"নিঃশব্দে ধাক্কা খেতে খেতে কান্না যদি থমকে দাঁড়ায়,
তোমার গন্ধমাখা আঁচলে সযত্নে বেঁধে রেখো তবে।
সন্ধে হলে ফিরবো আমি আকাশ জুড়ে মেঘের কালোয়,
তোমার চোখে সর্বনাশী বন্যা হয়ে।"-
কি আমার মতন তুমিও হারিয়ে গেলে
ফুলের বনে হাজারো রঙের মেলায়
সুরভি লুটের খেলায়
তারে না... read more
"যদি নির্বাসন দাও তবে গোপনে নয়,
প্রকাশ্যে বাজুক তোমার জয়ধ্বনি।
আয়নার প্রলেপে অস্পষ্ট প্রতিবিম্বে
অস্তিত্ব মুছে ফেলে মৃত্যুর প্রহর গুনি।"
-
একদিন এমনি করেই রঙ ঢেলে দেবো ক্যানভাসে,
মুখোমুখি বসে সুখ ভাগ করে নেবো হাতের মুঠোয়।
কপালে আদর ছুঁইয়ে হিসেব রাখবো যত্ন করে,
একদিন এমনি করেই... ছন্দ মেলাবো কবিতায়।-
"প্রতিদিন বিকেলবেলা ঠিক এই পাহাড়ি পথে
দেখা হয় আমাদের।
তুমি রোজকার মত অভ্যেসবশত পাশ কাটিয়ে চলে যাও।
আর আমি বুকে অন্ধকার আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করি।
কোনোদিন সফল হই,
কোনোদিন আবার ব্যর্থতার করাল গ্রাসে আটকে পড়ি,
তুমি তখন পায়ে পায়ে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করো,
শুকনো ঝরা পাতার ওপর আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে
তোমার নূপুরের শব্দ।
আর আমার কানে পাহাড়ি খাদের প্রতিধ্বনি খেলা করে......"-
"বরফ চূড়ায় কাছে পেয়েছিলাম তোমায়,
একবার বুকে এসেই নেমে গেছিলে উপত্যকা বেয়ে।
অপেক্ষার লেশমাত্র চিহ্ন রাখোনি পথে,
বোধহয় আগ্নেয়গিরির আঁচ পেয়েছিলে হৃদপিন্ডে!"-
"বিস্তর অভিযোগে মুখোমুখি দুজনে,
সব বুঝি শেষ হয়ে গেলো!
কথাগুলো আজ খুঁজে নিক মিল তবে,
এসো...হাত ধরে হাঁটি চলো...."-
"তোমার জন্য কৃষ্ণচূড়ার
লাল গালিচা শহর জুড়ে,
তোমার জন্য প্রখর রোদেও
বৃষ্টি নামে ছোট্ট নীড়ে।"-
"চোরাবালি আমার বুকে,
তোমার পায়ে সুবর্ণরেখা।
অপেক্ষা! সে তো অনন্ত কালের,
দুঃস্বপ্নে হঠাৎ দেখা।"-
"যেমন ছিলাম তোর কোল ঘেঁষে
চূর্ণী নদীর পাড়ে গা ভিজিয়ে,
তুই লজ্জা ভেঙে আলতা মাখানো পা দুটো
আমার হাতে রাখতিস!
তোর পায়ে ঠোঁট ছুঁইয়ে
কবিতা বলতাম কানে কানে,
আর তুই নুপুরের শব্দ শোনাতিস......."
-
"খুব ইচ্ছে হয় তোমার মত করে কাঁদতে,
যখন মেঘভাঙা অভিমান দিনের শেষে
ঘরে ফিরে আসে দল বেঁধে,
তোমার বুকে বরফ হয়ে জমবে বলে,
তুমি তখন তাদের আস্কারা দাও ভালোবেসে।
তোমার গাল বেয়ে যেমন অশ্রুনদী নেমে আসে
পাহাড়ি পথে খরস্রোতা হয়ে,
খুব ইচ্ছে হয় সেই ঝর্ণাতলায় আমৃত্যু ভিজতে।
খুব ইচ্ছে হয় তখন তোমার মত করে কাঁদতে।
খুব ইচ্ছে হয়....."-