ওরা। সব কাজ সামলে মেয়েটা স্টেশনে আসতে অনেকটাই দেরি করে ফেললো। ফেরার ট্রেনের অ্যানাউন্সমেন্ট হলো। ছেলেটা ফোন করে জানলো ও প্রায়ই এসে গেছে। ট্রেন এলো। ছেলেটা ট্রেনে উঠে দরজার সামনে দাঁড়ালো। হাতে ছোট্টো গিফটের প্যাকেট। হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছাড়লো। মেয়েটা দৌড়ে ঢুকলো প্ল্যাটফর্মে। ওর হাতে একটা ব্যাগ। ট্রেন চলতে শুরু করলো। ছেলেটা হাত তুললো বিদায় এর ভঙ্গিতে। মেয়েটা তিনটে কথা ছুঁড়ে দিল। "চোখমুখের এই হাল কেনো?", "চুল কাটোনি কেনো?", "এত রোগা হয়ে গেছো কেনো?" কণ্ঠস্বর টা আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে গেলো। ওরা অদৃশ্য হলো। ওদের দুজনেরই চোখে জল। ট্রেন এখন ছুটছে একশো কিমি গতিবেগে। আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন ডে !

-

He posted his pics in social media with the caption, "amar sei chhobi khan nosto korey kon jona kon jona..."

Two days later She changed her caller tune to - "tomar ghore bosot korey koy jona?"

-

মাতঙ্গী: নবম মহাবিদ্যায় এনার পরিচয় পাই। ইনি সিদ্ধি, বুদ্ধি, কলা ও বিদ্যার দেবী। শোনা যায় এনাকে তুষ্ট করতে কোনো আচার অনুষ্ঠান, জাকজমকপূর্ন পূজাপাঠ বা কোনো ব্রত রাখার প্রয়োজন নেই। এনার ভোগ হলো মানুষের এঁটো খাবার, আর এই দেবীকে তুষ্ট করতে প্রয়োজন শুধু আন্তরিক ভক্তির...

আমার মা কিন্তু আমার খেতে না পারা খাবার পাতে ছেড়ে দেওয়া আমার এঁটো খাবারগুলো ফেলে দেয় না। বললে বলে যে খাবার ফেলতে নেই। মায়েদের মধ্যে দেবী মাতঙ্গী বিরাজমান ।।

-

যারা অপমানের বদলা না নিয়ে মুচকি হেসে চুপচাপ বেড়িয়ে যায়, তারা সত্যিই কি হেরে যায়?

— না ! ওরা সময় আর নির্মম কর্মফলে বিশ্বাসী...

-

সমাধান :

ভালোবাসার প্রিয় শহরটাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে না বরং তাদেরকে মন থেকে মুছে ফেল যাদের জন্য এই শহরটায় হাঁফিয়ে উঠেছিস। মানুষকে চিনতে শেখ, তাদের ঠিকঠাক মূল্যায়ন কর, যত্ন করতে শেখ, ছুঁড়ে ফেলা শেখ, মায়ার বন্ধনে জড়াতে শেখ, মায়া ত্যাগ করতেও শেখ, অপেক্ষা করতে শেখ, ভালো থাকতে শেখ।

-

মাঝরাত —
ব্যালকনি তে আমি একা ।
দুই আঙ্গুলের ফাঁকে একটা জ্বলন্ত সিগারেট ,
ভাবনায় তুমি, তবুও যায়না তোমায় ছুঁয়ে দেখা ।

-

রাজনীতিতে মত্ত থাকুক লোকে ―
তোমার আমার মিলনগাঁথা বাজুক অন্য স্রোতে !

-

নির্ঘুম রাতগুলো এলার্ম ঘড়ির অপেক্ষা করে না ।
ওরা ভোরের ট্রেনের হুইসেলে সম্বিত ফিরে পায়...

-

শহর যখন উদযাপনে ব্যস্ত,
আমরা দুজন হাইওয়েতে মত্ত।
দলছুটের এক অন্য হাওয়ার সুরে,
মুখ ঢাকে না – একটু আলোর দূরে।
দু চাকা আর একটু তেলের দরে,
বাহনটাকে ছোটাইনি আজ জোরে।
দিনের বেলায় বড্ড রোডের ছটা,
ওড়না দিয়ে মুখটা ঢাকার ঘটা।

-